মডেল মেঘনা আলম বলেছেন, গত ৯ এপ্রিল আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলা ভুল হবে। আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল। কারণ, গ্রেপ্তার করার একটি আইনি প্রক্রিয়া থাকে, সেটি মানা হয়নি।

রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফেরত চেয়ে আবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় মেঘনা আলমের মোবাইল ফোন, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছিল। এসব নিজের জিম্মায় নেওয়ার জন্য আবেদন করেন মেঘনা। তার পক্ষে আইনজীবী মহসিন রেজা পলাশ ও মহিমা ইসলাম বাঁধন শুনানি করেন।

শুনানি শেষে বিচারক পরে আদেশ দেবেন বলে জানান। আদালত সূত্র জানায়, সোমবার এ বিষয়ে আদেশ হতে পারে।

আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের মেঘনা আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো রাষ্ট্রদূতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। যে রাষ্ট্রদূতের কথা বলা হচ্ছে, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে আদালতে এসে প্রমাণ দিক।

তিনি বলেন, মানুষের একটি বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া দরকার। একজন মিস বাংলাদেশকে এভাবে মিথ্যা মামলায় হেনস্তা করা বৈশ্বিকভাবেও লজ্জার। আমাদের সমাজে মডেলদের নিয়ে নানা ভুল ধারণা রয়েছে। কিন্তু আমি এ পেশাকে সম্মান জানিয়েই বলছি, আমার পেশাগত পরিচয় মডেল না; আমি একজন পলিটিকাল লিডারশিপ ট্রেইনার।

মেঘনা বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ, মামলা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল না। আইনের লোক হোক বা না হোক, আমার বাসায় এসে তাৎক্ষণিকভাবে হামলা করে জোর করে নিয়ে যায়। এটাকে আইনি ভাষায় অপহরণ বলে, গ্রেপ্তার বলে না।

গত ৯ এপ্রিল বাসা থেকে আটক হন মেঘনা আলম। পরদিন ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১৭ এপ্রিল আদালত ধানমন্ডি থানার মামলায় মেঘনাকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।

গত ২৮ এপ্রিল মেঘনার ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল করা হয়। অন্যদিকে আদালত তাকে জামিন দেন। পরদিন কারামুক্ত হন তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অপহরণ

এছাড়াও পড়ুন:

জামিনে পেলেন বেরোবির শিক্ষক মাহমুদুল হক

রংপুরে জুলাই আন্দোলন চলাকালে মুদি দোকানি ছমেস উদ্দিন হত্যা মামলায় জামিন পেয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হক।

রবিবার (২২ জুন) বিকেলে রংপুর মহানগর দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) মার্জিয়া ইসলাম তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।   

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাহমুদুল হকের আইনজীবীরা রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ (হাজীরহাট আমলী আদালত)-এর বিচারক মো. সোয়েবুর রহমানের আদালতে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আগামী মঙ্গলবার জামিন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন। মাহমুদুল হক শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তার আইনজীবীরা গত বৃহস্পতিবার জামিন আবেদন নামঞ্জুরের বিরুদ্ধে রংপুর মহানগর দায়রা জজ আদালতে পুনরায় আবেদন করেন।

আরো পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে চার ঘণ্টার ব্যবধানে জোড়া খুন

‘মুক্তিপণ’ না পেয়ে শিশুকে হত্যা, খালে মিলল মরদেহ

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দায়রা জজ আদালতে সেই আবেদন উপস্থাপন করা হলে আদালত মানবিক বিবেচনায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাহমুদুল হক রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।

কারামুক্তির পর রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকের সামনে মাহমুদুল হকের আইনজীবী শামীম আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, “মাহমুদুল হক শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। দুপুরে জামিন আবেদনের সময় আমরা তার অসুস্থতার বিষয়টি আদালতের কাছে তুলে ধরি। কারা কর্তৃপক্ষও আদালতকে এ বিষয়ে অবহিত করে। আদালত মানবিক বিবেচনায় তার জামিন মঞ্জুর করেছেন। জামিনের পরপরই পরিবারের সদস্যরা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।”

এদিকে মাহমুদুল হকের জামিনের শুনানি ঘিরে আজ সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন হাতে অবস্থান নেন এবং ‘মাহমুদুল হকের মুক্তি চাই’, ‘গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ চলবে না’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। তারা মাহমুদুল হককে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান এবং এই মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যা দেন।

কারাগার থেকে প্রিয় শিক্ষক মুক্ত হলে আনন্দে ফেটে পড়েন সবাই। এসময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং সাবেক সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, “তিনদিন পর স্যারকে ফিরে পেয়ে আমরা আনন্দিত। যেভাবে তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটি আমাদের ব্যথিত করেছে। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”

গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেলে ছমেস উদ্দিন হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গ্রেপ্তার নয়, আমাকে বাসা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল: মডেল মেঘনা
  • জামিনে পেলেন বেরোবির শিক্ষক মাহমুদুল হক
  • গ্রেপ্তার নয়, বাসা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল: মডেল মেঘনা
  • টেকনাফে মুক্তিপণের দাবির পর টাকা না পেয়ে অপহৃত রোহিঙ্গা শিশুকে হত্যা
  • ‘মুক্তিপণ’ না পেয়ে শিশুকে হত্যা, খাল মিলল মরদেহ
  • অপহরণের পর পাঁচ দিন ধরে বাবাকে শোনানো হচ্ছে ছেলের আর্তনাদ
  • মুক্তি পেয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের কর্মী কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খলিল
  • চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার দাবি
  • জামিন পেলেন সাংবাদিক শেখ আরিফ