চিত্রনায়ক ও প্রযোজক জসীমের আজ ৭৫তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৫০ সালের ১৪ আগস্ট তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর মারা যান তিনি। মৃত্যুর দুই যুগ পরও ভক্তদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে খলনায়ক থেকে নায়ক বনে যাওয়া জসীমের।
জসীমের ছোট ছেলে সংগীতশিল্পী এ কে রাহুল প্রথম আলোকে জানান, পারিবারিকভাবে ঘরোয়া আয়োজনে পালিত হবে জন্মদিন। রাহুল বলেন, ‘বাবার জন্মদিন-মৃত্যুদিন নিয়ে আমরা পাবলিকলি কিছু বলি না কখনো, পারিবারিকভাবেই আমরা তাঁকে স্মরণ করি। এবারও তা–ই হচ্ছে।’

জসীমের তিন ছেলে—এ কে সামী, এ কে রাহুল এবং এ কে রাতুল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাবিতে নিয়োগ পাননি জামায়াত নেতার সুপারিশপ্রাপ্ত সেই প্রার্থী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও চূড়ান্ত নিয়োগ পাননি আজমীরা আরেফিন।

গত ৩ আগস্ট জামায়াতের সাবেক এক এমপির সুপারিশ নিয়ে করা তার আবেদনপত্রটি  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খানের ফেসবুক স্টোরিতে প্রকাশ পায়, যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, আজমীরা আরেফিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সে ৩.৮৬ পেয়ে বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। সফলতার সঙ্গে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তিনি মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন নি।

আরো পড়ুন:

কুবিতে র‍্যাগিং: ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কারসহ বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র উপদেষ্টাকে শোকজ

ডাকসু নির্বাচনে নারী ভোটকেন্দ্র পরিবর্তনের দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্র

গত ৪ আগস্ট বেলা ১১টায় ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ওইদিনই বিকেল ৪টায় লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩০ জনের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

গত ১২ আগস্ট আটজন শিক্ষকের নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে এবং তারা যোগদানও করেছেন। কিন্তু এই তালিকায় আজমীরা আরেফিনের নাম নেই।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম আল বাকী বরকাতুল্লাহ বলেন, “মোট ১৬৩ জন আবেদন করেছিলেন। তার মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ৩০ জনকে নির্বাচিত করা হয়। এখানে প্রথম, দ্বিতীয় কোনো বিষয় না।”

তিনি বলেন, “বিভাগে সপ্তম হয়েও অনেকে পাশ করতে পারে। যাকে নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়েছিল, সে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। যে আটজন নিয়োগ পেয়েছে তারা ১২ তারিখ থেকে যোগদান করেছে।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, “মৌখিক পরীক্ষায় ৩১ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি কেনো নিয়োগ পাননি সে বিষয়ে আমি বলতে পারবো না। তিনি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও হয়তো মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি, এজন্য পাননি।”

গত ৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খানের ফেসবুক স্টোরিতে গভীর রাতে ভেসে ওঠে ওই ছাত্রীর প্রবেশপত্র। সেখানে দেখা যায়, জামায়াতের সাবেক এক এমপি তার আবেদনপত্রে সুপারিশ করেছেন। পরে সেটি নিয়ে দেশব্যাপী  আলোচনা-সমালোচনা দেখা যায়।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ