সেমিফাইনালেও পাকিস্তানের সঙ্গে খেলবে না ভারত, বাদ যুবরাজ-ধাওয়ানরা
Published: 30th, July 2025 GMT
ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসের (ডব্লুসিএল) সেমিফাইনালে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলবে না ভারত। ম্যাচ প্রত্যাখ্যান করায় টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে যুবরাজ সিং-শিখর ধাওয়ানদের দলটি। বিপরীতে না খেলেই ফাইনালে উঠেছে মোহাম্মদ হাফিজ, শহীদ আফ্রিদিদের পাকিস্তান।
সেমিফাইনালের আগে লিগ পর্বেও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করেছিল ভারত। তখন দুই দলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। সেমিফাইনালের ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল আগামীকাল বার্মিংহামে।
৬ দেশের সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডস শুরু হয় ১৮ জুলাই। এর দুই দিন পর লিগ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল ভারত-পাকিস্তানের। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা নিয়ে ভারতীয় নেটিজেনদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ভারতের শিখর ধাওয়ান, হরভজন সিং ও ইউসুফ পাঠানসহ ৫ ক্রিকেটার না খেলার সিদ্ধান্ত নেন। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি আর মাঠে গড়ায়নি।
লিগ পর্বের খেলায় পাকিস্তান ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর ভারত ৩ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ হলে দুই দল আবার সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়ে পড়ে। ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, ৩১ জুলাইয়ের সেমিফাইনাল ম্যাচটিও না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
আগেরবার লিগ পর্বের ম্যাচ হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করা হয়েছিল। এবার নকআউট ম্যাচ হওয়ায় লিগ পর্বে এগিয়ে থাকার সুবাদে পাকিস্তান ফাইনালে উঠেছে। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়নস ও দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নসের মধ্যকার জয়ী দলের বিপক্ষে খেলবে পাকিস্তান।
এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার জেরে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি হামলায়ও জড়ায় দুই প্রতিবেশী। ওই সময় ভারতের অভ্যন্তরে পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেটীয় সম্পর্কও ছিন্ন করার জোরালো আওয়াজ ওঠে। এমনকি ভারত আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টেও গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে না বলেও গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।
তবে গত সপ্তাহে এসিসি সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি নিয়ে যে সূচি ঘোষণা করেছে, তাতে ভারত-পাকিস্তান এক গ্রুপেই আছে। জাতীয় দল পর্যায়ে ভারত-পাকিস্তান একসঙ্গে খেলতে রাজি হওয়ার ঘটনার মধ্যেই সাবেক ক্রিকেটারদের অপেশাদার টুর্নামেন্টে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল ল গ পর ব হওয় র
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে দেশটির এল–ফাশের শহরের পতনের পর সেখানকার বাসিন্দারা ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা শহরটিতে আটকা পড়েছেন। গতকাল শনিবার ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের লড়াই চলছে। গত ২৬ অক্টোবর এল-ফাশের দখল করে নেয় আধা সামরিক বাহিনীটি। শহরটির পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুনসুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে২২ ঘণ্টা আগেএল–ফাশের শহর থেকে যাঁরা পালিয়ে কাছের তাউইলা শহরে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁরা বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা চালানোর কথা বলেছেন। তাঁদের ভাষ্য, এল–ফাশেরে মা–বাবার সামনে সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে। মানুষজন শহরটি থেকে পালানোর সময় তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাবে, ২৬ অক্টোবর থেকে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ শহরটি থেকে পালিয়েছেন।
শনিবার ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, এল–ফাশেরের বিপুল মানুষ ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছে। তাদের শহরটি ত্যাগ করতে দিচ্ছে না আরএসএফ ও তাদের সহযোগীরা। সংস্থাটির জরুরি বিভাগের প্রধান মাইকেল ওলিভিয়ার লাচেরিটে বলেন, এল–ফাশের থেকে যাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁরা কোথায়? সম্ভাব্য উত্তরটা হলো—তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরএসএফের হামলায় এল–ফাশেরে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে সুদানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দুই হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, এল–ফাশেরে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
সুদান ‘মহাবিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মধ্যে রয়েছে বলে শনিবার উল্লেখ করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল। বাহরাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেসামরিক লোকজনকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আরএসএফ। এরপরও এমন নৃশংসতার জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। একই সংবাদ সম্মেলনে সুদানের পরিস্থিতি ‘ভয়ংকর’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার।
আরও পড়ুনসুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন৭ ঘণ্টা আগে