চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত কর্ণফুলী টানেলে দ্রুতগতির একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে তিনজন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার বেলা দুইটার সময় পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারার দিকে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।

টানেল–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজ বেলা দুইটার সময় পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারার দিকে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী বাসটি। টানেলের ভেতর প্রবেশের পর অতিরিক্ত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং কাত হয়ে পড়ে যায় বাসটি। ওই সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ও ডেকোরেটিভ বোর্ডের সামান্য ক্ষতি হয়।

কর্ণফুলী টানেল সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.

নাছির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, টানেলের ভেতরে গতিসীমা না মেনে দ্রুতগতিতে বাস চালাচ্ছিলেন চালক। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি উল্টে যায় এবং তিনজন আহত হয়েছেন। টানেলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কোম্পানির উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করেন। পরে তাঁদের মধ্যে দুজনকে চট্টগ্রাম নগরের একটি হাসপাতালে ও আরেকজনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। আহত ব্যক্তিদের নাম–ঠিকানাসহ বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

কর্ণফুলী টানেলের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের (টিসিআর) সহকারী ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারার দিকে যাওয়ার সময় একটি যাত্রীবাহী বাস কাত হয়ে পড়ে যায়। পরে গাড়িটি উদ্ধার করে টোল প্লাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

শ্বশুরবাড়িতে যুবককে ‘গলা কেটে হত্যাচেষ্টা’, পাশের ঘরে খোঁড়া হয়েছিল গর্ত

ফরিদপুরের সদরপুরে শ্বশুরবাড়িতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মুন্সি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির স্ত্রী লাবণী আক্তারকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর তাঁর শাশুড়ি শহিদা বেগম (৪৯) ও দাদিশাশুড়ি জনকী বেগম (৬২) পলাতক।

ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম ফরহাদ ব্যাপারী ওরফে ঠান্ডু (৩৫)। তিনি সদরপুর উপজেলার ছলেনামা এলাকার ব্যাপারীডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকায় তাঁর একটি ওয়ার্কশপের ব্যবসা রয়েছে। ভাষানচর ইউনিয়নের মুন্সি গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীর মিয়ার মেয়ে লাবণী আক্তারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরহাদ ব্যাপারীকে রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। তিনি ঘুমিয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদিশাশুড়ি মিলে কাস্তে দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করেন। হত্যাচেষ্টার আগে পাশের ঘরের বারান্দায় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছিল। এ সময় ফরহাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। এর আগেই ওই তিন নারী পালিয়ে যান। এলাকাবাসী আহত ফরহাদকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং সদরপুর থানায় খবর দেন।

ফরহাদ ব্যাপারীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমি কেনার জন্য ফরহাদ তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়িকে ১১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁরা জমি না কিনে টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই ঘটনার জেরেই হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এই হত্যাচেষ্টা পূর্বপরিকল্পিত। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ফরহাদের স্ত্রী লাবণীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ