কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলার লেদা রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে অপহরণের দুই দিন পর মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৭) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আবদুল্লাহ হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে সি ব্লকের হামিদ হোসেনের ছেলে।

আজ রোববার ভোরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পাশের খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রথম আলোকে জানান টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায়।

হিমেল রায় বলেন, গত শুক্রবার ২০ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিখোঁজ হয় আবদুল্লাহ। এরপর অজ্ঞাত স্থান থেকে শিশুর বাবার মুঠোফোনে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণের টাকা না দিলে হত্যা করারও হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। পরবর্তী সময়ে মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় আবদুল্লাহকে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেয় অপহরণকারীরা। আজ ভোরে খালের পানিতে লাশটি দেখতে পেয়ে তার পরিবারকে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

শিশুর বাবা হামিদ হোসেন বলেন, ‘সম্ভবত আমার ছেলে অপহরণকারীদের চিনতে পেরেছে। দাবি করা মুক্তিপণের ২০ লাখ টাকা না পেয়ে তাই তারা ছেলেকে হত্যা করেছে। আল্লাহ তাদের বিচার করবে।’

কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, এ নিয়ে গত সাড়ে ১৭ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫৫ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ ল ল হ

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে চিকিৎসাধীন যুবকের মৃত্যু

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মোহাম্মদ মামুন (২৪)। তিনি উপজেলার ডেঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত আবুল বশরের ছেলে। আজ শুক্রবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের ডেঙ্গাপাড়া এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি ঘটে। নিহত মামুন ওমান প্রবাসী ছিলেন, তবে এক বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ছুরিকাঘাতের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের নাম মোহাম্মদ ফাহিম (৩০)। তিনি একই এলাকার মোহাম্মদ আইয়ুবের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় অভিযুক্ত ফাহিম একটি অপহরণ মামলার প্রধান আসামি। গত বুধবার পটিয়ার মুন্সেফ বাজার এলাকার ব্যবসায়ী নুরুল আবছারকে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি হয়। গতকাল বিকেলে মামলার বিষয়ে ফাহিমের সঙ্গে কথা বলছিলেন মামুন। এ সময় ফাহিমকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এসব নিয়ে দুজনের কথা-কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে মামুনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মামুনকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামুনের মৃত্যু হয়েছে।

জানতে চাইলে পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে মামুনকে ছুরিকাঘাত করেছেন ফাহিম। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে চিকিৎসাধীন যুবকের মৃত্যু