‘গান গাই আমার মনরে বুঝাই / মন থাকে পাগলপারা / আর কিছু চাই না মনে গান ছাড়া’—ভালোবেসে গানেই ভালোবাসার এ মর্মবাণী লিখে গেছেন শাহ আবদুল করিম। কেবল শিল্পী বা সংগীতসংশ্লিষ্ট মানুষই নন, গানপ্রেমী মানুষ মাত্রই গানে শান্তি খুঁজে পান। সুখে–দুঃখে, প্রেমে–বিরহে গান হৃদয়কে আলোড়িত করে, প্রশান্তি দেয়। তাই তো মন খারাপে কেউ যেমন কানে হেডফোন লাগিয়ে গানে ডুব দেন, আবার আনন্দে গান বাজিয়ে আনন্দকে বাড়িয়েও নেন অনেকে। কিছু গান হৃদয় জুড়ে থাকে। খুব অল্প সময়ে ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মুখে মুখে। বর্তমান সময়ে যদিও সিনেমাসংশ্লিষ্ট গানের বাইরে দ্রুত মানুষ গ্রহণ করেছে এমন গানের খবর খুব একটা পাওয়া যায় না। এই আক্ষেপ, হতাশা কিছুটা হলেও মিটিয়েছে, ‘গুলবাহার’। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে ইউটিউবে প্রকাশের প্রায় দেড় মাস পরে গানটি পৌঁছেছে মানুষের কাছে। নতুন করে আশার আলো দেখেছে। সেই আশার জোয়ার এখনো চলছে। সব বয়সী শ্রোতা মুগ্ধতা নিয়ে যেমন শুনছেন, তেমনি গুনগুন করে কেউ কেউ গেয়েও উঠছেন, ‘লাল বাজারে গলির মোড়ে / পান দোকানের খরিদ্দার / বাকের আলীর আদুরে মেয়ে / নাম ছিল তার গুলবাহার’। কিন্তু এমন কী ঘটল যে প্রকাশের দেড় মাস পরে ‘গুলবাহার’ ছড়িয়ে পড়ল? তা ছাড়া শ্রোতারাই বা গানটিকে কেন এভাবে গ্রহণ করলেন?

১৭ মে ২০২৫ তারিখে ‘ঈশান এর গান’ ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় ‘গুলবাহার’। প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গানটির শিল্পী ঈশান মজুমদার বলেন, ‘“গুলবাহার” শুরুতে না ছড়ালেও রেসপন্স ভালো ছিল। কাছের মানুষজন ও নিয়মিত শ্রোতারা আমাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন ও অনুপ্রাণিত করেছেন। গানে কিংবা ভিডিওতে যেসব বিষয় ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলাম, দর্শকেরাও সেটা লক্ষ করেছেন। আমাদের কাজের প্রশংসা করেছেন।’

আরও পড়ুনঅদ্ভুত নস্টালজিয়া লুকিয়ে আছে.

..‘গুলবাহার’–এ মজেছেন শ্রোতারা০৮ জুলাই ২০২৫

শুরুর দিকে কী বলেছিলেন দর্শক
দুই মাস আগে ইউটিউবের মন্তব্যের ঘরে নিশীতা মিতু লিখেছিলেন, ‘১৭ মে আমার বিবাহবার্ষিকী ছিল। গানটা যেন বিশেষ দিনের উপহার। আমি আর আমার হাজব্যান্ড প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ বার গানটা শুনি।’ জয়া মল্লিকের মন্তব্য, ‘আমি ঠিক কি না জানি না। কিন্তু আমার মনে হলো গানটার স্থায়ীতে দুটো গানের টিউন আছে। একটা হলো বাচ্চাদের গান “একদিন ছুটি হবে”, আরেকটা আমার খুব প্রিয় গান “কফি হাউসের সেই আড্ডাটা” গানের এক অংশ “কাকে যেন ভালোবেসে আঘাত পেয়ে যে শেষে পাগলাগারদে আছে রমা রায়”। কিন্তু আমি কখনো ভাবিনি যে এটা এত সুন্দর শোনাবে। প্রতি কলিতে আলাদা আলাদা সুর। আর লাস্টের ওই হারমোনিয়াম অংশটা। এত সুন্দর! সব মিলিয়ে আ কমপ্লিট মাস্টারপিস।’

গত ১৭ মে প্রকাশিত হয়েছে ‘গুলবাহার’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

লিভারপুলের আর্জেন্টাইন হেডে ‘ভাঙল’ রিয়ালের কোর্তোয়া-দেয়াল

লিভারপুল ১-০ রিয়াল মাদ্রিদ

কিছু খেলোয়াড়ের জন্মই হয় বড় মঞ্চের জন্য। থিবো কোর্তোয়া কোন কাতারে পড়েন তা অনেকেরই জানা। বিশেষ করে লিভারপুল সমর্থকদের। তিন বছর আগের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল এত দ্রুত ভোলার কথা নয়।

সেই লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে আজ ম্যাচের ৫০ মিনিট পর্যন্ত কোর্তোয়ার নামের পাশে সেভ লেখা ৬টি! তবু শেষ রক্ষা হয়নি। ৬১ মিনিটে অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টারের হেড বেলজিয়ান এই গোলকিপার আর ফেরাতে পারেননি। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারের গোলই শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে লিভারপুলকে এনে দেয় ১-০ গোলের জয়।

গোলের আগ পর্যন্ত ম্যাচটি ছিল আসলে কোর্তোয়া বনাম লিভারপুল। প্রথমার্ধেই চারটি দারুণ সেভ করেন। দুই অর্ধ মিলিয়ে লিভারপুল মিডফিল্ডার দমিনিক সোবোসলাইয়ের একাধিক শট ফেরান কোর্তোয়া। ম্যাচের শেষ দিকেও নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন।

৮৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে মোহাম্মদ সালাহর শট বক্সে পেয়ে যান ডাচ ফরোয়ার্ড কোডি গাকপো। খুব কাছ থেকে তাঁর শট প্রথমে ঠেকান কোর্তোয়া। ফিরতি বলে সালাহর শট ফেরান রিয়াল ডিফেন্ডার এদের মিলিতাও।

প্রথমার্ধেও রিয়ালের এমন একটি নিশ্চিত গোল হজম থেকে বাঁচিয়েছেন কোর্তোয়া। ২৭ মিনিটে লিভারপুলের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান ভির্টৎসের ক্রস রিয়ালের গোলপোস্টের সামনে পান সোবোসলাই। তাঁর শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ডান পা দিয়ে ঠেকান কোর্তোয়া। প্রথমার্ধের শেষ দিকে লিভারপুলের গোলকিপার গিওর্গিও মামারদাশভিলির একবার পরীক্ষা নিতে পারে রিয়াল। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে জুড বেলিংহামের শট পা দিয়ে ঠেকান।

রিয়াল গোল হজম করেছে বেলিংহামের ভুলেই। ৬১ মিনিটে গ্রাভেনবার্চকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ইংল্যান্ড মিডফিল্ডার। ডান প্রান্তে ফ্রি কিক পায় লিভারপুল। সেখান থেকে সোবোসলাইয়ের মাপা শটে হেডে গোল করেন ম্যাক-অ্যালিস্টার।

বিস্তারিত আসছে…।

সম্পর্কিত নিবন্ধ