গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানায় মো. আফছার উদ্দিন নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছেন তার সহকর্মীরা। ২৫ বছরের কর্মজীবন শেষে বিদায়বেলায় সহকর্মীদের ভালোবাসায় আপ্লুত তিনি। আফছার উদ্দিনের চাকরিজীবন শুরু হয়েছিল গাজীপুরে, শেষও হলো এ জেলাতেই। গত ৩১ জুলাই (মঙ্গলবার) ছিল মো. আফছার উদ্দিনের শেষ কর্মদিবস।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে কালীগঞ্জ থানা প্রাঙ্গণে আবেগঘন পরিবেশে আফছার উদ্দিনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে বিদায়ী সহকর্মীকে থানা ভবন থেকে প্রাইভেটকার পর্যন্ত নিয়ে যান পুলিশের সদস্যরা। গাড়িটি আগে থেকেই ফুলে সাজানো ছিল। 

আফছার উদ্দিন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পিচুরিয়া গ্রামের মৃত শহিদ আলীর ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনিই বড়। ২০০০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় তার কর্মজীবন। এর পর নেত্রকোনা, পুলিশ সদর দপ্তর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ (ডিএমপি) বিভিন্ন ইউনিটে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে বিএনপির ২ পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার

শেষ কর্মস্থল কালীগঞ্জ থানায় তার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয় গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার ড.

চৌধুরী মো. যাবের সাদেকের নির্দেশনায়। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন এ আয়োজনের নেতৃত্ব দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশরাফুল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার মাসুদ রানা শামীম, সব এসআই, এএসআইসহ অন্য সদস্যরা।

অনুষ্ঠানে আফছার উদ্দিনকে ক্রেস্ট ও ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বিদায় জানানো হয়। সহকর্মীদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় আপ্লুত আফছার উদ্দিন বলেছেন, “চাকরি জীবনের শেষে এমন বিদায় পাব, কখনো ভাবিনি। সহকর্মীদের এ সম্মান আমার জীবনের বড় অর্জন। চেষ্টা করেছি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের। হয়ত সেটাই তাদের ভালো লেগেছে। গাজীপুর দিয়েই আমার চাকরি শুরু, গাজীপুরেই শেষ— এটাও আমার জন্য গর্বের।”

আফছার উদ্দিন এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা। ছেলে মিরপুর বাংলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে এবং মেয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্কুল থেকে সদ্য এসএসসি পাস করেছে। 

ওসি মো. আলাউদ্দিন বলেছেন, “আফছার উদ্দিনের সততা, দায়িত্ববোধ ও সহকর্মীসুলভ আচরণ ছিল সবার জন্য শিক্ষনীয়। তার অবসরে যাওয়াকে আমরা সম্মানের সঙ্গে স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছি।”

ঢাকা/রফিক সরকার/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সহকর ম

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী নিহত

রাজধানীর খিলক্ষেত থানার মস্তুল এলাকার ৩০০ ফুট সড়কে আজ শুক্রবার বিকেলে চলন্ত একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী এক যুবক মারা গেছেন। তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি। পথচারীরা রক্তাক্ত অবস্থায় বাইসাইকেল আরোহী অজ্ঞাত ওই যুবক ও তাঁর সহকর্মী মনির হোসেন মাতুব্বরকে (২৭) কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অজ্ঞাত যুবককে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মনির হোসেনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।  

রাতে মনিরের ভগ্নিপতি কামাল হোসেন মাস্টার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে মনিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মনির স্যানিটারি মিস্ত্রি। আজ বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে মাস্তুল এলাকা থেকে কাজ শেষে মনির তাঁর সহকর্মীকে বাইসাইকেলে নিয়ে দুজন তাঁদের বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মস্তুল নামক এলাকায় ৩০০ ফুট সড়কে চলন্ত একটি মোটরসাইকেল তাঁদের বাইসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে তাঁরা দুজন বাইসাইকেল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন। মনির হোসেন খিলক্ষেতের ডুমনি এলাকায় থাকেন।

রাতে যোগাযোগ করা হলে খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দুর্ঘটনায় বাইসাইকেল আরোহী এক যুবক মারা গেছেন। তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাঁর বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর হতে পারে।  

খিলক্ষেত থানার সহকারী উপপরিদর্শক সাইদুল ইসলাম জানান, তিনি কুর্মিটোলা হাসপাতালে গিয়ে জেনেছেন মনির হোসেন ছাড়াও মোটরসাইকেলের দুই আরোহীকে ওই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী নিহত