ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পেছনে মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি করছে। একটি ভবনে আগুন জ্বলছে। সেই ভবনের সামনে দগ্ধ, রক্তাক্ত এক ছেলেকে জড়িয়ে ধরে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে এক কিশোর। ভিডিও থেকে এই দৃশ্যের একটি ছবি তৈরি করেন কেউ একজন। ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনের ওপর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনার পর ছবিটি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মর্মস্পর্শী অনেক রূপক ক্যাপশন ছিল সেই ছবি ঘিরে। এর মধ্যে যে ক্যাপশনটি সবচেয়ে বেশি ঘুরতে দেখা যায়, সেটি হচ্ছে, ‘আমার বন্ধু আমাকে দেখে হাসল এবং তার শেষ কথাটা বলল, আমি জানতাম তুমি আসবে!’ এই ছবি ও রূপক ক্যাপশন কাঁদিয়েছে অসংখ্য মানুষকে।

বাস্তবে আহত ও সাহায্যকারী কিশোর কেউ কাউকে চেনে না, তারা সহপাঠী-বন্ধু নয়। ঘটনার সময় সাহায্যকারী কিশোর আহত সেই অচেনা কিশোরকে উদ্ধারে ছুটে গিয়েছিল। ভিডিওতে সাহায্যকারী কিশোরের চেহারা স্পষ্ট হলেও আহত কিশোরের শুধু পেছন দিকটা দেখা যায়।

খোঁজ করে জানা গেছে, ভাইরাল সেই ছবিতে আহত শিক্ষার্থীকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাওয়া কিশোরের নাম মো.

আরমান হোসেন মোস্তফা (১৩)। সে মাইলস্টোন স্কুলের বাংলা মাধ্যমের ষষ্ঠ শ্রেণির মার্স (মঙ্গল গ্রহ) শাখার ছাত্র। ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ও আয়েশা বেগমের ২ মেয়ে ও ৩ ছেলের মধ্যে চতুর্থ সে। উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নির্মিত বহুতল ফ্ল্যাট ভবনের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে চার বছর ধরে বসবাস করছে মোস্তফার পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ওই বাসায় গিয়ে কথা হয় মোস্তফার মা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে। সে সময় উপস্থিত ছিল মোস্তফা। বাবা ছিলেন অফিসে।

মোস্তফার বড় দুই বোন রাবেয়া আক্তার ও নাদিয়া আক্তার বিয়ে করে আলাদা সংসারে। এই বাসায় তিন ভাই মা–বাবার সঙ্গে থাকে। বড় ভাই মো. আবির হোসেন আন্তর্জাতিক ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন করার জন্য ইউরোপের দেশ লিথুয়ানিয়ায় যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছেন। তিন বছর মাদ্রাসায় পড়ে বাংলা মাধ্যমের স্কুলে ভর্তি হওয়ার কারণে কিছুটা পিছিয়ে মোস্তফা। ছোট ভাই মো. আদিব হোসেন মিকাইল তার সঙ্গে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।

আহত শিশুর কাছে দৌড়ে গিয়ে তাকে সহযোগিতা করার জন্য চিৎকার করে অন্যদের ডাকছিল মোস্তফা। তার এই ছবি অনেকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মো. আরমান হোসেন মোস্তফা (১৩) মাইলস্টোন স্কুলের বাংলা মাধ্যমের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় বাঙালী নদী থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় বাঙালী নদী থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিলাদুন্নবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘নিহতের বয়স আনুমানিক ৩২ থেকে ৩৭ বছর। লাশটি অর্ধগলিত ছিল এবং নিহতের শরীরে কোনো পোশাক ছিল না। মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতে মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’’

আরো পড়ুন:

পিয়াইন নদীতে ‍নিখোঁজ বালু শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

দেবীগঞ্জে ধানখেত থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার

ঢাকা/এনাম/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ