সিদ্ধিরগঞ্জে তিতাস কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি
Published: 30th, July 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১ নং ওয়ার্ড বাতানপাড়া এলাকায় এক বাড়ি থেকে নিজেকে তিতাস কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মিঠু নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক লক্ষ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
তিতাসের সংযোগ বিচ্ছিন্নের ভয় দেখিয়ে এই টাকা হাতিয়ে নেয় মিঠু। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস অফিসে মিঠু নামে এক ব্যক্তি রয়েছে। তিনি লিকেজের কাজ করেন। জুলাই ৭ তারিখ সোমবার লিকেজের কাজের জন্য বাতানপাড়া এলাকায় যান মিঠু।
মিঠু লিকেজের কাজ শেষে দুপুর ১২.
ভুক্তভোগী বয়স্ক নারী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের সকল কাগজপত্র সঠিক থাকার পরেও নিজেকে নারায়ণগঞ্জ তিতাসের অফিসার পরিচয় দিয়ে এবং গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের ভয় দেখিয়ে ১ লক্ষ টাকা নিয়েছে। তিতাসের যিনি আমাদের বাড়িতে এসেছে তার ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। এই মিঠুর চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ মিঠু পুরো নারায়ণগঞ্জের অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীদের কাছ থেকে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে জানা যায়। নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা বিভিন্ন অভিযানে গেলে মিঠু অবৈধ সংযোগকারীদের মোটা অংকের টাকার বিনিময় তাদের গ্যাস সংযোগ রক্ষা করেন এবং প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন।
উক্ত বিষয়ে মুঠোফোনে মিঠু জানায়, আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা আনিনি।
নারায়ণগঞ্জ তিতাসের ম্যানেজার মোস্তাক মাসুদ ইমরানের মুঠোফোনে বলেন, লিকেজের কাজ করে যে মিঠু সে আমার অধীনে না। তারপরেও বিষয়টি দেখে মিঠুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
নারায়ণগঞ্জ তিতাসের ম্যানেজার নুরুল আফসার বলেন, লিকেজের কাজ করে মিঠু। মিঠু কারো বাড়িতে গিয়ে গ্যাসের বই চাওয়ার এখতিয়ার নেই। মিঠু যদি কারো বাড়িতে গিয়ে টাকা নিয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ন র য ণগঞ জ ত ত স লক ষ ট ক
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ