জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিভিন্ন ঘটনা ও প্রশাসনের নিরবতার প্রতিবাদে ‘বহুতদিন অইয়ে আর মুলা ন ঝুলায়ো’ শিরোনামের পথনাটক করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ পথনাটক করেন নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগের ১০ জন শিক্ষার্থী। 

আরো পড়ুন:

বহিরাগতদের মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পা ভাঙল রাবি শিক্ষার্থীর, প্রতিবাদে মানববন্ধন

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: সাবেক উপাচার্যসহ ২৪ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নাটকে অংশ নেওয়া ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো.

উলফাতুর রহমান রাকিব বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আসা প্রশাসন আমাদের বিভিন্ন দাবি পূরণের আশা দিলেও কোনো কিছুই করেনি। এজন্য মূলত আজকের এই প্রতিবাদী নাটক করেছি। নাটকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফোকাস করেছি আবাসন সংকট নিয়ে। উপাচার্য স্যার বাঙ্কবেডের মাধ্যমে আবাসনের ব্যবস্থা বাড়ানোর কথা বললেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।”

তিনি বলেন, “এরপর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বাসা বাড়ার মূল্য অনেক বেশি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহন করা খুব কষ্টসাধ্য। এছাড়া আরো বিভিন্ন বিষয় নাটকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।”

নাট্যকলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহামুদুল ইসলাম বাঁধন বলেন, “আমরা যেহেতু নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী, তাই বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নাটকের ভাষায় তুলে ধরি।”

তিনি বলেন, “ক্যাম্পাসে সমসাময়িক ইস্যু গুপ্তহামলার বিচার না হওয়া, চাকসু নির্বাচনের ধীরগতি, আবাসন সংকট ইত্যাদি সমস্যাগুলো নাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছি। আর আশ্বাসে সীমাবদ্ধ না থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা।”

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন টক ন ট যকল

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে