নবম গ্রেডে বিএসসি প্রকৌশলী পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন  শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবির) প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ‘প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন’ এর ব্যানারে গোলচত্বরে সমাবেশ করে তারা। পরে তারা মিছিল নিয়ে প্রধান ফটক অতিক্রম করে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের পাশে অবস্থান নেয় এবং কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্র কার্যালয় প্রতীকীভাবে ঘেরাও করে। এসময় বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকৌশলীরা আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানান।

এ বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়ে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি ও একাত্মতা পোষণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, উপ উপাচার্য অধ্যাপক সাজেদুল করিম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইসমাঈল হোসেন। 

আরো পড়ুন:

সিলেট বোর্ডে এসএসসিতে নতুন করে জিপিএ-৫ পেল ২২ জন

শাবিপ্রবিতে বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপন

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ শাহিদুর রহমান ও অধ্যাপক জহির বিন আলম, শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. মাহামুদ হাসান, যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক নুরুজ্জামান সাকিবসহ প্রকৌশল সম্পর্কিত বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী। 

সমাবেশে তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর রহমান বলেন, “যারা মেধার সাক্ষর রেখে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির সুযোগ পায় না, তারাই ডিপ্লোমাতে ভর্তি হয়। ডিপ্লোমাতে যারা পড়ে তাদের অধিকাংশই দুর্বল। ক্লাসের টপ করা শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোতে ভর্তি হয় না। ডিপ্লোমাতে যারা ক্লাসের ব্যাকবেঞ্চার, তারাই পড়ে।”

তিনি বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বাদই দিলাম। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সেকেন্ড ব্যাচ থেকে একজন গুগুলে চাকরি পেয়েছে। আমাকে একটা উদাহরণ দেখান, ডুয়েট থেকে কেউ গুগলে গিয়েছে? পাবেন না। ডিপ্লোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে ডুয়েট। তারাই ভালো কিছু করতে পারেননি। তাহলে তাদেরকে কেন এত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে?”

পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহিদুর রহমান বলেন, “প্রকৌশল খাতে দীর্ঘদিন ধরেই একটি কাঠামোগত বৈষম্য চলে আসছে। নবম ও দশম গ্রেডের পদোন্নতি ও কোটাব্যবস্থায় ডিপ্লোমাধারীদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। দশম গ্রেডে শতভাগ কোটা ডিপ্লোমাধারীদের জন্য বরাদ্দ থাকায় এবং নবম গ্রেডে প্রমোশন কোটার মাধ্যমে অধিকাংশ পদ পূরণ হওয়ায় বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য এন্ট্রি লেভেলে পদসংখ্যা ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর তা বাতিল করে পদোন্নতির মাধ্যমে পদ পূরণ হচ্ছে। এভাবে নিয়মবহির্ভূত পদোন্নতি শুধু কর্মসংস্থানের সমতা নষ্ট করছে না, পেশাগত মান নিয়ন্ত্রণেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আমরা চাই, প্রশাসন ও নীতিনির্ধারকরা এই বৈষম্য দূর করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এবং প্রকৌশল পেশার মর্যাদা রক্ষা করবে।”

আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবিগুলো হলো- নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী পদে বিএসসি ডিগ্রি বাধ্যতামূলক ও মেধাভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ, কোটায় বা সমমান পদ তৈরি করে পদোন্নতি নয়; দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগে বিএসসি ও ডিপ্লোমা উভয় ডিগ্রিধারীদের সমান সুযোগ; বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া ‘প্রকৌশলী’ পদবি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রক শ ব এসস

এছাড়াও পড়ুন:

অ্যালবামের নাম ‘প্রাণ-ত’, এনজেল বললেন...

প্রথম মৌলিক গান গেয়েই তারকাখ্যাতি পান এনজেল নূর। ‘যদি আবার’ শিরোনামের গানটি ঢাকার গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতায়ও আলোচিত হয়েছে। আরেক মৌলিক গান ‘তিল’ও প্রশংসা কুড়িয়েছে। দুই গানেই নিজের জীবনকে গল্প বলার ঢঙে সামনে এনেছেন তিনি। এবার আর একক গান নয়, পুরো অ্যালবামে হাত দিয়েছেন এনজেল। তাঁর প্রথম অ্যালবামের নাম হবে ‘প্রাণ-ত’।

অ্যালবামের এই ব্যতিক্রমী নামকরণ বিষয়ে জানতে চাইলে এই তরুণ গায়ক বলেন, ‘গানগুলো আমার একদম প্রাণের কাছের, ফলে অ্যালবামের নাম ‘প্রাণ-ত’। এতে প্রাণজুড়ানো কিছু গান থাকবে, যেখানে কষ্ট বা সুখকে না এড়িয়ে অনুভব করার কথা বলা হয়।’

এনজেল নূর

সম্পর্কিত নিবন্ধ