চলতি বছরের তৃতীয় ছবি হিসেবে মাল্টিপ্লেক্সে ছয় কোটি টাকার টিকিট বিক্রি করল তানিম নূরের ‘উৎসব’। মুক্তির ৩৩ দিনে এ কীর্তি গড়েছে সিনেমাটি। স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস ও লায়ন সিনেমাসে এ টিকিট বিক্রি হয়েছে। সিনেমাটি পেছনে ফেলেছে ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া ‘দাগি’ সিনেমাকে।
সিনেমার নির্মাতা তানিম নূর প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাল্টিপ্লেক্সের মতো সিঙ্গেল স্ক্রিন ও দেশের বাইরে এখনো বেশ ভালো চলছে ‘উৎসব’। তবে সিঙ্গেল স্ক্রিনের আয়ের হিসাব কিছুটা জটিল ও সময়সাপেক্ষ হওয়াতে এখনো জানাতে পারিনি আমরা। আজ ৩৪তম দিন চলছে। গতকালও কয়েকটি হাউসফুল শো গেছে, আজকেও বেশ ভালো যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এখনো দর্শকের দারুণ আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি।’
দেশের মতোই ‘উৎসব’ চলছে বিদেশের মাটিতে। সিনেমাটি দেশের বাইরে মুক্তি পায় ২০ জুন। ১৭ দিনের হিসাব অনুযায়ী এটি শুধু উত্তর আমেরিকা থেকেই আয় করেছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ডলার।
পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ, এমন ট্যাগলাইন নিয়ে মুক্তি পায় তানিম নূরের সিনেমা ‘উৎসব’। মুক্তির পর দেখা গেল, কথাটা একেবারে মিথ্যা নয়। এবারের ঈদে ‘উৎসব’ হয়ে উঠেছে পারিবারিক দর্শকের প্রথম পছন্দ। দিন যত যাচ্ছে, ততই বাড়ছে সিনেমাটি ঘিরে দর্শকের আগ্রহ। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন দেশের নামকরা শিল্পীরা। জাহিদ হাসান, জয়া আহসান, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, তারিক আনাম খান, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সৌম্য জ্যোতি, সাদিয়া আয়মানসহ অনেকে।
সিনেমাটির গল্প লিখেছেন তানিম নূর, আয়মান আসিব স্বাধীন, সুস্ময় সরকার ও সামিউল ভূঁইয়া। ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফি হিসেবে কাজ করেছেন রাশেদ জামান। চিত্রনাট্য ও সংলাপ করেছেন আয়মান আসিব স্বাধীন ও সামিউল ভূঁইয়া।
ব্র্যাক ব্যাংক প্রেজেন্টস ‘উৎসব’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ডোপ প্রোডাকশনস, সহপ্রযোজনায় আছে চরকি। সিনেমার সহযোগী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে লাফিং এলিফ্যান্ট।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিএআরএফের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএআরএফ) প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ফল উৎসব পালন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়িতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
বিএআরএফের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সবুজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাওসার আজমের সঞ্চালনায় উৎসবে বক্তব্য দেন সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আহমেদ আলী চৌধুরী ইকবাল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুরাদ হাসান, বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মাসউদুল হক, বিএআরএফের সহসভাপতি চপল মাহমুদ, যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হুসাইন, অর্থ সম্পাদক আয়নাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ফারুক আহমাদ আরিফ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, সংবাদমাধ্যম কৃষিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে কোনো কোনো সময় নেতিবাচক সংবাদ কৃষিপণ্যের গ্রাহকদের মধ্যে এমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, যা উৎপাদন এবং এর সঙ্গে জড়িত কৃষকদের জন্য ক্ষতিকর হয়। একজন সংবাদকর্মী তার দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই এসব বিষয়ে সতর্ক থেকে সংবাদ পরিবেশন করবে বলে প্রত্যাশা করি।
তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের সবসময় সঠিক তথ্য সরবরাহ করতে হবে। সাংবাদিকদের ডাকে সাড়া দিতে হবে। অনেককে দিনের পর দিন ফোন করলে বা সাক্ষাৎ চাইলে দিতে চায় না। আবার অনেকেই তথ্য দিতে চায় না। এতে করে সাংবাদিকরা সঠিক তথ্য না পেয়ে বি়ভ্রান্ত হতে পারে। পরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলে সেটার ক্ষতি পোষাতে যোগাযোগ করে। এসব না করে শুরু থেকেই তথ্য দিতে হবে। সাংবাদিকদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে।