জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা সৈকত নাসির ‘দেশা দ্য লিডার’ এর পর ‘পাষাণ’, ‘হিরো ৪২০’, ‘তালাশ’, ‘সুলতানপুর’, ‘পাপ’, ‘ক্যাসিনো’সহ ‘ব্যাড বয়েজ’, ‘দ্য ট্রাপ’ এবং নেটওয়ার্ক’ এর মতো সফল ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করেছেন।
‘মাসুদ রানা’সহ তার হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি সিনেমার কাজ। সিনেমা-ওয়েব সিরিজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি নির্মাণ করে থাকেন মিউজিক ভিডিও এবং বিজ্ঞাপন। যেসব কাজে থাকে পরিপূর্ণ সিনেমার ফিল। তার নির্মিত গানের মিউজিক ভিডিও ও বিজ্ঞাপনে থাকে অসামান্য কোরিওগ্রাফির জাদু, শিল্পীদের নাচের মুভমেন্ট।
সৈকত নাসিরের কাজের মান নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই! ছোট হোক বা বড় বাজেট, তিনি ‘ভিন্ন স্বাদ’ দেওয়ার ম্যাজিক জানেন! আসিফ আকবরের ‘আগুন’ গান দিয়ে মিউজিক ভিডিওর চেনা স্টাইলকে বদলে দিয়েছিলেন তিনি!
আরো পড়ুন:
আমরা বহু বছর ধরে একসঙ্গে আছি, প্রেম জীবন নিয়ে জয়া
ফয়সালকে বন্দি রাখার অভিযোগে আমিরের পরিবারের বিবৃতি
সম্প্রতি সৈকত নাসির নির্মাণ করেছেন নতুন মিউজিক ভিডিও। এতে মডেল হয়েছেন জাহের আলভী ও অলংকার চৌধুরী। এটি মূলত একটি ব্যান্ডের প্রোমোশনাল ক্যাম্পেইন। ‘ঘুরাই চলো মনের হুইল’ শিরোনামের মিউজিক ভিডিওটি ভিজ্যুয়ালাইজারের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন—কনা ও হাসান এস ইকবাল।
সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত এই প্রমোশনাল ভিডিওটি দেখে দর্শকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। তাদের ভাষ্য— “এত সূক্ষ্ম ও সৃজনশীলভাবে করা হয়েছে, লিরিক থেকে ভিজ্যুয়াল পর্যন্ত যা প্রোডাক্ট প্লেসমেন্টের নতুন মডেল হিসেবে আদর্শ বলা যায়। এডিটিং মাস্টারি, শট ট্রানজিশন থেকে টেম্পোর ম্যানিপুলেশন, সবই নিখুঁত! শিল্পীদের পারফম্যান্স; এক কথায় ফায়ার! শুভকামনা সৈকতদা, আপনার জন্য শুভকামনা সবসময়! তাই তো আপনার নাম ম্যাজিকম্যান।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র স কত ন স র
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাটজিপিটির স্বাস্থ্য পরামর্শ মানতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে
ওপেনএআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি এখন দৈনন্দিন নানা কাজে ব্যবহার করছেন অনেকেই। কেউ আবার চ্যাটজিপিটির কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ নিয়ে থাকেন। তবে সম্প্রতি চ্যাটজিপিটির পরামর্শে দৈনন্দিন খাবার থেকে লবণ প্রায় পুরোপুরি বাদ দিয়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাসিন্দা ৬০ বছরের এক ব্যক্তি। এরপর বাধ্য হয়ে হাসপাতালে তিন সপ্তাহ চিকিৎসা নেন তিনি। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, রোগী কয়েক সপ্তাহ দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা থেকে সোডিয়ামের মাত্রা প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনেন। এতে তাঁর শরীরে ‘হাইপোনাট্রেমিয়া’ নামের বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়। এর ফলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়।
ওই ব্যক্তির পরিবারের দাবি, চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই তিনি সম্পূর্ণভাবে এআইভিত্তিক হেলথ প্ল্যানের ওপর নির্ভর করেছিলেন। তিন সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর তিনি সুস্থ হন । ঘটনাটি সম্প্রতি আমেরিকান কলেজ অব ফিজিশিয়ানসের সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, সোডিয়ামের মতো অপরিহার্য খনিজ এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানসম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধান ছাড়া এআইয়ের পরামর্শ অনুসরণ করা গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কীভাবে খাবার থেকে সম্পূর্ণভাবে সোডিয়াম ক্লোরাইড বা সাধারণত খাবার লবণ বাদ দেওয়া যায়, তা ওই ব্যক্তি চ্যাটজিপিটিকে জিজ্ঞাসা করেন। উত্তরে চ্যাটজিপিটি তাঁকে বিকল্প হিসেবে সোডিয়াম ব্রোমাইড ব্যবহারের পরামর্শ দেয়। চ্যাটজিপিটির পরামর্শ মেনে তিনি অনলাইনে সোডিয়াম ব্রোমাইড কিনে প্রায় তিন মাস রান্নায় ব্যবহার করেন। এর ফলে ধীরে ধীরে বিভ্রম, সন্দেহপ্রবণতা, অতিরিক্ত তৃষ্ণা, এমনকি পানি পান করতে অনীহার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এমনকি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় তিনি বিভ্রান্ত ছিলেন এবং পানিকে দূষিত মনে করতেন।
চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর শরীরে ‘ব্রোমাইড টক্সিসিটি’ বা ব্রোমিজম ধরা পড়েছে, যা এখন অত্যন্ত বিরল হলেও একসময় উদ্বেগ, অনিদ্রা ও নানা স্নায়বিক সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হতো। তাঁর শরীরে ব্রোমিজমের অন্যান্য উপসর্গও দেখা যায়। এর ফলে ত্বকে ব্রণের মতো ফুসকুড়ি এবং ‘চেরি অ্যাঞ্জিওমা’ নামে পরিচিত লাল দাগ দেখা যায়। চিকিৎসায় গুরুত্ব দেওয়া হয় শরীরে পর্যাপ্ত পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার ওপর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ তথ্য জানার ক্ষেত্রে এআই কার্যকর হলেও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সিদ্ধান্তে চিকিৎসকের পরামর্শ অপরিহার্য। চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই তাদের শর্তাবলিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছে, ‘আমাদের সেবার আউটপুটকে একমাত্র সত্য বা নির্ভরযোগ্য তথ্য হিসেবে গ্রহণ করা উচিত নয় এবং এটি কখনোই পেশাদার পরামর্শের বিকল্প হতে পারে না। এই সেবা রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তৈরি করা নয়।’
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া