দেশের বাজারে আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি প্রযুক্তিনির্ভর নতুন স্মার্টফোন এনেছে ভিভো। ‘ভিভো ওয়াই৪০০’ মডেলের পানিরোধী ফোনটি ২ মিটার গভীর পানিতে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট পর্যন্ত নিরাপদ থাকে। ফলে পানির নিচে ছবি তোলার পাশাপাশি পানিতে পড়ে গেলেও ফোনটি নষ্ট হয় না। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ভিভো বাংলাদেশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৬ দশমিক ৬৭ ইঞ্চি অ্যামোলেড পর্দার ফোনটির রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ। পাশাপাশি পর্দার উজ্জ্বলতা ১ হাজার ৮০০ নিটস হওয়ায় সহজেই উন্নত রেজল্যুশনের ছবি ও ভিডিও দেখা যায়। ফোনটির পেছনে ৫০ ও ২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরা রয়েছে। সামনে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা।

স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসরে চলা ফোনটিতে ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির পাশাপাশি ৪৪ ওয়াটের ফ্ল্যাশ চার্জিং সুবিধা থাকায় দ্রুত চার্জ করা যায়। ফলে ব্যাটারির চার্জ শেষ হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয় না। ৮ গিগাবাইট র‍্যামযুক্ত ফোনটি দুটি সংস্করণে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ১২৮ গিগাবাইট ও ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটির দাম যথাক্রমে ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা ও ২৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। ফোনটি কেনার আগাম ফরমাশ দিলে পাওয়ার ব্যাংকসহ বিভিন্ন পুরস্কার পাওয়া যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এই সিনেমা দেখা কঠিন, ভুলে যাওয়া আরও কঠিন

শুরুতে পূর্বাভাস ছিল, সিনেমায় কী থাকতে পারে। সেটা সত্যি করে পরের দিকে বেশ কয়েকটি অস্বস্তিকর দৃশ্য আছে। এ ধরনের সিনেমায় অভ্যস্ত হয়ে না থাকলে গা গুলিয়ে উঠতে পারে। তবে পর্দায় দেখে যতটা না অস্বস্তি, তার চেয়ে বেশি অস্বস্তি তৈরি হয় নির্মাতাদ্বয়ের তৈরি করা আবহের জন্য। তাই সিনেমাটি দেখা কঠিন বটে, এর চেয়েও কঠিন দেখার পর ভুলে যাওয়া। চলতি বছরের আলোচিত অস্ট্রেলিয়ান হরর সিনেমা ‘ব্রিং হার ব্যাক’ শেষ করার পর তাই পরিতৃপ্তির রেশ থেকে যায় অনেকক্ষণ।
কয়েক বছর ধরেই আলোচিত অস্ট্রেলিয়ান যমজ ভ্রাতৃদ্বয় ড্যানি ও মাইকেল ফিলিপো। ইউটিউবে হরর ভিডিও বানিয়ে দুনিয়াজুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন। জিতেছেন বহু পুরস্কার। ২০২৩ সালে তাঁরা সুপারন্যাচারাল হরর সিনেমা ‘টক টু মি’ বানিয়ে চমকে দেন। সানড্যান্স উৎসবে প্রিমিয়ারের পর দুনিয়াজুড়ে হইচই পড়ে যায়। দুই বছরের বিরতির পর এবার তাঁরা হাজির ‘ব্রিং হার ব্যাক’ নিয়ে। এটিও যে হরর সিনেমা, সেটা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝে গেছেন।

এক নজরে
সিনেমা: ‘ব্রিং হার ব্যাক’
ধরন: সুপারন্যাচারাল হরর
পরিচালনা: ড্যানি ও মাইকেল ফিলিপো
অভিনয়ে : বিলি ব্যারেট, সোরা ওং, স্যালি হকিন্স ও জোনা রেন ফিলিপস
স্ট্রিমিং: অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও ও অ্যাপল টিভি প্লাস
দৈর্ঘ্য: ১০৪ মিনিট

চলতি বছরের ২৯ মে অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তির পরই আলোচনায় আসে সিনেমাটি। পরে এটি যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি দেয় প্রযোজনা সংস্থা এ২৪। আগামী ১ আগস্ট যুক্তরাজ্যে মুক্তি পাবে ‘ব্রিং হার ব্যাক’। ১৫ মিলিয়ন ডলার বাজেটের সিনেমাটি এর মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ২৩ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে, পেয়েছে সমালোচকদের উচ্চ কণ্ঠ প্রশংসাও। কিন্তু কী আছে এত আলোচিত সিনেমাটিতে?

ঘটনাস্থল দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার শহরতলি অ্যাডিলেড। আলো–ছায়া বুঝতে পারলেও আইনগতভাবে অন্ধ পাইপার (সোরা ওং) ও তার বড় ভাই অ্যান্ডি (বিলি ব্যারেট) একদিন বাড়ি ফিরে দেখে, তাদের বাবা বাথরুমে পড়ে আছেন কোনো একধরনের খিঁচুনিতে আক্রান্ত হয়ে। মারা গেছেন অনেকক্ষণ আগেই। দুই ভাই–বোন এতিম হয়। বয়সে প্রায় ১৮ ছোঁয়া অ্যান্ডি ঠিক করে, যত দিন না সে পাইপারের অভিভাবকত্ব আইনিভাবে নিতে পারছে, একসঙ্গেই থাকবে। কিন্তু অ্যান্ডির ১৮ বছর হওয়ার আগপর্যন্ত সরকারি নিয়মে তাদের একজন পালক মা প্রয়োজন। সেই পালক মা লরা (স্যালি হকিন্স)। অভিজ্ঞ শিশু মনোরোগবিশেষজ্ঞ ও সমাজকর্মী। তার বড়, নির্জন বাড়িতে দুই ভাই–বোন হাজির হয়।

‘ব্রিং হার ব্যাক’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ