ভাটারা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকা‌লে ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। 

পুলিশ জানায়, সুমাইয়া জাফ‌রিনকে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থে‌কে গ্রেপ্তার করা হয়। এই রাষ্ট্রবি‌রোধী ষড়যন্ত্রের ঘটনায় জাফরিনের কী ভূ‌মিকা ছি‌লো তা খতিয়ে দেখা হ‌চ্ছে ব‌লেও জানান তি‌নি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জন‌কে গ্রেপ্তার করা হ‌য়ে‌ছে। তা‌দের জিজ্ঞাসাবো‌দে নতুন নতুন তথ্য সাম‌নে আস‌ছে ব‌লেও জানান এ পু‌লিশ কর্মকর্তা। 
ঢাকার বসুন্ধরায় একটি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে বুধবার সন্ধ্যায় সুমাইয়া জাফরিনকে হেফাজতে নেয় ডিবি পুলিশ।

গত ১০ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কেবি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এ বৈঠকে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মিলে প্রায় ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন।

গত ১ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১৭ জুলাই অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাকে উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পূর্ণ তদন্ত শেষ হওয়া সাপেক্ষে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হচ্ছে।

ঢাকা/এমআর/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত জ ফর ন

এছাড়াও পড়ুন:

লুণ্ঠিত অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধারে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা

সরকার বাংলাদেশ পুলিশের লুণ্ঠিত বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে উৎসাহ দিতে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছে। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রকৃত সন্ধানদাতাদের পুরস্কৃত করা হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এলএমজি (লাইট মেশিন গান) সন্ধানদাতাদের জন্য পাঁচ লাখ টাকা, এসএমজি (সাবমেশিন গান) দেড় লাখ টাকা, চায়না রাইফেল এক লাখ টাকা এবং পিস্তল ও শটগানের জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রতিটি গুলির জন্য পৃথকভাবে পুরস্কার ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা।

পুলিশ সদর দপ্তর লুণ্ঠিত অস্ত্র বা গোলাবারুদের সন্ধানদাতাকে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছে। অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধারে প্রকৃত সন্ধানদাতার পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে অনুষ্ঠিত গত ২৭ অক্টোবর বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারের তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ