ইয়েমেনে সাংবাদিকের ওপর হামলা ছিল রেকর্ড করা দ্বিতীয় ভয়াবহ ঘটনা
Published: 20th, September 2025 GMT
গত সপ্তাহে ইয়েমেনে সংবাদপত্র অফিসে ইসরায়েলি হামলায় ৩১ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মী নিহত হয়েছেন। কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) শুক্রবার এ ঘটনাকে গত ১৬ বছরের মধ্যে সাংবাদিকদের উপর সবচেয়ে মারাত্মক আক্রমণ বলে অভিহিত করেছে।
১০ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি সংবাদপত্র কমপ্লেক্সে ইসরায়েল হামলা চালায়। সেখানে হুতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনটি সংবাদপত্র ছিল। প্রকাশনার প্রধান সম্পাদকের মতে, সেই সময় ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর প্রেস শাখার সদস্যরা সাপ্তাহিক মুদ্রিত সংস্করণ শেষ করছিলেন। এর ফলে হামলার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সংখ্যা বেশি ছিল।
হুতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে একজন সাংবাদিকের সাথে অফিসে আসা এক শিশুও ছিল এবং ১৩১ জন আহত হয়।
২০০৯ সালে ফিলিপাইনে মিন্দানাওয়েতে গণহত্যার পর সিপিজে-র রেকর্ড করা সাংবাদিকদের উপর এই হামলা ছিল দ্বিতীয় সবচেয়ে মারাত্মক।
২৬ সেপ্টেম্বরের প্রধান সম্পাদক নাসের আল-খাদরি সিপিজেকে বলেন, “এটি একটি নৃশংস এবং অন্যায্য আক্রমণ যা নিরীহ মানুষকে লক্ষ্য করে করা হয়েছিল যাদের একমাত্র অপরাধ ছিল মিডিয়াতে কাজ করা, যাদের হাতে কেবল কলম এবং মুখে কথা ছিল।”
সিপিজে জানিয়েছে, ইয়েমেনে এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে গণমাধ্যম কর্মীদের হত্যার বৃহত্তর ধরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং সাংবাদিকদের যোদ্ধা হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করে সেই হত্যাকাণ্ডের অজুহাত দেখানো হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ২৪৭ জন সাংবাদিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা সাবেক সংসদ সদস্যদের ৩০টি গাড়ি সরকারকে দিচ্ছে এনবিআর
শেখ হাসিনা সরকারের শেষ মেয়াদে দ্বাদশ সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করা ৩০টি গাড়ি সরকারকে দেওয়া হচ্ছে। নিলামে ভালো দর না পাওয়ায় এসব গাড়ি এখন সরকারকে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর। সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর মিলনায়তনে এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান এ কথা জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এসব গাড়ি (সাবেক এমপিদের আনা গাড়ি) সরকারকে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকার এগুলো ব্যবহার করবে। এসব গাড়ি জনপ্রশাসনের পরিবহন পুলে যাবে। সেখান থেকে সরকারের যারা ব্যবহার করার, সেখানে যাবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি, এগুলো যখন নিলাম করলাম, খুবই অল্প দাম পেয়েছি। এখন নিলামের টাকাটা সরকারি কোষাগারে আসবে। আবার সরকারকেই এসব গাড়ি অনেক দাম দিয়ে কিনতে হবে। তাই জাতীয় স্বার্থ চিন্তা করে ৩০টি গাড়ি সরকারের পরিবহন পুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এই গাড়িগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্যরা। সরকারের পটপরিবর্তনের পর গত বছরের ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। শুল্কমুক্ত সুবিধাও বাতিল করে এনবিআর। তাতে এই গাড়িগুলো বন্দর থেকে আর ছাড় করেননি সাবেক সংসদ সদস্যরা।
সাবেক সংসদ সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৫১টি গাড়ি আমদানি করেছিলেন। এর মধ্যে সাতটি গাড়ি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে–পরে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। বাকি গাড়িগুলোর মধ্যে ২৪টি গাড়ি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার নিলামে তোলে চট্টগ্রাম কাস্টমস। সেই নিলামে অংশ নিয়ে আগ্রহীরা গাড়িভেদে সর্বোচ্চ ১ লাখ থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দর দিয়েছেন এসব গাড়ির জন্য। ১০টি গাড়ির জন্য কোনো দরই জমা পড়েনি। অথচ প্রতিটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ফলে নিলামে যে দর উঠেছে, তাতে কোনো গাড়ি বিক্রি হয়নি। এখন সেগুলো সরকারের মালিকানায় যাচ্ছে।