অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদিদের একটি অবৈধ বসতি পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের গতকাল সোমবারের এ সফর আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

মাইক জনসন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় সর্বোচ্চ পদমর্যাদায় থাকা ব্যক্তি। সাংবিধানিকভাবে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের পরই তাঁর অবস্থান। পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি পরিদর্শন করা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা তিনি।

পশ্চিম তীরে গত জুলাইয়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্রের দুজন নাগরিকও নিহত হন। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার চলা অবস্থায় পশ্চিম তীরে গেলেন জনসন।

ফিলিস্তিনের গাজায় নৃশংস আক্রমণ ও অবরোধ চলা অবস্থায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী পশ্চিম তীরেও একের পর এক প্রাণঘাতী তল্লাশি অভিযান, ঘরবাড়ি ভাঙচুর এবং বাস্তুচ্যুতির লক্ষ্যে অভিযান জোরালো করেছে।

এ পরিস্থিতিতে জনসনের পশ্চিম তীর সফরের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, এ সফর ‘সহিংসতার চক্রের অবসান’ করার জন্য আরব দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার পরিপন্থী। সেই সঙ্গে এটা বসতি স্থাপনকারীদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের সাধারণ মানুষের অবস্থানের বিরোধী।

মন্ত্রণালয় জানায়, তারা এটা নিশ্চিত করছে যে বসতি স্থাপনের সব কার্যকলাপ অবৈধ ও বেআইনি। এটা দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের (ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের) বাস্তবায়ন ও শান্তি অর্জনের সুযোগ ক্ষুণ্ন করে।

আরও পড়ুনগাজায় হামলা বন্ধে নেতানিয়াহুকে চাপ দিতে ট্রাম্পকে ইসরায়েলের সাবেক কর্মকর্তাদের চিঠি১২ ঘণ্টা আগে

ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের তথ্য, গতকাল রামাল্লার উত্তরে অ্যারিয়েল এলাকায় ইহুদি বসতি পরিদর্শন করেছেন জনসন।

পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অবৈধ। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত বছর তাঁর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরায়েলের উপস্থিতি বেআইনি এবং ‘যত দ্রুত সম্ভব’ তা বন্ধ করতে হবে।

জনসনের পরিদর্শনের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বসতি স্থাপনের বিষয়ে আমাদের অবস্থান আপনারা জানেন-আন্তর্জাতিক আইনে এটা অবৈধ।’

১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখলে নেয় ইসরায়েল। আর ১৯৮০ সাল থেকে পবিত্র শহরটি পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আরও পড়ুনফিলিস্তিনিদের হাতের মুঠোয় আনতেই কি স্বীকৃতির কথা সামনে আনা হচ্ছে১৮ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনজিম্মিদের কাছে ত্রাণ সরবরাহ করতে প্রস্তুত হামাস, আছে যেসব শর্ত১৩ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র ইসর য় ল র র অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পশ্চিম তীরে অবৈধ ইহুদি বসতি পরিদর্শনে মার্কিন স্পিকার, ফিলিস্তিনের নিন্দা

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদিদের একটি অবৈধ বসতি পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের গতকাল সোমবারের এ সফর আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

মাইক জনসন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় সর্বোচ্চ পদমর্যাদায় থাকা ব্যক্তি। সাংবিধানিকভাবে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের পরই তাঁর অবস্থান। পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি পরিদর্শন করা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা তিনি।

পশ্চিম তীরে গত জুলাইয়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্রের দুজন নাগরিকও নিহত হন। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার চলা অবস্থায় পশ্চিম তীরে গেলেন জনসন।

ফিলিস্তিনের গাজায় নৃশংস আক্রমণ ও অবরোধ চলা অবস্থায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী পশ্চিম তীরেও একের পর এক প্রাণঘাতী তল্লাশি অভিযান, ঘরবাড়ি ভাঙচুর এবং বাস্তুচ্যুতির লক্ষ্যে অভিযান জোরালো করেছে।

এ পরিস্থিতিতে জনসনের পশ্চিম তীর সফরের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, এ সফর ‘সহিংসতার চক্রের অবসান’ করার জন্য আরব দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার পরিপন্থী। সেই সঙ্গে এটা বসতি স্থাপনকারীদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের সাধারণ মানুষের অবস্থানের বিরোধী।

মন্ত্রণালয় জানায়, তারা এটা নিশ্চিত করছে যে বসতি স্থাপনের সব কার্যকলাপ অবৈধ ও বেআইনি। এটা দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের (ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের) বাস্তবায়ন ও শান্তি অর্জনের সুযোগ ক্ষুণ্ন করে।

আরও পড়ুনগাজায় হামলা বন্ধে নেতানিয়াহুকে চাপ দিতে ট্রাম্পকে ইসরায়েলের সাবেক কর্মকর্তাদের চিঠি১২ ঘণ্টা আগে

ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের তথ্য, গতকাল রামাল্লার উত্তরে অ্যারিয়েল এলাকায় ইহুদি বসতি পরিদর্শন করেছেন জনসন।

পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অবৈধ। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত বছর তাঁর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরায়েলের উপস্থিতি বেআইনি এবং ‘যত দ্রুত সম্ভব’ তা বন্ধ করতে হবে।

জনসনের পরিদর্শনের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বসতি স্থাপনের বিষয়ে আমাদের অবস্থান আপনারা জানেন-আন্তর্জাতিক আইনে এটা অবৈধ।’

১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখলে নেয় ইসরায়েল। আর ১৯৮০ সাল থেকে পবিত্র শহরটি পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আরও পড়ুনফিলিস্তিনিদের হাতের মুঠোয় আনতেই কি স্বীকৃতির কথা সামনে আনা হচ্ছে১৮ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনজিম্মিদের কাছে ত্রাণ সরবরাহ করতে প্রস্তুত হামাস, আছে যেসব শর্ত১৩ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ