ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সকাল থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। চার পাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের আগে একাধিক স্তরে তল্লাশি করা হচ্ছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের এ অনুষ্ঠানে বড় জমায়েত হবে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক লোক আসবে। সেখানে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব না হয়, সেজন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিকেল ৫টায় সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, জুলাই শহীদ পরিবারের প্রতিনিধি ও আহত যোদ্ধাদের উপস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারসহ অন্যান্য গণমাধ্যম অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।

* সকাল ১১টায় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
* বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইউনূস ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন।
* সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে বিশেষ ড্রোন শো।
* রাত ৮টায় জনপ্রিয় ব্যান্ডদলের পরিবেশনার মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।

ঢাকা/এমআর/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধাদের দুই গ্রুপের ধস্তাধস্তি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের কালেক্টরেট চত্বরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাারের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ইউনিটের সাবেক সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তৃতা করতে গেলে আরেক ছাত্রনেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজীর পক্ষের লোকজন তাকে ‘চাঁদাবাজ’ ও ‘ভুয়া’ বলে দুয়োধ্বনি দিতে থাকেন। এ সময় সাব্বিরের পক্ষের লোকজনও তাদের উদ্দেশে দুয়োধ্বনি দেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ ধস্তাধস্তিতে জড়ায়। জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ ও জেলা পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে আবার শুরু হয় অনুষ্ঠান।

ছাত্রনেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী সাংবাদিকদের বলেছেন, “অনুষ্ঠানে আমি বাধা দেওয়ার কেউ না। আমি বাধা দিইনি। জুলাই যোদ্ধাদের কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তাদের কোনো মূল্যায়নই করা হয়নি। এই অকৃতজ্ঞতার প্রতিবাদ জানিয়েছি সচেতন নাগরিক হিসেবে।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন বলেছেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানটি জেলা প্রশাসনের। এটি আমাদের নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান নয়। এখানে দাওয়াত দেওয়ার বিষয়ে আমরা কেউ না। এই অনুষ্ঠানে আমাদের কোনো দায়িত্বই ছিল না। শুধু তাই নয়, আমাকে বক্তৃতার জন্য ডাকা হবে, এটা আমি নিজেও জানতাম না।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ মো. রেজাউল করিম বলেছেন, “মঞ্চে জুলাই যোদ্ধাদের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ওই দুই গ্রুপের মধ্যে পূর্ববিরোধ ছিল। এ নিয়েই তাদের ঝামেলা হয়েছে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবারও অনুষ্ঠান শুর হয়।”

এ বিষয়ে কথা বলতে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

ঢাকা/শিয়াম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ