সুনামগঞ্জে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ৩
Published: 6th, August 2025 GMT
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় বাসের ধাক্কায় সিএনজি চালিত অটোরিকশায় থাকা তিন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী ছিলেন।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শহরের আরপিনগর এলাকার দোলোয়ার হোসেনের মেয়ে আফসানা খুশী (১৭), শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস গ্রামের বিপুল চক্রবর্তীর মেয়ে ও সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্নেহা চক্রবর্তী (১৮) এবং শহরের আলীপাড়ার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই শিক্ষার্থী সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট থেকে অন্যান্য যাত্রীদের সাথে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় চড়ে শহরে ফিরছিলেন।
পথে সদর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস অটোরিকশাটিকে সামনে থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই শফিকুল ইসলাম ও আফসানা খুশী নামে দুজনের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত স্নেহাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠালে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরো দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের এম জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ ট্রাফিক ইনচার্জ মোহাম্মদ হানিফ মিয়া বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। মরদেহগুলো উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে।”
ঢাকা/মনোয়ার/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন মগঞ জ উপজ ল র র এল ক
এছাড়াও পড়ুন:
সকালে বাড়ি থেকে এসেছি, কী এমন ঘটল যে সন্ধ্যায়ই বাবাকে চলে আসতে হলো
সন্ধ্যা ছয়টার মতো বাজে। নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের রুমে রুমে লাইট জ্বলে উঠেছে। হলে আজই আমার প্রথম দিন। সকালে মেজদা এসে হলের গেটে নামিয়ে দিয়ে গেছে। নতুন নতুন মানুষ দেখে শুরুতে আনন্দই লেগেছে।
তবে সন্ধ্যার মুহূর্তটা কেমন যেন বিষণ্ন করে তুলেছে। পরিবার ছেড়ে কোনো দিন আলাদা থাকিনি, সেই কষ্ট জেগে উঠেছে। নানা কিছু ভাবছি, এমন সময় কেয়ারটেকার এসে বললেন, ‘গেটে আপনার বাবা এসেছেন।’
তাঁর কথা শুনে তো আমি হতবাক! সকালে বাড়ি থেকে এসেছি, কী এমন ঘটল যে সন্ধ্যায়ই বাবাকে চলে আসতে হলো! উৎকণ্ঠা আর শঙ্কা নিয়ে গেটের দিকে ছুটলাম। গেটে গিয়ে দেখি ছলছল চোখে দাঁড়িয়ে আছেন বাবা।
বাবাকে আর বলতে পারলাম না যে এই অসময়ে কেন এসেছেন? কাছে যেতেই জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাবা। বাবার কান্না দেখে আশপাশের মেয়েরাও চোখের পানি সামলাতে পারল না।
মেজদার সঙ্গে সকালে আসার সময় বাবা বাড়িতে ছিলেন না। বুঝতে পারলাম বাড়িতে আমার অনুপস্থিতি বাবা সহ্য করতে পারেননি। তাই দুপুরে রওনা দিয়ে চলে এসেছেন।
আরও পড়ুনশবনম ফারিয়ার বিয়ের ১০টি ছবি৯ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাসে বাবাকে নিয়ে ঘুরলাম। ঘণ্টাখানেক পার করে অনেকটা জোর করেই তাঁকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম। জোরাজুরি করে পাঠিয়ে দিয়েছি বলে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি! স্কুলের দিনগুলোর মতো বাড়িতে থাকলে নিশ্চয়ই সে রাতেও চুলে বিলি কেটে দিতেন বাবা।
আজ এত দিন পরও বাবার সেদিনের স্মৃতি ভুলতে পারি না। আমার বাবা শিক্ষক মানুষ। তাঁর হাত ধরেই আমাদের ভাইবোনদের স্কুলজীবন কেটেছে। মেঠোপথ দিয়ে বাবার সঙ্গে স্কুলে যেতাম। ‘মাস্টারের মেয়ে’ বলে স্কুলে অন্যদের কাছে বাড়তি কদরও পেতাম।
আমরা চার বোন। আমাদের মধ্যে নাকি তাঁর মাকে খুঁজে পান বাবা। তাই এখনো তাঁর কন্যাদের ‘মা’ বলে ডাকেন!
বাবা এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। তাঁকে নিয়ে কত স্মৃতি। কন্যাসন্তান বলে বাবার কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারিনি। তাই নিজেকে অনেক সময় অনেক অসহায় লাগে।
আরও পড়ুনবাইচের একটি নৌকা ঘিরে যেভাবে এক হয়েছেন সুনামগঞ্জের এই গ্রামের মানুষ১২ ঘণ্টা আগেআপনিও লিখুনপ্রিয় পাঠক, আপনিও লিখুন ‘ছুটির দিনে’র নিয়মিত বিভাগ ‘জীবন যেমন’–এ। লিখে জানাতে পারেন জীবনের কোনো সুখ–স্মৃতি, রোমাঞ্চ–জাগানিয়া ঘটনা, উত্থান–পতন, পাওয়া না–পাওয়ার গল্প।
লেখা পাঠানোর ঠিকানা
প্র ছুটির দিনে, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা–১২১৫
ই-মেইল: [email protected]
ফেসবুক পেজ: fb.com/ChutirDine
খামের ওপর বা ই–মেইলের subject-এ লিখুন ‘জীবন যেমন’।
আরও পড়ুননারায়ণগঞ্জের এই বাড়ি স্থাপত্যের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে স্বর্ণপদক জিতেছে১০ ঘণ্টা আগে