প্রেম, পুরান ঢাকা আর হারানো দিনের টান ‘গুলবাহার’
Published: 4th, August 2025 GMT
‘গান গাই আমার মনরে বুঝাই / মন থাকে পাগলপারা / আর কিছু চাই না মনে গান ছাড়া’—ভালোবেসে গানেই ভালোবাসার এ মর্মবাণী লিখে গেছেন শাহ আবদুল করিম। কেবল শিল্পী বা সংগীতসংশ্লিষ্ট মানুষই নন, গানপ্রেমী মানুষ মাত্রই গানে শান্তি খুঁজে পান। সুখে–দুঃখে, প্রেমে–বিরহে গান হৃদয়কে আলোড়িত করে, প্রশান্তি দেয়। তাই তো মন খারাপে কেউ যেমন কানে হেডফোন লাগিয়ে গানে ডুব দেন, আবার আনন্দে গান বাজিয়ে আনন্দকে বাড়িয়েও নেন অনেকে। কিছু গান হৃদয় জুড়ে থাকে। খুব অল্প সময়ে ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মুখে মুখে। বর্তমান সময়ে যদিও সিনেমাসংশ্লিষ্ট গানের বাইরে দ্রুত মানুষ গ্রহণ করেছে এমন গানের খবর খুব একটা পাওয়া যায় না। এই আক্ষেপ, হতাশা কিছুটা হলেও মিটিয়েছে, ‘গুলবাহার’। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে ইউটিউবে প্রকাশের প্রায় দেড় মাস পরে গানটি পৌঁছেছে মানুষের কাছে। নতুন করে আশার আলো দেখেছে। সেই আশার জোয়ার এখনো চলছে। সব বয়সী শ্রোতা মুগ্ধতা নিয়ে যেমন শুনছেন, তেমনি গুনগুন করে কেউ কেউ গেয়েও উঠছেন, ‘লাল বাজারে গলির মোড়ে / পান দোকানের খরিদ্দার / বাকের আলীর আদুরে মেয়ে / নাম ছিল তার গুলবাহার’। কিন্তু এমন কী ঘটল যে প্রকাশের দেড় মাস পরে ‘গুলবাহার’ ছড়িয়ে পড়ল? তা ছাড়া শ্রোতারাই বা গানটিকে কেন এভাবে গ্রহণ করলেন?
১৭ মে ২০২৫ তারিখে ‘ঈশান এর গান’ ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় ‘গুলবাহার’। প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গানটির শিল্পী ঈশান মজুমদার বলেন, ‘“গুলবাহার” শুরুতে না ছড়ালেও রেসপন্স ভালো ছিল। কাছের মানুষজন ও নিয়মিত শ্রোতারা আমাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন ও অনুপ্রাণিত করেছেন। গানে কিংবা ভিডিওতে যেসব বিষয় ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলাম, দর্শকেরাও সেটা লক্ষ করেছেন। আমাদের কাজের প্রশংসা করেছেন।’
আরও পড়ুনঅদ্ভুত নস্টালজিয়া লুকিয়ে আছে...‘গুলবাহার’–এ মজেছেন শ্রোতারা০৮ জুলাই ২০২৫
শুরুর দিকে কী বলেছিলেন দর্শক
দুই মাস আগে ইউটিউবের মন্তব্যের ঘরে নিশীতা মিতু লিখেছিলেন, ‘১৭ মে আমার বিবাহবার্ষিকী ছিল। গানটা যেন বিশেষ দিনের উপহার। আমি আর আমার হাজব্যান্ড প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ বার গানটা শুনি।’ জয়া মল্লিকের মন্তব্য, ‘আমি ঠিক কি না জানি না। কিন্তু আমার মনে হলো গানটার স্থায়ীতে দুটো গানের টিউন আছে। একটা হলো বাচ্চাদের গান “একদিন ছুটি হবে”, আরেকটা আমার খুব প্রিয় গান “কফি হাউসের সেই আড্ডাটা” গানের এক অংশ “কাকে যেন ভালোবেসে আঘাত পেয়ে যে শেষে পাগলাগারদে আছে রমা রায়”। কিন্তু আমি কখনো ভাবিনি যে এটা এত সুন্দর শোনাবে। প্রতি কলিতে আলাদা আলাদা সুর। আর লাস্টের ওই হারমোনিয়াম অংশটা। এত সুন্দর! সব মিলিয়ে আ কমপ্লিট মাস্টারপিস।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এক হাতের ওকস, সিরাজের শাপমোচন ও টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য
এএফপি