রাষ্ট্র পরিচালনার বাস্তব রূপ দিয়েছেন হযরত মুহাম্মদ (সা.): ধর্ম উপ
Published: 21st, September 2025 GMT
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, “রাষ্ট্র যে কনস্টিটিউশন চলবে, তার বাস্তব রূপ দিয়েছেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি শুধু তত্ত্বগতভাবে নয়, বরং বাস্তব জীবনে তা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন।”
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ঈদ-ই- মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ এবং মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
এক অধ্যাপকের কাছেই ‘অসহায়’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
দাবি মেনে নেওয়ায় অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “দেড় হাজার বছর আগে নারী-শিশুর অধিকার, মানুষের কথা বলার অধিকার, বর্ণ ও জাতিগত বৈষম্য নিরসনসহ উত্তরাধিকার আইন ও নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে নবীজীর (সা.
তিনি আরো বলেন, “আমাদের প্রত্যেকের উচিত সীরাত ও সুন্নাতকে জীবনে কার্যকর করার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালানো। নবীজীর জীবনাদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে সত্যিকার পরিবর্তন আসবে।”
সীরাত পাঠের গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “সীরাতে রাসুল (সা.) এক কালজয়ী আদর্শ। তাঁর জীবন বিধান শুধু জাহিলিয়াতের অন্ধকার দূর করেনি, বরং সমগ্র পৃথিবীকে আলোকিত করেছে। আজকের যুগেও নবীজীর দিকনির্দেশনা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।”
উদ্বোধনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, “আজকের এই আয়োজন কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি এক মহৎ শিক্ষামূলক উদ্যোগ। এ অনুষ্ঠান আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আগমনে পৃথিবী কিভাবে আলোকিত হয়েছিল। তাঁর জীবনাদর্শ ও চরিত্র থেকে আমরা কতটা শিক্ষা গ্রহণ করছি এবং কতটা তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হচ্ছি। এই আয়োজন তারই প্রতিফলন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও অনুষ্ঠান উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমীন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক জনাব আব্দুস ছালাম খান এবং জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোশাররাফ হোসেন।
আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণের পর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় বাদ জোহর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।
এবারই প্রথম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়ভাবে বৃহৎ আয়োজনে ঈদ-ই মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্যাপন করেছে। এর আগে, গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির আয়োজনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনার দাবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে জাতীয় ছাত্রশক্তি ও ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ে গঠিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ মঞ্চের নেতারা।
বুধবার নির্বাচন কমিশনার জকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তাঁরা।
এই তফসিলের নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে এ তফসিল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২২ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান মঞ্চের নেতারা বলেন, পরীক্ষা শেষ হলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে থাকে না। অন্যদিকে একটি ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঈদেও বাড়ি যায় না, তাঁদের ছুটি থাকে না। ছাত্রশিবিরকে সুবিধা দিতেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পিছিয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।
এ সময় ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান মঞ্চ আরও দুটি দাবি জানায়। দাবিগুলো হলো সব ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোনো রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ না থাকার নিশ্চয়তা দিতে হবে।