ভাইরাল সেই ছবির সাহায্যকারী ছেলেটির নাম মোস্তফা
Published: 30th, July 2025 GMT
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পেছনে মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি করছে। একটি ভবনে আগুন জ্বলছে। সেই ভবনের সামনে দগ্ধ, রক্তাক্ত এক ছেলেকে জড়িয়ে ধরে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে এক কিশোর। ভিডিও থেকে এই দৃশ্যের একটি ছবি তৈরি করেন কেউ একজন। ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনের ওপর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনার পর ছবিটি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মর্মস্পর্শী অনেক রূপক ক্যাপশন ছিল সেই ছবি ঘিরে। এর মধ্যে যে ক্যাপশনটি সবচেয়ে বেশি ঘুরতে দেখা যায়, সেটি হচ্ছে, ‘আমার বন্ধু আমাকে দেখে হাসল এবং তার শেষ কথাটা বলল, আমি জানতাম তুমি আসবে!’ এই ছবি ও রূপক ক্যাপশন কাঁদিয়েছে অসংখ্য মানুষকে।
বাস্তবে আহত ও সাহায্যকারী কিশোর কেউ কাউকে চেনে না, তারা সহপাঠী-বন্ধু নয়। ঘটনার সময় সাহায্যকারী কিশোর আহত সেই অচেনা কিশোরকে উদ্ধারে ছুটে গিয়েছিল। ভিডিওতে সাহায্যকারী কিশোরের চেহারা স্পষ্ট হলেও আহত কিশোরের শুধু পেছন দিকটা দেখা যায়।
খোঁজ করে জানা গেছে, ভাইরাল সেই ছবিতে আহত শিক্ষার্থীকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাওয়া কিশোরের নাম মো.
মোস্তফার বড় দুই বোন রাবেয়া আক্তার ও নাদিয়া আক্তার বিয়ে করে আলাদা সংসারে। এই বাসায় তিন ভাই মা–বাবার সঙ্গে থাকে। বড় ভাই মো. আবির হোসেন আন্তর্জাতিক ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন করার জন্য ইউরোপের দেশ লিথুয়ানিয়ায় যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছেন। তিন বছর মাদ্রাসায় পড়ে বাংলা মাধ্যমের স্কুলে ভর্তি হওয়ার কারণে কিছুটা পিছিয়ে মোস্তফা। ছোট ভাই মো. আদিব হোসেন মিকাইল তার সঙ্গে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।
আহত শিশুর কাছে দৌড়ে গিয়ে তাকে সহযোগিতা করার জন্য চিৎকার করে অন্যদের ডাকছিল মোস্তফা। তার এই ছবি অনেকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মো. আরমান হোসেন মোস্তফা (১৩) মাইলস্টোন স্কুলের বাংলা মাধ্যমের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।