ধ্বংসের খাদের কিনারে এসে দাঁড়াবার আগে
Published: 26th, September 2025 GMT
নাজওয়ান দারবিশের জন্ম জেরুজালেমে, ১৯৭৮ সালে। বিশটির বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে তাঁর কবিতা। নিউইয়র্ক রিভিউ অব বুকস তাঁকে ‘আরবি ভাষার অন্যতম প্রধান কবি’ বলে অভিহিত করেছে। স্থানিক (ফিলিস্তিনি) যেমন, তেমনই বিশ্বজনীন তাঁর কবিতা। বেদনাময় ইতিহাস, ভৌগোলিক ক্ষত ও নির্বাসনের অভিজ্ঞতাকে তিনি তুলে ধরেন রূপক ও প্রতীকাশ্রয়ী এক নতুন কাব্যভাষায়; প্রচলিত আরব কবিতার বর্ণনাভঙ্গি থেকে যা একেবারেই আলাদা। মিতভাষণের মধ্য দিয়ে তাঁর কবিতারা জাগিয়ে তোলে বহুস্তর অর্থবাচকতা ও সৌন্দর্য। তিনি শুধু ফিলিস্তিন বা আরব পরিচয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চান না। দেশের গণ্ডি ও স্থানিকতার অর্গল ভেঙে ব্যক্তিগত আশা ও বেদনার ভাষাকে তিনি করে তোলেন সর্বজনীন আশা ও দুঃখের ভাষা। যতটা না রাজনৈতিক, তারওচেয়ে বেশি চিন্তাঘন ও মরমি তাঁর কবিতা।
মাহমুদ দারবিশের সঙ্গে তাঁর শুধুই নামের মিল। দুজনই ফিলিস্তিনের কবি। নাম ও জাতিগত পরিচয়টুকু বাদ দিলে দুজনের কাব্যভাষা পুরোপুরি আলাদা। মাহমুদ দারবিশের কবিতায় ভিটেমাটি হারানোর বেদনা, নির্বাসনের ট্র্যাজেডি আর জাতিগত সংগ্রামের অভিজ্ঞতা সরাসরি উঠে আসে। অন্যদিকে, নাজওয়ান দারবিশ নিপীড়ন ও বঞ্চনাকে তুলে ধরেন রূপকে-ইঙ্গিতে। তাঁকে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক অস্তিত্ববাদী রূপকাশ্রয়ী কবি’। মৃত্যুকে তিনি কল্পনা করেন ‘একটি জানালার শূন্যতায় ঝুলে থাকা ছায়া’ হিসেবে; আর নির্বাসনকে ‘পায়ের নিচে ভেঙে পড়া এক সেতু’র সঙ্গে।
চিলির কবি রাউল সুরিতা বলেছিলেন, ‘কবিতা হচ্ছে হিংসার মহাগাথা… একই সঙ্গে তা ভালোবাসা-করুণারও মহাগাথা’। নাজওয়ান দারবিশের কবিতাও তারই প্রমাণ। কবিতায় ফিলিস্তিনের ব্যথা-বঞ্চনাকে তিনি এমনভাবে তুলে আনেন, যা হয়ে ওঠে সমগ্র মানবতার ব্যথা।
ফিলিস্তিনি কবি নাজওয়ান দারবিশ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ রব শ র
এছাড়াও পড়ুন:
এভাবে লুচি বানালে ফুলবেই ফুলবে, জেনে নিন রেসিপি
উপকরণ
ময়দা: ২ চামচ
আটা: দেড় চামচ
চিনি: ১ চা-চামচ
ঘি: ১ চা-চামচ
তেল: ১ চা-চামচ।
প্রণালিসব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। একটু গরম পানি দিয়ে ময়ান বানাতে হবে। ময়ান পাঁচ মিনিটের মতো মেখে রাখুন। তারপর লুচি বেলে ডুবোতেলে ভেজে নিতে হবে।
আরও পড়ুনপূজায় অপু বিশ্বাসের প্রিয় খাবার মহাষ্টমীর ভোগের থালা, দেখুন তাঁর দেওয়া রেসিপি৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫