সুস্থ সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বইয়ের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে
Published: 13th, September 2025 GMT
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, “সুস্থ সংস্কৃতি, আমাদের ধর্মীয় মুল্যবোধ বইয়ের মাধ্যমে বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই। বই হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার, বইয়ে মানুষের হৃদয়কে আলোকিত করার তথ্য উপাত্ত আছে যা সুস্থ সমাজ গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে।”
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.
আরো পড়ুন:
ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের নামে হল না থাকার শূন্যতা অনুভব করেছি: আহমাদুল্লাহ
ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে: ফয়জুল করিম
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আ. ছালাম খান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরীয় রাষ্ট্রদূত ড. উমর ফাহমিদ।
এছাড়া প্রকাশকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন আহমেদ রফিক, স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে লেবাননের দারুল কুতুলি ইলমিয়্যা প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী জিহাদ বাইদুল, লেবাননের দারে ইবন হজম প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী আহমদ কুসাইবাতী, মিশর ও লেবাননের মুয়াসসাহ রিসালাহ আলামিয়্যাহ প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী হিশাম আ. রহীম, মিশরের ইবদা ও দারে ইবনে জাওযি প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী আহমদ হিশামসহবিশিষ্ট ওলামায়ে-কেরাম, লেখক, প্রকাশক, বিক্রেতা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বইমেলা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ও পূর্ব চত্বরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং চলবে ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার থেকে ১২ অক্টোবর রবিবার পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ছুটির দিনে মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত।
মাসব্যাপী এই মেলায় প্রায় দেড় শতাধিক স্টল স্থান পেয়েছে। পাশাপাশি মিশর, লেবানন ও পাকিস্তান থেকে প্রায় চারটি আন্তর্জাতিক স্টল এবারের বইমেলায় অংশগ্রহণ করছে। মেলায় পবিত্র কুরআনের অনুবাদ, তাফসীর, হাদিসগ্রন্থসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মৌলিক ও গবেষণাধর্মী বই পাওয়া যাবে। এছাড়া প্রতিদিন লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের অংশগ্রহণে থাকবে ইসলামি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, আলোচনা সভা ও নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। থাকবে শিশু চত্বর, ফুড কর্নার, মিডিয়া কর্নার, তথ্য কেন্দ্রসহ মহিলাদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা।
মাসব্যাপী বইমেলা উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্টলে এবং বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহে প্রকাশিত সব বইয়ে দেয়া হবে ৪০% থেকে ৭০% পর্যন্ত কমিশন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম অন ষ ঠ ন প রক শ ল ব নন বইম ল
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবস সামনে রেখে বর্ণাঢ্য র্যালি
মহান বিজয় দিবস সামনে রেখে আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় অপরাজেয় বাংলা থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে টিএসসি ঘুরে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান র্যালির নেতৃত্ব দেন।
এর আগে সকাল পৌনে নয়টায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমবেত হন। সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা, সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ, ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদসহ সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রভোস্ট, বহু শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী র্যালিতে অংশ নেন।
স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের তত্ত্বাবধানে মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় দিবসভিত্তিক দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়। র্যালি শেষে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘ডিসেম্বর মাস আমাদের জাতির পরিচয়ের জন্য একটি অনন্য মাইলফলক। ১৯৭১ সালের এ মাসেই আমাদের জাতি চূড়ান্তভাবে রুখে দাঁড়ানোর সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে অর্জন করেছিল চূড়ান্ত বিজয়।’
উপাচার্য ১৪ ডিসেম্বর শহীদ হওয়া বুদ্ধিজীবীদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ বলেন, ‘এ জাতি প্রয়োজনের মুহূর্তে সব সময়ই ঐক্যবদ্ধ হতে জানে। জাতি–ধর্ম–বর্ণনির্বিশেষে আমরা দেশমাতৃকার সংকটে একসঙ্গে দাঁড়াই। ইতিহাস বারবার এই সত্যের সাক্ষ্য বহন করেছে। বিজয়ের এই মাস আমাদের সেই ঐক্যবদ্ধতার চেতনাকে আরও শক্তিশালী করুক, এই কামনা করি।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের সুনাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমৃদ্ধ করেছে। দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের এই প্রতিষ্ঠান বারবার প্রমাণ করেছে, স্বাধিকার, ন্যায় ও মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে আমরা অটল। আজ আমরা জাতির এই অর্জনকে স্মরণ করছি। প্রার্থনা করি, এই চেতনা ভবিষ্যতেও আমাদের আরও সুসংগঠিত ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তুলুক।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় মানুষের মমতায় বেঁচে থাকে উল্লেখ করে উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘দেশবাসীর ভালোবাসা ও সহযোগিতায় আমরা শক্তি পাই। আজকের এই বিজয় র্যালির মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী যে কর্মসূচি শুরু হচ্ছে, এটি শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়; এটি জাতির সম্মিলিত আয়োজন। দেশের মানুষ বিভিন্ন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছায়াতলে সমবেত হয়ে আমাদের হাতকে শক্তিশালী করেছে, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা চাই, এই বিজয়ের মাস জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠুক। আমাদের সমাজে ভাঙনের কোনো সুর যেন না শোনা যায়, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ঐক্য, দেশপ্রেম ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা আমাদের পথচলার প্রধান শক্তি।’