বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার করা হচ্ছে। অথচ, বিএনপি ৪৭ বছর দেশের জন্য যা কিছু ভালো, সবই দিয়েছে। আমরা সেই দল, যারা উড়ে এসে জুড়ে বসিনি। আমরা লড়াই করে, সংগ্রাম করে বাংলাদেশে এসেছি। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান দেশকে স্বাধীন করেছেন। ১৯৭১ সাল আমাদের গর্ব। আমাদের নেতা গণতন্ত্র দিয়েছেন।”

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

বদরুদ্দীন উমর কখনো কম্প্রোমাইজ করেননি: ফখরুল

বিপ্লব সফল করতে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে: ফখরুল

জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকে একটি সুযোগ এসেছে নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে ফিরিয়ে এনে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার।” 

তিনি বলেন, “বিএনপি হচ্ছে সেই দল, যারা ফিনিক্স পাখির মতো। যাকে বারবার মারার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু, কেউ তা পারেনি।” 

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “যারা খুন করেছে, হত্যা করেছে, গুম করেছে, বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছে; তারা নিজেরাই ধ্বংস হয়েছে, পালিয়ে গেছে।”

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো.

ওয়ারেছ আল মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ, সদস্য লায়লা বেগম, শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল প্রমুখ। প্রথম অধিবেশন সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম।

বেলা সাড়ে ১২টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়। এ সময় জাতীয় পতাকা ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা বিএনপি সভাপতি শরীফুল আলম। একইসঙ্গে ১৩টি উপজেলা ও ৮টি পৌর কমিটির পক্ষ থেকে দলীয় পতাকা ওঠানো হয়। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

দীর্ঘ ৯ বছর পর আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) হচ্ছে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন। এর আগে ২০১৬ সালে সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল।

সম্মেলন উপলক্ষে অনুষ্ঠানস্থলে তৈরি করা হয়েছে সুবিশাল মঞ্চ। শহরের উল্ল্যেখযোগ্য সড়কগুলোতে কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে শতাধিক তোরণ। দলীয় নেতা-কর্মীদের ছবিসম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে অনুষ্ঠানস্থলসহ জেলা শহরের অলিগলি। এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, ১৩টি উপজেলা ও ৮টি পৌরসভা মিলিয়ে জেলা বিএনপির মোট ২১টি ইউনিটের ২ হাজার ১০৭ জন কাউন্সিলর সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট দেবেন। এটি চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। 

ঢাকা/রুমন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ব এনপ ব এনপ র স র ল ইসল ম আম দ র ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।

গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।

রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুকুরে মাছ ধরতে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুজনের মৃত্যু
  • প্রথম আলো পথভ্রষ্ট হয়নি : আলমগীর কবির
  • চট্টগ্রামের ১০টি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৬টিতে বাকি, মহাসড়ক অবরোধ
  • ‘মায়ের ডাক’–এর সানজিদাকে ঢাকায় প্রার্থী করছে বিএনপি
  • ২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ঢাকার প্রার্থী যারা 
  • ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচন করবেন মির্জা আব্বাস
  • পরিকল্পিতভাবে প্রচারণা চলছে যে বিএনপি সংস্কারের বিরোধী: মির্জা ফখরুল
  • কাঁচাপাট রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেএ চেয়ারম্যানের
  • বাবাকে না পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে সড়কে যায় শিশু, মুহূর্তে ট্রাকচাপায় নিহত
  • রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার