গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার শিমুলতলী এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে আবারও বিক্ষোভ করেছেন গার্ডেনিয়া ওয়্যার লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে কারখানার সামনে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে শিল্প পুলিশের হস্তক্ষেপে সকাল ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

শ্রমিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর আগস্ট মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা না করে হঠাৎ ছুটি ঘোষণা করে। এরপর নতুন করে কয়েক দফা বেতন দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু কোনো তারিখেই তা বাস্তবায়ন হয়নি। সর্বশেষ গত ৩০ সেপ্টেম্বর বকেয়া পরিশোধের কথা থাকলেও ওই দিনও বেতন দেওয়া হয়নি। ৪ অক্টোবর টাকা পরিশোধের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। আজ রোববার পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী সকালে শ্রমিকেরা কারখানায় এলে নতুন নোটিশ দেখতে পান। নোটিশে জানানো হয়, আগামী ৭ অক্টোবর বেতন পরিশোধ করে ৮ অক্টোবর থেকে কারখানা চালু করা হবে। আজ সকালের এই নোটিশ দেখে শ্রমিকেরা কারখানা চালু ও বকেয়া পরিশোধের দাবিতে পুনরায় বিক্ষোভ শুরু করেন।

ওই কারখানার শ্রমিক মো.

আবদুল মোতালিব বলেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন পরিশোধের জন্য আন্দোলন করছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দৈন্যতার কথা চিন্তা না করে একের পর এক মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সময় পার করছেন।

আরেকজন শ্রমিক আল-আমিন বলেন, প্রশাসনের মধ্যস্থতায় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিগগির তাঁদের বেতন পরিশোধ করা হবে। তাই বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা আপাতত ঘরে ফিরে গেছেন।

এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

শিল্প পুলিশের শ্রীপুর সাব জোন ইনচার্জ আবদুল লতিফ প্রথম আলোকে বলেন, তিনি শ্রমিক ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। শ্রমিকদের জানিয়েছেন, রোববার থেকে কারখানা চালু করা হবে এবং আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে শ্রমিকদের সব বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। বেতন পরিশোধের আশ্বাসের পর শ্রমিকেরা বিক্ষোভ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর শ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

শ্বশুরবাড়িতে যুবককে ‘গলা কেটে হত্যাচেষ্টা’, পাশের ঘরে খোঁড়া হয়েছিল গর্ত

ফরিদপুরের সদরপুরে শ্বশুরবাড়িতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মুন্সি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির স্ত্রী লাবণী আক্তারকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর তাঁর শাশুড়ি শহিদা বেগম (৪৯) ও দাদিশাশুড়ি জনকী বেগম (৬২) পলাতক।

ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম ফরহাদ ব্যাপারী ওরফে ঠান্ডু (৩৫)। তিনি সদরপুর উপজেলার ছলেনামা এলাকার ব্যাপারীডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকায় তাঁর একটি ওয়ার্কশপের ব্যবসা রয়েছে। ভাষানচর ইউনিয়নের মুন্সি গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীর মিয়ার মেয়ে লাবণী আক্তারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরহাদ ব্যাপারীকে রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। তিনি ঘুমিয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদিশাশুড়ি মিলে কাস্তে দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করেন। হত্যাচেষ্টার আগে পাশের ঘরের বারান্দায় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছিল। এ সময় ফরহাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। এর আগেই ওই তিন নারী পালিয়ে যান। এলাকাবাসী আহত ফরহাদকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং সদরপুর থানায় খবর দেন।

ফরহাদ ব্যাপারীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমি কেনার জন্য ফরহাদ তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়িকে ১১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁরা জমি না কিনে টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই ঘটনার জেরেই হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এই হত্যাচেষ্টা পূর্বপরিকল্পিত। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ফরহাদের স্ত্রী লাবণীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ