জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্য না হলে সংসদ নির্বাচন ঝূকিতে পড়বে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতারা।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজার প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নতুন যোগদানকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংস্কার আন্দোলনের নেতারা এসব কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

চাকসু: ছাত্র অধিকার ও ইসলামী ছাত্র মজলিসের যৌথ প্যানেল ঘোষণা

গকসু নির্বাচন: জাহিদের প্রচারণায় সবুজের ডাক

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত হলেছেন, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এ জেড নিজাম উদ্দিন ঠাকুর (মানু), নিরাপদ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সৈয়দ রানা,

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ হেলথ সাইন্সের সহযোগী অধ্যাপক সামিউল হক শিমুল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জামিলুল করিম তরুণ, আবু আল রায়হান, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠক শাহীন মন্ডল, বাংলাদেশ ভুমিহীন আন্দোলনের অর্থ সম্পাদক মো.

শামসুদ্দিন (রাকিব), রাজনৈতিক সংগঠক প্রশান্ত কুমার রায়, সিটিজেন জার্নালিস্ট (পর্যবেক্ষণ) খালেদ মাহমুদ রকি, রাজনৈতিক সংগঠক আশরাফ হোসাইন সরকার (বুলবুল), সাংস্কৃতিক সংগঠক ও ব্যবসায়ী সোহেল মাহমুদ খান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন সবসময় দায়িত্বশীলতার রাজনীতিতে গুরুত্ব দিয়েছে। অভ্যুত্থানের পর সেটার প্রমাণ আরো ভালোভাবে হয়েছে। সময়ের রাজনীতির প্রয়োজনে নিজের প্রাথমিক অবস্থান গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান করার দাবি ছেড়ে একই নির্বাচনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কার সভা আয়োজনের প্রস্তাব কমিশনে করেছে। একই সঙ্গে এমন একটি বিশেষ ধরনের নির্বাচন আয়োজনের বৈধতা নিশ্চিতে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে বিচার বিভাগের মতামত নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ূম বলেন, “সকল দলের মতামত ও ঐক্যের স্বার্থে এর  চেয়েও গ্রহণযোগ্য কোনো পন্থা পাওয়া গেলে, দলীয় প্রস্তাব ত্যাগ করে সেটার পক্ষে দাঁড়াবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। দেশকে অস্থিতিশীল বা বিদেশী শক্তির  হস্তক্ষেপ থেকে বাঁচাতে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি এটা রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অঙ্গীকার।”

তিনি বলেন, “অভ্যুত্থানের পর অনেক দল নিয়ে অনেক ধরনের অভিযোগ এরই মধ্যে উঠেছে। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করলেও এখন পর্যন্ত দলের কোনো নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠেনি।”

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া, মাহবুবুর রহমান সেলিম, জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য জাকিয়া শিশির, ঢাকা জেলা কমিটির আহ্বায়ক লিটন কবিরাজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির দপ্তর সমন্বয়ক এহসান আহমেদ, রাষ্ট্র যুব আন্দোলনের সংগঠক মো. মহসিন, ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক লামিয়া ইসলাম, সংগঠক রাকিব হাসান মজুমদার, রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলনের সংগঠক আরিফুল ইসলাম জুয়েল, রাষ্ট্র সংস্কার সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আবুল হাসান অলি প্রমুখ।

ঢাকা/নাজমুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ল ই গণঅভ য ত থ ন ক স গঠক র জন ত কম ট র অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার ফোরে দুর্দান্ত সূচনা বাংলাদেশের

এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত জয় পেল বাংলাদেশ। যে শ্রীলঙ্কার জয়ে ভর করে বাংলাদেশ সুপার ফোরে এসেছে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদেরই হারিয়ে দিয়েছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে শ্রীলঙ্কা আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে। জবাবে সাইফ হাসান ও তাওহীদ হৃদয়ের ফিফটিতে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

রান তাড়া করতে নেমে যদিও শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে রানের খাতা খোলার আগেই নুয়ান থুশারার বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন তানজিদ হাসান। সেখান থেকে লিটন দাস ও সাইফ মিলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন। ৬.৩ ওভারের মাথায় দলীয় ৬০ রানের সময় লিটন ফিরেন ১৬ বলে ৩ চারে ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের ক্যাচ মিসের মহড়ায় শ্রীলঙ্কার লড়াকু সংগ্রহ

টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে দুই পরিবর্তন

এরপর তৃতীয় উইকেটে সাইফ ও হৃদয় গড়েন ৫৪ রানের জুটি। তাতে বাংলাদেশ জয়ের ভিত আরও দৃঢ় হয়। ১১৪ রানের মাথায় সাইফ একটি বাজে শট খেলে আউট হন। যাওয়ার আগে ৪৫ বলে ২টি চার ও ৪ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলে যান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ