Samakal:
2025-10-03@08:42:16 GMT

সময় দিন নিজেকে

Published: 28th, June 2025 GMT

সময় দিন নিজেকে

সকালে উঠেই কেন যেন মনটা খারাপ হয়ে গেল আপনার? কিছুতেই মন বসাতে পারছেন না কাজে? একান্ত প্রিয় মানুষটাও রুটিন অনুযায়ী ফোন করলেন। জানালেন কুয়াশা ঘেরা শীতের শিশিরমাখা শুভেচ্ছা। মিষ্টি মুখে বাবাও মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। চুলে বিলি কাটলেন মাও।  
খাপছাড়া মন 
বারান্দায় বসে আছেন আপনি। একা। আনমনে কত কী যে ভাবছেন! অথচ কী ভাবছেন– তাও বুঝতে পারছেন না। এই ভাবছেন তো এই ভুলে আবার ভাবনার বেড়াজাল থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিচ্ছেন। এই ভাবছেন তো এই আবার তালগোল পাকিয়ে নিজের ওপর নিজেই তিতিবিরক্ত হচ্ছেন। এমন ঘটনা হঠাৎ উদয় হলো আপনার মনের আকাশে– তাও নয়; প্রায়ই এমন হয়। ভাবনারা এই আসে, এই আবার টুপ করে ডুব দিয়ে হারিয়ে যায় দূরে কোথাও। নাগালের বাইরে থেকে যেতে চায়। আবার ধরা দিতে দিতেও দেয় না। 
উড়ালপঙ্খি মন
এমন উড়ালপঙ্খি মন শুধু আপনার নয়; সব তরুণ-তরুণীরই। এ যে মনের স্বাধীনতা! আপনি যেমন একটু স্বাধীনতা পেলে অনেক কিছু করতে পারেন, তেমনি মনও স্বাধীনতা পেলে অনেক কিছু করতে পারে। একেবারে বিপ্লব ঘটিয়ে দিতে পারেন! জানেন নিশ্চয়ই, মানুষ যত বড়ই হোক, যত ক্ষমতা পকেটে নিয়েই হাঁটুক না কেন, সে কিন্তু তার মনের লাগামটা ধরতে পারে না।   পারে না নির্দেশ দিয়ে মনটাকে সোজা চালিয়ে নিয়ে যেতে। আসলে পারার কথাও না। মনটাকে সঠিক ট্র্যাকে চালাতে পারে কেবল মনই। 
মনের লাগাম
মন যখন যা চায়, তাকে তা করতে দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। নিজের হাতে মনের লাগাম না ধরে মনের হাতেই মনের লাগাম ছেড়ে দেওয়া উচিত। তবেই মন আপনাকে আপনার ভেতর থেকে বের করে মনের পিঠে ছড়িয়ে টেনে নিয়ে যাবে আপনার স্বপ্নের সোনালি গন্তব্যের দিকে। 
জানি, এই সময়টা স্কুল, কলেজ কিংবা 
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেকেই ছুটি পেয়েছেন। কিংবা চাইলেই ছুটি নিতে পারেন। সদ্য কাটিয়ে আসা ঈদের ছুটিতে অনেকে আবার মনের ডানায় চড়ে কত জায়গায় ঢুঁ মেরে এসেছেন এবং আসছেন প্রতিনিয়ত। কল্পনায় নয়, অনেকে বাস্তবেই দলবলে সশরীরে সগৌরবে পাড়ি দিচ্ছেন প্রকৃতির আলিঙ্গনে নিজেকে জড়াতে। এই তো সময়। 
লাভের হিসাব
ব্যাংকে টাকা রাখলে যেমন মাসের পর মাস মুনাফা পাওয়া যায়, তেমন করে এখনকার সময়টা মনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে আসুন; দেখবেন, সারা বছর এই ঘোরাঘুরি, এই প্রকৃতি আপনায় ভালোবাসা বিলিয়ে যাবে। দূর করে দেবে হঠাৎ উড়ে আসা মন খারাপের সময়গুলোকে। অথবা কিছুই করতে ইচ্ছে না হলে মনকে বলে দিন– আজ আমি কিছুই করব না; কিংবা বলতে পারেন– আজ আমি কোথাও যাব না। দরকার কী সব কাজে সবার সঙ্গে তাল মেলানোর? আবার মন বলছে ঘরে বসে থাকতে। থাকুন না আনমনে ঘরে বসে!
শান্তির পরশ
আপনি যদি এই কাজে শান্তি পান, তাতে কার কী আসে যায়? একটা দিন থাকুন না না নিজের মতো করে। ভুলে যান না সব রুটির-ফুটিন! ভোরে ঘুম থেকে উঠে সন্ধ্যা পর্যন্ত যদি বারান্দায় বসে মজা লুটতে পারেন আপনি; তবে লুটে নিন প্রাকৃতিক মজা! যদি মজা না আসে তো মনটাকে একটা কাজ দিয়ে দিন। 
পৃথিবী আনন্দময় হোক
আরেকটা কথা, সোশ্যাল মিডিয়ায় সবসময় নিজেকে ডুবিয়ে রাখবেন না। এতে মানসিক রোগী হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে প্রবল! যারা এর ধারক-বাহক, মানে এসব পরিচালনা করেন তারা সবাই কিন্তু নিজেকে প্রকৃতির কাছাকাছিই রাখেন। দিন শেষে প্রকৃতিই সব! u

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মন র ল গ ম প রক ত আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটোছুটির মধ্যে কাটছে মিমের পূজা

শারদীয় দুর্গাপূজা—হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঢাকের তালে, উলুধ্বনির সুরে, আলোকসজ্জার ঝলকে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে প্রতিটি পূজামণ্ডপ। এই আনন্দে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও যুক্ত হয়েছেন।  

চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমও মণ্ডপে ঘুরে বেরিয়ে সেই আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন। পূজার কেনাকাটা বিষয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “পূজার জন্য একটি শাড়ি কিনেছি। কিছু শাড়ি পছন্দ করেও রাখছিলাম। পরে অনেকগুলো শাড়ি উপহার হিসেবে পেয়েছি। প্রতিবছর এমনই হয়, অনেক শাড়ি পাই। আমি কিছু কেনার আগেই সবাই উপহারগুলো দিয়ে থাকেন। সবগুলোই আমার পছন্দের রঙের। এটা আমার কাছে বিশেষ সারপ্রাইজের মতো।” 

আরো পড়ুন:

তারাদের ভার্চুয়াল কলমে বৈশাখের শুভেচ্ছা

মেলায় গিয়ে নাগরদোলায় চড়ার আনন্দ অন্যরকম ছিল: মিম

পূজার সময়টা ছুটোছুটির মধ্যে কাটছে মিমের। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেই রাজশাহী আসা হয়। এটা আমার পছন্দের জায়গা। আজই আবার ঢাকায় ফিরব। পরে যেতে হবে কুমিল্লায়। দুর্গাপূজার শেষ সময় ছুটোছুটির মধ্য দিয়েই কেটে যায়। উৎসবমুখর পরিবেশে ঘুরতে ঘুরতেই সময়টা কেটে যায়। এটাও বেশ উপভোগ করি।” 

শৈশবের পূজায় প্রণামি ঘিরে অনেক মজার ঘটনা ঘটত। এ বিষয়ে মিম বলেন, “এটা সালামির মতোই। আগে সবার কাছে গিয়ে প্রণামি চাইতাম। কেউ কম দিলে নিতাম না। কেউ কেউ অনেক টাকা দিতেন। সেগুলো জমাতাম। এখন শৈশবের মতো আবদারের বিষয় থাকে না। বড়রা এমনিতেই প্রণামি দেয়। তবে এখন আমাকেই বেশি দিতে হয়।” 

পূজার জন্য অপেক্ষার বিশেষ কারণ ব্যাখ্যা করে মিম বলেন, “সাজপোশাক তো থাকেই। তবে আলাদা আকর্ষণ থাকে নানা রকম খাবার নিয়ে। এই সময়টা পছন্দের খাবার বেশি রান্না করা হয়। এগুলো বেশ উপভোগ করি।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছুটোছুটির মধ্যে কাটছে মিমের পূজা