৩ দফা দাবিতে শাবিপ্রবি প্রকৌশলী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 12th, August 2025 GMT
নবম গ্রেডে বিএসসি প্রকৌশলী পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবির) প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ‘প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন’ এর ব্যানারে গোলচত্বরে সমাবেশ করে তারা। পরে তারা মিছিল নিয়ে প্রধান ফটক অতিক্রম করে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের পাশে অবস্থান নেয় এবং কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্র কার্যালয় প্রতীকীভাবে ঘেরাও করে। এসময় বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকৌশলীরা আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানান।
এ বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়ে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি ও একাত্মতা পোষণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, উপ উপাচার্য অধ্যাপক সাজেদুল করিম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইসমাঈল হোসেন।
আরো পড়ুন:
সিলেট বোর্ডে এসএসসিতে নতুন করে জিপিএ-৫ পেল ২২ জন
শাবিপ্রবিতে বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপন
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড.
সমাবেশে তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর রহমান বলেন, “যারা মেধার সাক্ষর রেখে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির সুযোগ পায় না, তারাই ডিপ্লোমাতে ভর্তি হয়। ডিপ্লোমাতে যারা পড়ে তাদের অধিকাংশই দুর্বল। ক্লাসের টপ করা শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোতে ভর্তি হয় না। ডিপ্লোমাতে যারা ক্লাসের ব্যাকবেঞ্চার, তারাই পড়ে।”
তিনি বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বাদই দিলাম। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সেকেন্ড ব্যাচ থেকে একজন গুগুলে চাকরি পেয়েছে। আমাকে একটা উদাহরণ দেখান, ডুয়েট থেকে কেউ গুগলে গিয়েছে? পাবেন না। ডিপ্লোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে ডুয়েট। তারাই ভালো কিছু করতে পারেননি। তাহলে তাদেরকে কেন এত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে?”
পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহিদুর রহমান বলেন, “প্রকৌশল খাতে দীর্ঘদিন ধরেই একটি কাঠামোগত বৈষম্য চলে আসছে। নবম ও দশম গ্রেডের পদোন্নতি ও কোটাব্যবস্থায় ডিপ্লোমাধারীদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। দশম গ্রেডে শতভাগ কোটা ডিপ্লোমাধারীদের জন্য বরাদ্দ থাকায় এবং নবম গ্রেডে প্রমোশন কোটার মাধ্যমে অধিকাংশ পদ পূরণ হওয়ায় বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য এন্ট্রি লেভেলে পদসংখ্যা ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর তা বাতিল করে পদোন্নতির মাধ্যমে পদ পূরণ হচ্ছে। এভাবে নিয়মবহির্ভূত পদোন্নতি শুধু কর্মসংস্থানের সমতা নষ্ট করছে না, পেশাগত মান নিয়ন্ত্রণেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আমরা চাই, প্রশাসন ও নীতিনির্ধারকরা এই বৈষম্য দূর করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এবং প্রকৌশল পেশার মর্যাদা রক্ষা করবে।”
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবিগুলো হলো- নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী পদে বিএসসি ডিগ্রি বাধ্যতামূলক ও মেধাভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ, কোটায় বা সমমান পদ তৈরি করে পদোন্নতি নয়; দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগে বিএসসি ও ডিপ্লোমা উভয় ডিগ্রিধারীদের সমান সুযোগ; বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া ‘প্রকৌশলী’ পদবি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা।
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রক শ ব এসস
এছাড়াও পড়ুন:
জয়ার ‘কমফোর্ট জোন’ আবির
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দাপুটে অভিনেত্রী জয়া আহসান। ওপার বাংলাতেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। গত এক যুগে ভারতীয় সিনেমায় নিজের শক্ত অবস্থান গড়েছেন। ২০১৩ সালে ‘আবর্ত’ সিনেমা দিয়ে ভারতীয় বাংলা সিনেমায় পা রাখেন জয়া। অভিষেক সিনেমায় সহশিল্পী হিসেবে পান আবির চ্যাটার্জিকে। তারপর অনেক সিনেমায় একসঙ্গে রোমান্সে মেতেছেন এই জুটি।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) আবির চ্যাটার্জির জন্মদিন। এ উপলক্ষে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কথা বলেছেন জয়া। অন্যতম সেরা বন্ধুকে নিয়ে নানা তথ্য জানিয়েছেন ‘বিসর্জন’খ্যাত এই অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন:
‘১৫ হাজার সেফটিপিন শাড়িতে লাগালেও, তারা খুঁত বের করবে’
দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে নাম জড়াল নোরার, অভিনেত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি
জয়া আহসান বলেন, “ইন্ডাস্ট্রিতে নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হয়। আবির হলো তাদের মধ্যে অন্যতম। অত্যন্ত নির্ঝঞ্ঝাট একজন মানুষ। ওর সঙ্গে আমার সবচেয়ে বেশি কাজ। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো ইন্ডাস্ট্রিতে আমার সবচেয়ে কমফোর্ট জোন আবির। পর্দায় তো আমাদের একসঙ্গে অনেক রোমান্টিক কাজ করতে হয়, ও আমার এতটাই ভালো বন্ধু, এত দুষ্টুমি আর মজার সম্পর্ক ওর সঙ্গে যে, কাজ নিয়ে ভাবতেই হয় না; সবকিছু খুব সহজ হয়ে যায়।”
মানুষকে কষ্ট দিয়ে কথা বলেন না আবির। এ তথ্য উল্লেখ করে জয়া আহসান বলেন, “আমি কখনো দেখিনি ও কোনো আড্ডায় বা কখনো কোথাও কাউকে নিয়ে সমালোচনা করছে। কেউ কষ্ট পেতে পারে এরকম কথা আমি আবিরকে কখনো বলতে শুনিনি। তাই ওর জায়গা আমার জীবনে অনেকটা উপরে। একটু বেশিই সমালোচনাহীন মানুষ। যদিও মাঝেমধ্যেই একটু টক-ঝাল গল্প হলে সকলেরই খুব ভালোলাগে। তবে ওর মধ্যেও নিশ্চয়ই সেটা আছে, নয় সেটা কেউ খুঁজে পায় না অথবা আমরা দেখতে পাই না।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘটনা বর্ণনা করে জয়া আহসান “পুতুল নাচের ইতিকথার জন্য আমরা কিছু দিন আগে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিলাম। ওরে বাবা! আবির ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সে যা হলো। আমাদের দিকে আর কে তাকাবে, আমাদের কথা কারো তখন কান দিয়ে মাথা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না। সকলে শুধু ওর দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। মুগ্ধ নয়নে সকলে আবিরকে দেখছে। আমিও দেখছিলাম যে, আহা কী অপূর্ব এই দৃশ্য। ওর জন্য অনুরাগীরা কতটা পাগল। এই ভক্তদের সামলে রাখা এবং সবটা এমন যত্নে রাখাও খুব কঠিন কাজ। আবির খুব সুন্দরভাবে সামাল দিতে পারে।”
“আসলে আবিরের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সংসার, কর্মজীবন পাশাপাশি চালিয়ে যাওয়া খুব সহজ কাজ নয়। আবির খুব সুন্দরভাবে পরিবারকে প্রাধান্য দিয়ে সংসার জীবনটা মেইনটেন করে। শুধু তাই নয়, কাজের জায়গাটাও ব্যালান্স করে।” বলেন জয়া আহসান।
পেশাগত জায়গা ও পরিবার একই সঙ্গে দক্ষ হাতে সামলান আবির। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে জয়া আহসান বলেন, “আসলে ওর মতো একজন মানুষকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া খুব ভাগ্যের ব্যাপার। ওর অনুভূতি খুব মন থেকেই আসে সেটা যার জন্যই হোক এবং এই বিষয়টা কিন্তু ফেক নয়। আমি চাই, ও যেন সারাজীবন এমনই থাকে। আমরা যা করতে পারিনি বা পারি না সেটাই ও অতি যত্নে করে দেখায়। কত অবলীলায় আমরা বলে ফেলি, কর্মজীবন ও পরিবার একসঙ্গে সামলানো কঠিন, ও সেটা বার বার ভুল প্রমাণ করে দেখিয়েছে।”
ঢাকা/শান্ত