গত ২৪ নভেম্বর ৮৯ বছর বয়সে মারা যান বলিউডের বর্ষীয়াণ অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। তার আগে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ধর্মেন্দ্র। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় সহশিল্পী ধর্মেন্দ্রকে দেখতে গিয়েছিলেন বরেণ্য অভিনেত্রী মুমতাজ। কিন্তু ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি তাকে। কেন দেখা করতে পারেননি তা নিয়ে মুখ খুলেছেন মুমতাজ।   

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে মুমতাজ বলেন, “আমি তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। কিন্তু স্টাফরা বললেন, ‘তিনি ভেন্টিলেটরে আছেন, কাউকেই দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।’ আমি সেখানে ৩০ মিনিট বসেছিলাম, আশা করছিলাম হয়তো দেখা করতে পারব, কিন্তু পারিনি। শেষ পর্যন্ত দেখা না করেই ফিরে আসি।” 

আরো পড়ুন:

স্বামীকে হারিয়ে হেমা বললেন, আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব

বিয়ে স্থগিত: স্মৃতির সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ, মুখ খুললেন গায়কের মা

শেষবার ধর্মেন্দ্রকে না দেখতে পেরে কষ্ট ও গভীর হতাশা নিয়ে ফিরেন মুমতাজ। ২০২১ সালে ধর্মেন্দ্রর বাসভবনে শেষ সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “২০২১ সালে বাসায় গিয়ে আমি তার সঙ্গে শেষবার দেখা করি। খুবই সুন্দর ছিল সেই সাক্ষাৎ। সেটাই ছিল আমাদের শেষ দেখা।” 

প্রবীণ এই অভিনেত্রী ধর্মেন্দ্রর পরিবার, বিশেষ করে তার স্ত্রী হেমা মালিনী প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, “আমি তার পরিবার আর হেমাজির জন্য খুব কষ্ট পাচ্ছি। হেমাজি সবসময় তার প্রতি নিবেদিত ছিলেন। নিশ্চয়ই তিনি গভীরভাবে এই শোক অনুভব করছেন। সত্যিই তিনি ধর্মেন্দ্রর প্রেমে পড়েছিলেন।” 

ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিত্ব ও কর্মজীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মুমতাজ বলেন, “আমরা কয়েকটি সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছি। সবসময়ই দারুণ একজন সহ-অভিনেতা ছিলেন। অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন, তার সোনার মতো হৃদয় ছিল। খুবই মিশুক, বন্ধুসুলভ, সবার সঙ্গে যুক্ত থাকতেন তিনি। শেষ পর্যন্তও মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালোই ছিল। মানুষ তাকে ভালোবাসত, আর সবসময়ই ভালোবাসবে। তিনি ছিলেন একজন কিংবদন্তি, যাকে ভুলে থাকা অসম্ভব।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ম মত জ

এছাড়াও পড়ুন:

রাঙামাটিতে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু

রাঙামাটিতে ওষুধবাহী কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অটোরিকশাটির চালক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত চালকের নাম হাসান মিয়া (২২)। তিনি বরিশাল জেলার লালমোহন এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় গিয়াস উদ্দিন নামের অটোরিকশার এক যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া কৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা আবদুল কাদেরের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, অটোরিকশাটি কাঁচামাল নিয়ে চট্টগ্রামে যাচ্ছিল। বেতবুনিয়া এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে আসা একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে অটোরিকশাটির সংঘর্ষ হয়। মুহূর্তেই এটি দুমড়েমুচড়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা দুজনকে উদ্ধার হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত যাত্রী গিয়াস উদ্দিন এখন চট্টগ্রামের রাউজানের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানতে চাইলে বেতবুনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. ইসহাক বলেন, কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মিস ইউনিভার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মাদক পাচারের অভিযোগ
  • জ্ঞান চর্চার ছয় স্তর: ইবনুল কাইয়িমের দিকনির্দেশনা
  • ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই...
  • হোয়াইট হাউজের কাছে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে গুলি
  • সাফল্য তোমাকে অসুখীও করে তুলতে পারে: ইয়ামালকে পরামর্শ নাদালের
  • নরসিংদীতে ২২ ঘণ্টার ব্যবধানে ট্রেন দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত
  • ঢাকায় বিএনপির প্রার্থী সানজিদা ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা
  • রাঙামাটিতে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু
  • সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বেতন, পেনশনসহ অন্য প্রাপ্যতা রিভিজিট করতে কেন নির্দেশ নয়: হাইকোর্ট