যশোর বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের ভুয়া বিজ্ঞপ্তি
Published: 23rd, June 2025 GMT
যশোর শিক্ষাবোর্ডে আগামী ২৬ জুন অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্র স্থগিত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া (ফেক) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্ন অনিয়ম ও চুরি হয়েছে এমন শিরোনামে বিজ্ঞপ্তি কে বা কারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এসব বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২২ জুন) বিকালে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড.
এই ঘটনায় বোর্ড কর্তৃপক্ষ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে যশোর কোতয়ালী মডেল থানাতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সারাদেশের ন্যায় যশোর শিক্ষাবোর্ডের আগামি ২৬ জুন এইসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নকল ও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণে বোর্ড সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে। এরমধ্যে শনিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যশোর বোর্ডে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা স্থগিতের বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ে। বিজ্ঞপ্তিটিতে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নাম উল্লেখ করে ভুয়া সাক্ষর করা হয়েছে।
ভুয়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথমপত্র বিষয়ের প্রশ্নপত্র অনিয়ম ও চুরি হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও পরীক্ষার নিরপেক্ষতা বজায় রাখার লক্ষে ২৬ জুনের অনুষ্ঠেয় বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষাটি স্থগিত করা হলো। পরবর্তীতে পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে। বিজ্ঞপ্তিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভ্রান্তি ছড়ায়। অনেক পরীক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কলেজে যোগাযোগ করার খবর পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে বিষয়টি বোর্ড কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে বোর্ডের ওয়েব সাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মতিনের সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে- বোর্ডের সকল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পরীক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কে বা কারা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাক্ষর জাল করে পরীক্ষা স্থগিতের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন এবং পরীক্ষা আইনে অপরাধ। প্রকৃত পক্ষে এ ধরনের কোন বিজ্ঞপ্তি বোর্ড কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি। প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী এইচ এসসি ২০২৫ যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এই বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মতিন বলেন, ‘‘কে বা কারা ভুয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়াতে এই জালিয়াতি করেছে দুবৃর্ত্তরা। আমরা পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। জালিয়াতি চক্রদের ধরতে আইনগত ব্যবস্থা নিতে থানাতে অভিযোগ করেছি।’’
তিনি বলেন, ‘‘সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষাগ্রহণে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’’
এই বিষয়ে যশোর কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক কাজী বাবুল হোসেন বলেন, ‘‘বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের একটি টিম কাজ শুরু করেছে।’’
যশোর শিক্ষা বোর্ডে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় এ বছর খুলনা বিভাগের ৫৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ১৬ হাজার ৩১৭ জন পরীক্ষার্থী ২৪০টি কেন্দ্রে অংশ নিবে। যা গত বছরের তুলনায় ৬ হাজার ১৯৪ জন কম। গত বছর পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ২২ হাজার ৫১১ জন। এ বছর যশোর বোর্ডে কেন্দ্রের ভেন্যু প্রথা বাতিল করা হয়েছে। তবে এ বার নিজ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের নিজ কেন্দ্রের ভেন্যুতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে না। ভেন্যু প্রথা বাতিল করায় এবার ৬টি কেন্দ্র বেড়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থী কমেছে।
ঢাকা/রিটন/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব র ড র পর ক ষ পর ক ষ র থ আহ ব ন জ ন অন ষ ঠ হওয় র
এছাড়াও পড়ুন:
কুবিতে শহীদ আব্দুল কাইয়ূমের শাহাদাত বার্ষিকী পালন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ শিক্ষার্থী আব্দুল কাইয়ূমের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ ও ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. হারুনসহ হলের হাউজ টিউটর, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যা: তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি
জবি প্রশাসনের ‘দায়সারা’ জবাবের প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের
এ সময় শিক্ষার্থীরা শহীদ আব্দুল কাইয়ূমের সঙ্গে কাটানো সময়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
দোয়া মাহফিলে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী এমরান হোসেন বলেন, “কাইয়ূম ভাই আমার পাশের রুমেই থাকতেন। তার সঙ্গে যখন দেখা হত, তখন তিনি সবাইকে আপনি করে সম্বোধন করতেন। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন এবং সবাইকে নামাজ পড়ার জন্য আহ্বান করতেন। তিনি বেশিরভাগ সময় নিজের বাসায় থাকতেন এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন। আমরা চাই পরবর্তীতে যেই প্রশাসন আসুক, এই দিনটি যেন পালন করা হয়।”
কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ মো. হারুন বলেন, “যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তার (আব্দুল কাইয়ূম) ছবি দেখতে পাই, তখন মনে হয়েছিল ছেলেটি অসম্ভব ভালো ছেলে। পরবর্তীতে বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠানে মাধ্যমে তার সম্পর্কে জানতে পারি, আমার ধারণা ঠিক ছিল। আজকে যখন তার বাবার সঙ্গে দেখা হয়, তখন একজন পিতা হিসেবে তাকে স্বান্তনা দিতে পারিনি। জানি না তিনি কীভাবে সহ্য করছে একজন সন্তান হারানোর কষ্ট।”
তিনি বলেন, “আমরাও কারো না কারো সন্তান। তাই কোনো কিছু করার আগে আমাদের চিন্তা করা উচিত আমাদের পিতা-মাতার কথা। আমরা এখানে একটি পরিবার হিসেবে আছি। তাই সবাই সবার বিপদে এগিয়ে যাব ও সহোযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আব্দুল কাইয়ূম কুবির কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী