বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি: মির্জা ফখরুল
Published: 20th, September 2025 GMT
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার করা হচ্ছে। অথচ, বিএনপি ৪৭ বছর দেশের জন্য যা কিছু ভালো, সবই দিয়েছে। আমরা সেই দল, যারা উড়ে এসে জুড়ে বসিনি। আমরা লড়াই করে, সংগ্রাম করে বাংলাদেশে এসেছি। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান দেশকে স্বাধীন করেছেন। ১৯৭১ সাল আমাদের গর্ব। আমাদের নেতা গণতন্ত্র দিয়েছেন।”
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
বদরুদ্দীন উমর কখনো কম্প্রোমাইজ করেননি: ফখরুল
বিপ্লব সফল করতে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে: ফখরুল
জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকে একটি সুযোগ এসেছে নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে ফিরিয়ে এনে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার।”
তিনি বলেন, “বিএনপি হচ্ছে সেই দল, যারা ফিনিক্স পাখির মতো। যাকে বারবার মারার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু, কেউ তা পারেনি।”
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “যারা খুন করেছে, হত্যা করেছে, গুম করেছে, বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছে; তারা নিজেরাই ধ্বংস হয়েছে, পালিয়ে গেছে।”
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো.
বেলা সাড়ে ১২টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়। এ সময় জাতীয় পতাকা ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা বিএনপি সভাপতি শরীফুল আলম। একইসঙ্গে ১৩টি উপজেলা ও ৮টি পৌর কমিটির পক্ষ থেকে দলীয় পতাকা ওঠানো হয়। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দীর্ঘ ৯ বছর পর আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) হচ্ছে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন। এর আগে ২০১৬ সালে সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল।
সম্মেলন উপলক্ষে অনুষ্ঠানস্থলে তৈরি করা হয়েছে সুবিশাল মঞ্চ। শহরের উল্ল্যেখযোগ্য সড়কগুলোতে কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে শতাধিক তোরণ। দলীয় নেতা-কর্মীদের ছবিসম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে অনুষ্ঠানস্থলসহ জেলা শহরের অলিগলি। এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, ১৩টি উপজেলা ও ৮টি পৌরসভা মিলিয়ে জেলা বিএনপির মোট ২১টি ইউনিটের ২ হাজার ১০৭ জন কাউন্সিলর সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট দেবেন। এটি চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
ঢাকা/রুমন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ব এনপ ব এনপ র স র ল ইসল ম আম দ র ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ দেশে যা কিছু ভালো, সবকিছু দিয়েছে বিএনপি। তাই নানা নির্যাতন-নিপীড়ন করেও দলটিকে কেউ বিলীন করতে পারেনি। এই দল ফিনিক্স পাখির মতো। একে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি। বরং ষড়যন্ত্রকারীরাই পালিয়ে গেছে। বিএনপি সেই দল, যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেনি।
আজ শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পুরোনো স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে এই নেতা বলেন, বর্তমানে দেশে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে এবং মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে বিএনপিকে। যাদের কাল জন্ম হয়েছে এবং যারা একাত্তর সালে ভিন্ন অবস্থানে কিংবা ভিন্ন জায়গায় ছিল—তারাও বিএনপিকে নিয়ে নানা কথা বলে। যা কিছু ভালো, তার সবকিছু বাংলাদেশে দিয়েছে এই বিএনপি। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিএনপি এই পর্যায়ে এসেছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে যে সুযোগ এসেছে এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে—তা কাজে লাগাতে হবে। বিএনপি এ জন্য প্রস্তুত।
দেশ গঠনে বিএনপির অবদান তুলে ধরে দলটির মহাসচিব বলেন, শহীদ জিয়া ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। এর আগে শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র চারটি পত্রিকা চালু রেখে সব পত্রপত্রিকা বন্ধ করে দেন। তরুণদের এ কথাটা জানা দরকার। শহীদ জিয়ার স্বপ্ন ছিল একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের, আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি বিএনপিকে প্রতিষ্ঠা করেন। বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে আসেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে ও মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম। বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ, কোষাধ্যক্ষ এম রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী ও আরেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ।