খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও মহানগর কৃষকদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক রশিদুর রহমান রুশোর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৩০শে নভেম্বর ২০২৫) দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও মহানগর কৃষকদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক রশিদুর রহমান রুশোর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন। সভাপতিত্ব করেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন,নুরুল হক চৌধুরী দিপু,রানা মুজিব, নাজমুল হক,নাজমুল কবীর নাহিদ,শওকত খন্দকার প্রমুখ।

মাসুকুল ইসলাম রাজিব বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের আশার প্রতীক। তাঁর দ্রুত আরোগ্য লাভ নিশ্চিত করতে মহান আল্লাহ কাছে আমরা প্রত্যেকে বিশেষ দোয়া প্রার্থনা করার আহ্বান জানাই। রশু ছাত্রদলের সময় থেকেই সাহসী নেতা ছিলেন।

তিনি রাজপথে সব সময় দলীয় সকল কর্মসূচীতে ছিলেন অগ্রগামী। হামলা মামলা নির্যাতন ও কারাবরণ করে তিনি দলের জন্য ব্যাপক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বিএনপি ও জিয়া পরিবারের অনুগত্য করেছিলেন। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। 

ফতেহ মোঃ রেজা রিপন বলেন, পৃথিবীতে বর্তমানে গনতন্ত্রের রক্ষার জন্য মৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দুর্দশা সহ্য করেছেন নেসল মেন্ডেলা ও জীবিতদের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন নেত্রী। যিনি গনতন্ত্রের বিষয়ে কখন আপোষ করেন নাই।

আমাদের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ মৃত্যুর সন্নিকটে তার জন্য সকলের কাছে বলবো তার জন্য দোয়া করবেন তিনি যেন মৃত্যুর আগে ফ্যাস্টিট হাসিনার ফাসির রায় কার্যকর দেখে যেতে পারেন। রশুর রাজনৈতিক জীবন আমার হাত ধরেই শুরু। রশু ছিলো একজন ত্যাগী, সৎ ও আদর্শবান নেতা তাঁর মৃত্যুর ক্ষতি সহজে পূরণ হওয়ার নয়। এমন নেতা হারিয়ে আমরা সত্যি একজন বীর জাতীয়তাবাদী সৈনিককে হারিয়েছি।

সভাপতির বক্তব্যে খোরশেদ বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর কৃষকদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় রশিদুর রহমান রুশো মৃত্যুবরণ করেন আজকে তার ২য় মৃত্যুবার্ষিকী।

জাতীয়তাবাদী দলের প্রতি তাঁর কর্মনিষ্ঠা এবং মানবিক গুণাবলি দলের জন্য যুগান্তকারী প্রেরণা হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের প্রতীক, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ অসুস্থ।

দল মত নির্বিশেষে তার জন্য সকলে ব্যক্তিগত ইবাদতের সময় দোয়া করবেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন তাকে সুস্থ করে দেশ ও জাতির কল্যানে অবদান রাখতে পারেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব গম খ ল দ র জন য ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

সারা দেশে ‘রোড শো’ করবে বিএনপি, ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে ‘বিজয় মশাল রোড শো’। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।

আরো পড়ুন:

বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

ভিন্নমত পোষণ করলেই তাকে শত্রু মনে করা হয়: ফখরুল

তিনি জানান, ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুরে বিজয় মশাল রোড শো এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি বিভাগে মশাল বহন করবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন জুলাইযোদ্ধা।

১৬ ডিসেম্বর ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিজয় মশাল রোড শো। এতে পরিবেশিত হবে বিএনপির থিম সং, 'সবার আগে বাংলাদেশ'।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের স্মৃতিবিজড়িত চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বিজয় মশাল যাত্রা শুরু করবে। সেখান থেকে যাত্রা শুরু করে একই দিন চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যানে পৌঁছাবে। বিজয় মিছিলের মশাল বহন করবেন ১৯৭১ সালের একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এবং ২০১৪ সালের একজন জুলাইযোদ্ধা। আমরা মনে করি, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল দেশের স্বাধীনতা অর্জনের আর ২০২৪ হলো দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার।”

বিএনপি মহাসচিব জানান, দুই সপ্তাহের এই বিশেষ 'রোড শো' উদযাপনের সময় বিভিন্ন বিভাগের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন, জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধের গান, দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন, জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের নির্বাচিত অংশ প্রচার, জাসাসের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শন হবে।

একইসঙ্গে জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে একটি নিরাপদ, সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি।

তিনি জানান বিভাগ ঘুরে বিজয় মশাল সবশেষে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। একইদিন ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে 'বিজয়ের মাসে বিজয় মশাল রোড শো'। বিজয় মাস উপলক্ষে এই বিশেষ কর্মসূচি ছাড়াও অন্যান্য কর্মসূচি উদযাপিত হতে থাকবে।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গৌরবময় বিজয়ের মাস শুরু
  • পাবনায় অস্ত্র হাতে যুবক তুষার জামায়াতের কর্মী: পুলিশ
  • রশু’র ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধাঞ্জলি
  • সারা দেশে ‘রোড শো’ করবে বিএনপি, ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ