নিরাপদ খাদ্য ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অপরিহার্য- এমন মন্তব্য করেছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। 

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ইতোমধ্যে বিভিন্ন খাতে কার্যরত প্রতিষ্ঠানগুলোকে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ দিয়ে ভোক্তার আস্থা অর্জনের কাজ করছে।’’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) মিলনায়তনে বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিল্প উপদেষ্টা বলেন, ‘‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতই দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড এবং অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি জিডিপিতে এই খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাক্রেডিটেশন সনদ এসএমই খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি, গুণগত মান নিশ্চিত এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা শক্তিশালী করতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।’’

তিনি আরও জানান, বিএবি এখন পর্যন্ত ৯০টি পরীক্ষাগার, ২২টি মান নির্ধারণ পরীক্ষাগার, ৯টি চিকিৎসা পরীক্ষাগার, ৩০টি পরিদর্শন সংস্থা এবং ৪টি সনদ প্রদানকারী সংস্থাসহ মোট ১৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ দিয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন সংস্থায় গুণগত মান ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠায় ২ হাজার ৮৯৩ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.

ওবায়দুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান, বিআইএমের মহাপরিচালক ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বিএবির মহাপরিচালক এম এ কামাল বিল্লাহ।

চলতি বছরের বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ক্ষমতায়ন’। এ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপমহাব্যবস্থাপক ফাহিম বিন আসমত।

অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গুণগত মান ও অ্যাক্রেডিটেশন খাতের বিশেষজ্ঞ, বাণিজ্য সংগঠন ও শিল্প-ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

ঢাকা/এএএম//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ ণগত ম ন ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

আইপিওর অর্থ এসএমইতে বিনিয়োগ করবে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক

পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ এসএমইতে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ ব্যয়ের জন্য সময় চায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আগামী ২০২৬ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত আইপিও অর্থ ব্যয়ের সময়সীমা বাড়াতে চায় ব্যাংকটি।

বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, শেয়ারহোল্ডার, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের (যদি থাকে) অনুমোদন সাপেক্ষে, আইপিওর অবশিষ্ট পরিমাণ অর্থে ব্যবহার ২০২৬ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ আরো অতিরিক্ত ২৪ মাস সময় বৃদ্ধি করা।

এছাড়া শেয়ারহোল্ডার, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের (যদি থাকে) অনুমোদন সাপেক্ষে ‘আনুমানিক আইপিও ব্যয়’ শিরোনামে অবশিষ্ট ৩১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২ টাকা এসএমই বিনিয়োগ শিরোনামে স্থানান্তর করা।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি পুঁজিবাজার থেকে আইপিও’র মাধ্যমে ৪২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। সংগহীত অর্থ দিয়ে ব্যাংকটি এসএমই, সরকারি সিকিউরিটিজ ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের ব্যয় নির্বাহ করবে বলে জানায়।

ঢাকা/এনটি/

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ
  • স্টার্ট-আপ খাতে অর্থায়ন সহজ করতে মাস্টার সার্কুলার জারি
  • আইপিওর অর্থ এসএমইতে বিনিয়োগ করবে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক