গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মূলমন্ত্রেই: মঈন
Published: 21st, September 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, “সুদীর্ঘ ১৫ বছরের আপসহীন সংগ্রামের ফসল–২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার এই গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মূলমন্ত্রেই।”
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘৭ নভেম্বর প্রজন্ম’ আয়োজনে ড.
আরো পড়ুন:
পাথর চুরির ঘটনায় জামায়াত নেতার নামও এসেছে : রিজভী
‘নির্বাহী আদেশে নয়, আ.লীগ আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করতে হবে’
এ সময় তিনি বলেন, “শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার পর বিএনপির ঝান্ডা হাতে নেন তারেক রহমান। তার সুদীর্ঘ সময়ের নেতৃত্বে দেশ থেকে স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করার জন্য বাংলাদেশের মানুষ সংঘটিত হয়েছে; যার চরম পরিণতিতে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিগত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশকে একটি নতুন যাত্রায় পরিচালিত করেছে।”
আবদুল মঈন খান বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ‘নেপথ্যের একজন কুশীলব’। তিনি (তারেক রহমান) তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অবদান রেখেছিলেন, যাতে করে ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান ত্বরান্বিত হয়েছিল এবং স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।”
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, “বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর ওপর বলপূর্বক বাঙালি জাতীয়তাবাদ আরোপ করে তাদের মৌলিক সত্তাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে উদ্যত হয়েছিল ’৭৫-পূর্ববর্তী সরকার। সে মুহূর্তে সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে অবতীর্ণ হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তী সময় বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারাটির অবতারণা করে বাংলাদেশের জাতি, ধর্ম, বর্ণ-নির্বিশেষে সকল মানুষকে একই সুতায় প্রোথিত করেন তিনি। বিশ্বের বুকে একটি উদার গণতান্ত্রিক সম্মানশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। এখানেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে এক অনবদ্য অ্যাপ্রোচ, সেটা আমাকে উল্লেখ করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ এমনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল, যা একটি ফুলের মালার সমারোহ। যে মালার একেকটি ফুল হলো বাঙালি, চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, ভিল, কোল, মুন্ডা ইত্যাদি। আমাদের বুঝতে হবে, কেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবর্তন করেছিলেন। সবাইকে একটি ফুলের মালায় তিনি গ্রোথিত করেছিলেন, যেখানে ভিন্ন ভিন্ন ফুল থাকবে। কিন্তু যখন বাংলাদেশের প্রশ্ন আসবে, তখন সেটি হবে একটি ফুলের মালা।”
আলোচনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী প্রমুখ।
ঢাকা/রায়হান/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ জ য় উর রহম ন ব এনপ র হয় ছ ল
এছাড়াও পড়ুন:
আত্তীকরণ বিধিমালা সংশোধনসহ ছয় দাবি শিক্ষকদের
সরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের বৈষম্যের শিকার বলে দাবি করেছেন। একই সঙ্গে বিদ্যালয়গুলোতে বেতন সুরক্ষা ও গ্রেডেশন ব্যবস্থা না থাকায় এবং বদলির সুযোগ সীমিত থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘সরকারিকৃত মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক পরিষদ' আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা ‘আত্তীকরণ বিধিমালা ২০২৪'-এর কিছু অসঙ্গতি সংশোধন ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।
আরো পড়ুন:
এক অধ্যাপকের কাছেই ‘অসহায়’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অভিযোগে শিক্ষকসহ ৩৯ জনকে শোকজ
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি ছিদ্দিক আহমেদ বলেন, “২০২৪ সালে প্রণীত আত্তীকরণ বিধিমালা শিক্ষক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে করা হলেও এতে বৈষম্য রয়ে গেছে। বিশেষ করে একই স্মারক ও তারিখে বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং অ্যাডহক নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে বেতন নির্ধারণে বৈষম্য লক্ষ করা যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “এ পর্যন্ত ৩৬৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হয়েছে, যাদের অধিকাংশই অ্যাডহক নিয়োগপ্রাপ্ত। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৪২টি বিদ্যালয় বেতন সুরক্ষা সুবিধা পেয়েছে এবং আরো ৫টি স্কুল ও কলেজকে এই সুবিধা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হলেও বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও এর বাইরে রয়েছে। এতে শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।”
তিনি আরো বলেন, “সরকারি কিংবা বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি ব্যবস্থা চালু থাকলেও জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ‘আত্তীকরণ বিধিমালা ২০২৪' এর ১৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী বদলির অধিকার বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে সহকারী শিক্ষক (টেকনিক্যাল) পদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ভবিষ্যতে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে বাধা তৈরি হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শিক্ষকদের ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো
১. আত্তীকরণ বিধিমালা ২০২৪-এর ১০ নম্বর ধারা সংশোধন করে পে-প্রোটেকশন নিশ্চিত করা।
২. কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে বেতন-ভাতা নির্ধারণ ও পদোন্নতি দেওয়া।
৩. বৈষম্যমূলক ১৩ নম্বর ধারা বাতিল করে বদলির সুযোগ সৃষ্টি করা।
৪. কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে আত্তীকৃত শিক্ষকদের গ্রেডেশন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা।
৫. সহকারী শিক্ষক (টেকনিক্যাল) পদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জনবল কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করা ও ব্লক পোস্ট ব্যবস্থা বাতিল করা।
৬. বৈষম্য সৃষ্টিকারী ৫ (৩) নম্বর ধারা বাতিল করা।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ