চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের ভগ্নিপতিকে দাওয়াত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে একটি কনভেনশন সেন্টারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বর-কনের দুই পক্ষের সাতজন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার বৈলছড়ী ইউনিয়নের চেচুরিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, চেচুরিয়া এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে বিয়ের আয়োজন চলছিল। দুপুরের দিকে দুই পক্ষের আত্মীয়স্বজন খাওয়াদাওয়া শেষ করেন। বিকেলে কনেকে গাড়িতে তোলার মুহূর্তে কয়েকজন ব্যক্তি সেখানে ঢুকে হামলা চালান।

এ সময় নববধূর পরিহিত স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে বর ও কনে উভয় পক্ষের সাতজনকে মারধর করা হয়। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, বিয়ের আগে বরের বোনের পরিবারের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। বিদেশে কর্মরত বর বোনের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার বিক্রি করে টাকা নিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে সেই স্বর্ণ ফেরত না দেওয়া এবং বিয়েতে বোনের পরিবারকে দাওয়াত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভাইবোনের মধ্যে পারিবারিক ঝামেলার কথা শুনেছি। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

লুণ্ঠিত অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধারে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা

সরকার বাংলাদেশ পুলিশের লুণ্ঠিত বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে উৎসাহ দিতে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছে। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রকৃত সন্ধানদাতাদের পুরস্কৃত করা হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এলএমজি (লাইট মেশিন গান) সন্ধানদাতাদের জন্য পাঁচ লাখ টাকা, এসএমজি (সাবমেশিন গান) দেড় লাখ টাকা, চায়না রাইফেল এক লাখ টাকা এবং পিস্তল ও শটগানের জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রতিটি গুলির জন্য পৃথকভাবে পুরস্কার ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা।

পুলিশ সদর দপ্তর লুণ্ঠিত অস্ত্র বা গোলাবারুদের সন্ধানদাতাকে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছে। অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধারে প্রকৃত সন্ধানদাতার পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে অনুষ্ঠিত গত ২৭ অক্টোবর বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারের তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ