দেশে আসা প্রবাসীদের তথ্য সংগ্রহ করা হয় হোয়াটসঅ্যাপে। বিমানবন্দরে নামার পর অনুসরণ করা হয়। এরপর নির্জন সড়কে গাড়ি থামানো হয় ধাক্কা দিয়ে। কেড়ে নেওয়া হয় যাবতীয় মালামাল। ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর দেশে আসা প্রবাসীদের মালামাল ডাকাতির এ তথ্য জানায় পুলিশ। এক প্রবাসীর ডাকাতির মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ চক্রটির সন্ধান পায়। গ্রেপ্তার সাতজন হলেন মো.

মনির উদ্দিন, সৈয়দ মজিবুল হক, মো. আলীম হাওলাদার, মো. হাসান, মো. রুবেল, মো. সুমন ও মো. ইমরান মাহামুদুল। গত মঙ্গলবার নগরের হালিশহর থানা-পুলিশ সাত আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতির মালামাল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, সামসু উদ্দিন নামের দুবাই থেকে আসা এক প্রবাসী গত ২১ জুলাই সকাল আটটার দিকে নগরের অলংকার এলাকায় বাসায় আসার সময় বন্দর লিংক রোডে ডাকাতির শিকার হন। ডাকাত দল তাঁর কাছে থাকা ১৯ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রবাসী বাদী হয়ে হালিশহর থানায় মামলা করেন। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ ডাকাতিতে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটির মাধ্যমে চালককে শনাক্ত করে। পরে একে একে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

নগর পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) কবির হোসাইন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে মজিবুল হক দুবাইপ্রবাসী মো. ফয়সালের কাছ থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দেশে আসা যাত্রীদের আগমনের তারিখ, ছবিসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেন।

কবির হোসাইন ভূঁইয়া প্রবাসীর মালামাল লুটের ঘটনাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রবাসী সামসু উদ্দিন ২১ জুলাই বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে বাড়ি ফেরার জন্য একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করেন। তাঁর আসার কথা আগেই জেনেছিলেন আসামি মনির উদ্দিন। এ কারণে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রধান ফটকেও অবস্থান নেন তিনি। এরপর মনির, আলীম হাওলাদার, রুবেলসহ আসামি একটি মাইক্রোবাস নিয়ে প্রবাসী সামসু উদ্দিনের অটোরিকশা অনুসরণ করতে থাকেন। প্রবাসীকে বহনকারী অটোরিকশাটি বন্দর লিংক রোডের বারুণীঘাট ব্রিজের ওপর পৌঁছালে পেছন থাকা মাইক্রোবাস দিয়ে অটোরিকশায় ধাক্কা দেওয়া হয়। হঠাৎ ধাক্কা লাগায় অটোরিকশাটি বন্ধ হয়ে যায়। তখন মাইক্রোবাস থেকে নেমে আসামিরা প্রবাসীর কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ ১৯ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যান। পরে চান্দগাঁও এলাকায় স্বর্ণালংকার বিক্রি করেন। বাকি মালামাল বিক্রি করে তাঁরা টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। এভাবে সুযোগ বুঝে প্রবাসীদের মালামাল ডাকাতি করে চক্রটি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রব স দ র

এছাড়াও পড়ুন:

২৫ বছর পর সেই বেনফিকাতে ফিরলেন মরিনিও

চক্র পূরণ করে ২৫ বছর পর আবার বেনফিকায় ফিরলেন জোসে মরিনিও। ২০০০ সালে এই বেনফিকার দায়িত্ব নিয়েই প্রধান কোচের ভূমিকায় কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে মরিনিও ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বেনফিকা। পর্তুগালের শীর্ষ লিগের সফলতম এই ক্লাবের সঙ্গে মরিনিও চুক্তির মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত।

দুই যুগের বেশি সময় আগে বেনফিকায় পেশাদার কোচিং শুরুর পর মাত্র ১১ ম্যাচ দায়িত্ব পালন করেছিলেন মরিনিও। সেই ১১ ম্যাচে তাঁর দলের জয় ছিল ৬টিতে, ড্র ৩টি, ২টিতে হার।

এরপর ২০০১ সালে বেনফিকা ছেড়ে যোগ দেন আরেক পর্তুগিজ ক্লাব উনিআঁউ দ্য লাইরিয়াতে। সেখানেও এক মৌসুম দায়িত্ব পালন করে যোগ দেন পোর্তোয়। পোর্তোর হয়ে টানা দুটি লিগ জেতার পাশাপাশি ২০০৩–০৪ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগও জেতেন মরিনিও।

আরও পড়ুনএক বছরে ৫ বিতর্ক, অবশেষে বরখাস্ত মরিনিও২৯ আগস্ট ২০২৫

এ সাফল্যই ইউরোপিয়ান শীর্ষ ক্লাবগুলোর দুয়ার খুলে দেয় মরিনিওর জন্য। ২০০৪ সালে তিনি যোগ দেন ইংলিশ ক্লাব চেলসিতে। সেখানে জেতেন দুটি প্রিমিয়ার লিগ। এরপর পর্তুগিজ এই কোচ একে একে দায়িত্ব পালন করেন ইন্টার মিলান, রিয়াল মাদ্রিদ, দ্বিতীয় মেয়াদে চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, টটেনহাম, এএস রোমা ও ফেনেরবাচের মতো ক্লাবে।

মরিনিও যখন প্রথম মেয়াদে বেনফিকায় ছিলেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনায় সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে বেড়াবাসীর বিক্ষোভ
  • ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া
  • রাজশাহীতে মাদ্রাসায় দফায় দফায় শিক্ষার্থীকে নির্যাতন
  • এখন ফাইনালের স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ
  • লোকসানে বগুড়ার ‘মধুবন সিনেপ্লেক্স’ বন্ধ 
  • সুপার ফোরে একাধিক বাড়তি ‘সুবিধা’ পাবে ভারত
  • হাত না মেলানো, বর্জনের হুমকি আর ম্যাচ রেফারির ক্ষমাপ্রার্থনা—এরপর সামনে কী
  • ‎১০ জনের কিংস ৪ গোলে উড়িয়ে দিল মোহামেডানকে
  • সে দিন ৪ মিনিট আগে খবর পেয়েছিলেন পাইক্রফট, এরপর দুবাইয়ে যা ঘটেছিল
  • ২৫ বছর পর সেই বেনফিকাতে ফিরলেন মরিনিও