‘দলীয় কর্মকাণ্ডে অনিয়ম ও জুলাই বিপ্লবের নীতি ও নৈতিকতার পরিপন্থী’ অভিযোগ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ফরিদপুরের সমন্বয় কমিটির এক সদস্য পদত্যাগ করেছেন। মো. রুবেল মিয়া ওরফে হৃদয় নামের ওই সদস্য গতকাল রোববার রাতে এনসিপির ফরিদপুর জেলা আহ্বায়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দা নীলিমা দোলার কাছে পদত্যাগপত্র দেন।

পদত্যাগপত্রে মো.

রুবেল মিয়া বলেছেন, এনসিপির ফরিদপুর জেলার একজন দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি দলের কর্মকাণ্ড, বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ, দলের কার্যক্রম সিদ্ধান্ত এবং অবস্থানগুলো জুলাই বিপ্লবের নীতি ও নৈতিকতার পরিপন্থী বলে মনে হওয়ায় এবং দলটির বর্তমান পথচলা তাঁর ব্যক্তিগত আদর্শ ও মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় তিনি গভীরভাবে হতাশ ও বিচলিত।

রুবেল মিয়া পদত্যাগপত্রে আরও লেখেন, ‘এমতাবস্থায়, আমি আর দলের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারছি না। তাই আমি বিনীতভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টি, ফরিদপুর জেলার সকল কার্যক্রম ও পদ থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করছি।’

গত ৫ জুন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের যৌথ স্বাক্ষরে ফরিদপুর এনসিপির ২৩ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে প্রধান সমন্বয়কারী করা হয় সৈয়দা নীলিমা দোলাকে। এ ছাড়া আরও পাঁচজনকে যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং বাকি ১৭ জনকে সদস্য করা হয়।

রুবেল মিয়ার পদত্যাগের বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ওকে পূার্ণাঙ্গ কমিটি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছিলাম। যারা আন্দোলন–সংগ্রামের মধ্যে উঠে এসেছে, তাদের নিয়েই এ আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছিল। নতুন দলে অনেক টানাপোড়েন থাকে, টাকার সংকট, লোকবলের সংকট—এসব তো রয়েছে। যারা এ বাস্তবতা মেনে টিকে থাকবে, তারাই এনসিপি করবে। অনেকে অনেক আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দলে যুক্ত হয়েছিল, তাদের চাওয়া–পাওয়া সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়ন হবে, এ স্বপ্ন ছিল। কিন্তু এমনটা না হওয়ায় অনেকের মধ্যে হয়তো হতাশা ও আশাভঙ্গের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রুবেল হয়তো সেই অবস্থায় পড়ে গিয়েছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদত য গ এনস প র দল র ক সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে পাহাড় থেকে নারী-শিশুসহ ৩৮ জনকে উদ্ধার, আটক ২ 

কক্সবাজারের টেকনাফে যৌথ অভিযান চালিয়ে মানবপাচারকারী চক্রের কবল থেকে নারী ও শিশুসহ ৩৮ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় আটক করা হয় দুইজনকে। 

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আরো পড়ুন:

প্রতিমা বিসর্জনে নৌকাডুবি, নিখোঁজ এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার

টেকনাফে যৌথ অভিযানে নারী-শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার

আরো পড়ুন: টেকনাফে যৌথ অভিযানে নারী-শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার

তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন গহীন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে ১৮ জন নারী, ১২ জন পুরুষ ও আটজন শিশুসহ মোট ৩৮ জনকে উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন: টেকনাফের পাহাড় থেকে নারী-শিশুসহ উদ্ধার ৮

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, পাচারকারীরা মুক্তিপণ আদায় এবং বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে তাদের বন্দি রেখে নির্যাতন করছিল। উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদের এবং আটককৃত পাচারকারীদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ