জনগণের আস্থা অর্জনই পুলিশের সবচেয়ে বড় অর্জন
Published: 22nd, June 2025 GMT
বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল আইজিপি) মো. আকরাম হোসেন বলেছেন, পুলিশ বাহিনী আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রথম সারির যোদ্ধা। তারা শুধু একটি পেশায় নিয়োজিত নন, বরং মানবিক সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আইন প্রয়োগ, অপরাধ দমন এবং নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান দায়িত্ব। সেই সঙ্গে যেকোনো দুর্যোগ বা সংকটকালে পুলিশ সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে। জনগণের আস্থা অর্জনই পুলিশের সবচেয়ে বড় অর্জন।
রোববার সকালে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ২৫তম নারী ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল-টিআরসি ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই প্রশিক্ষণ শুধু শারীরিক ও মানসিকভাবে দক্ষ করে তোলে না, বরং দায়িত্ববোধ, শৃঙ্খলাবোধ ও সেবার মানসিকতা তৈরি করে। এজন্য পেশাগত জীবনের প্রতিটি দিনকে শেখার সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করে নিজের ভিতরের নেতৃত্বগুণ বিকশিত করতে হবে।
তিনি একটি নিরাপদ, মানবিক ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনে পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করার আহ্বান জানান। এ সময় রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান, রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমাড্যান্ট আমিনুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম প্রশিক্ষণার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
এর আগে, অ্যাডিশনাল আইজিপি আকরাম হোসেন প্রশিক্ষণার্থীদের অভিবাদন গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এতে ৪৫৮ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন। পরে মাঠ বিষয়ে শ্রেষ্ঠ ফাবিয়া খাতুন, মাসকেট্রি বিষয়ে নাবিলা সামাদ, একাডেমিক বিষয়ে ছোনিয়া তাসরিন এবং সকল বিষয়ে শ্রেষ্ঠ সানজিদা আক্তারের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বরগুনার পূর্বের তিনটি আসন পুনর্বহাল দাবি
বরগুনার পূর্বে বিদ্যমান তিনটি আসন পুর্নবহালের দাবি জানিয়েছেন জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে বরগুনার তিনটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে বরগুনা জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ওমর আব্দুল্লাহ শাহীন বলেন, “এ জেলায় প্রায় ১১ লাখ ভোটার। অষ্টম জাতীয় নির্বাচনের পর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কিছু সুবিধাভোগী নেতা বরগুনাবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে তিন আসনকে বিলুপ্ত করে দুটি আসন করে।”
তিনি বলেন, “এই দাবি শুধুই একটি জেলার পূর্বের তিনটি সংসদীয় আসন পুর্নবহালের দাবি নয়, এটি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের কণ্ঠস্বরের দাবি।আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বরগুনার পূর্বের তিনটি সংসদীয় আসন ফেরত দেন, বরগুনার অধিকার ফিরিয়ে দেন। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন এবং অবহেলিত বরগুনা জেলাবাসীর সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেন।”
শাহীন বলেন, “আমরা আমাদের ন্যায্য দাবিতে হাইকমিশনারে রিট করেছি। প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আবেদন জানিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, সরকার এই ১১ লাখ ভোটারদের দাবি আমলে নিয়ে এ জেলায় তিনটি আসন পুনর্বহাল করবে।”
তিনি বলেন, “বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা, নয়টি খরস্রোতা নদীবেষ্টিত এক অনন্য জেলা বরগুনা। এই জেলার নদী, খাল, উপকূল, কৃষি ও মৎস্য সম্পদ শুধু বরগুনার নয় বরং বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ব্লু-ইকোনমির ভবিষ্যতের চালিকাশক্তি। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, বরগুনা জেলার নির্বাচনি সীমানা পরিবর্তনের কারণে আমরা পূর্বের তিনটি সংসদীয় আসন হারিয়েছি। সংসদে বরগুনার জনগণের প্রতিনিধিত্বের অধিকার হারিয়েছি, উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছি।”
শাহীন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি নির্বাচন কমিশন আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নেয়, তাহলে আমরা বরগুনাবাসী কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করব, ইনশাআল্লাহ।”
সংবাদ সম্মেলনে জেলার রাজনৈতিক দলের নেতা, বিভিন্ন পেশাজীবি এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ