‘হত্যার পর লাশ গুম করতে ফেলে দেওয়া হয় খালে’
Published: 20th, September 2025 GMT
অটোরিকশাচালক অমন্ত সেন তঞ্চঙ্গ্যাকে সুদে ৩৫ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন রজন্ত তঞ্চঙ্গ্যা (২৩)। এ টাকা নিয়েই একসময় দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে অমন্ত সেনকে হত্যা করেন রজন্ত। হত্যার পর খালের মধ্যে ভাসিয়ে দেন লাশ।
১৫ সেপ্টেম্বর রাতে বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় রজন্ত তঞ্চঙ্গ্যাকে আজ শনিবার ভোরে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্যগুলো জানায় পুলিশ। আজ দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য লাশ রোয়াংছড়ি তারাছা খালে ফেলেন রজন্ত তঞ্চঙ্গ্যা। পরদিন সন্ধ্যায় সাঙ্গুনদে ক্যচিংঘাটা এলাকায় লাশটি ভেসে আসে। তদন্তে প্রমাণ পাওয়ার পর ভোরে রজন্তকে রোয়াংছড়ি বাজারের বাসস্টেশন এলাকার নাথিংপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রজন্ত তঞ্চঙ্গ্যা এই এলাকার মৃত চন্দ্র কুমার তঞ্চঙ্গ্যার পালিত ছেলে। অটোরিকশাচালক অমন্ত সেন তঞ্চঙ্গ্যাও একই এলাকার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অমন ত স ন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতারণা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি বক্তাবলীর মুর্শিদাকে কারাগারে প্রেরণ
প্রতারনা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফতুল্লার বক্তাবলীর মুর্শিদা বেগম (৪৮) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে মুর্শিদাকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কারাগারে থাকা মুর্শিদা বেগম ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের রামনগর এলাকার মৃত আবুল হোসেন ওরফে কসাই আবুলের স্ত্রী। সে আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল্লাহর ভাইয়ের স্ত্রী বলেও জানা গেছে।
আদালত এবং রাবেয়ার দায়েরকৃত মামলার সূত্রে জানা যায়, বক্তাবলী ইউনিয়নের চর রাজাপুর এলাকার আজিজুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া বেগমের সাথে মুর্শিদার সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সুবাদে বিগত ২০২১ সালে রাবেয়ার কাছে মুর্শিদা তার বাড়ি বিক্রির প্রস্তাব দেয়।
এতে রাবেয়া রাজি হলে তার কাছ থেকে বায়না বাবদ ১১ লাখ টাকা গ্রহণ করে মুর্শিদা। টাকা নেয়ার প্রায় এক বছরের বেশি সময় পাড় হয়ে গেলেও মুর্শিদা তার বাড়ি দলিল করে দেয়ার বিষয় কিছু না বলায় রাবেয়া টাকার জন্য চাপ দেয়।
তাতে করে বাড়ির দলিল না করে দিয়ে রাবেয়াকে ১১ লাখ টাকার চেক প্রদান করে মুর্শিদা। পরে রাবেয়া মুর্শিদার বিরুদ্ধে আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করে।
মামলার একপর্যায়ে মুর্শিদার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ যুগ্ম দায়রা জজ ফারজানা আক্তার এর ৩য় আদালতে রায় ঘোষণা করেন। বিজ্ঞ আদালত মুর্শিদাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
পরে বিজ্ঞ আদালতে মুর্শিদা আদালতে অর্ধেক টাকা জমা দিয়ে জামিন নেয়। কিন্তু আদালতে বাকী টাকা দেয়ার কথা থাকলেও তা না করে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে মুর্শিদা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
এদিকে রাবেয়া অভিযোগ করেন সম্প্রতি মুর্শিদার কাছে টাকা চাইতে গেলে বিগত আওয়ামী লীগ শাসন আমলে সন্ত্রাসী দিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। এমনকি আমার ১১ লাখ টাকা আত্মসাত করতে মুর্শিদা আমার বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক ভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
আর চেক ডিজঅনার মামলায় তাকে এক বছরের সাজা দেয় আদালত। সেই মামলায় মুর্শিদা কারাগারে রয়েছে। আদালতের কাছে আমি সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করছি এবং পাওনা টাকা যাতে দ্রুত পাই সেই ব্যবস্থা যেন করা হয়।
মামলার বাদী রাবেয়ার আইনজীবী সাইদুর রহমান সাব্বির জানান, মুর্শিদা একটা প্রতারক। রাবেয়ার কাছে জমি বিক্রি করার কথা বলে ১১ লাখ টাকা নিয়ে নানা তালবাহানা করে।
একপর্যায়ে মুর্শিদার বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করলে স্বাক্ষ্য প্রমান থাকায় সেই মামলায় বিজ্ঞ আদালত রায় ঘোষণা করেন এবং মুর্শিদাকে এক বছরের সাজা এবং ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আর সেই মামলায় মুর্শিদা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করেন। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।