গাজা অভিমুখী ঐতিহাসিক নৌবহরে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের, বিশেষ করে বিশ্ববিখ্যাত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলমের অবস্থা ও নিরাপত্তা সরকার নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ২০১৮ সালে হাসিনা সরকারের সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য ১০৭ দিন কারাবাসের যে সাহস, দৃঢ়তা ও অবিচল মানসিকতা শহিদুল আলম দেখিয়েছিলেন, সেই একই চেতনা ও সাহস নিয়ে তিনি এ অভিযানে অংশ নিচ্ছেন। তিনি আজ বাংলাদেশের অবিচল মনোবলের এক উজ্জ্বল প্রতীক।

গত মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া নিজের বক্তব্য উদ্ধৃত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘অন্যের দুর্ভোগ ও পীড়নের প্রতি ঔদাসীন্য বহু দশকের পরিশ্রমে আমরা যে অগ্রগতি অর্জন করেছি, তা ধ্বংস করে দিচ্ছে।’

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, ‘এর সবচেয়ে মর্মান্তিক চিত্র আমরা দেখছি গাজায়। শিশুরা না খেয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করছে। বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। হাসপাতাল, স্কুলসহ একটি গোটা জনপদ নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা শহিদুল আলমের পাশে আছি, গাজার পাশে আছি—এখন এবং চিরকাল।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান

একটি ‘সন্ত্রাসী’ গোষ্ঠীর ছয় সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কথা জানিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগ। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম প্রদেশ খুজেস্তানে সশস্ত্র হামলা চালানোর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

আজ শনিবার বিচার বিভাগ নিজেদের ‘মিজান ওয়েবসাইটে’ জানায়, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীর খুজেস্তান প্রদেশে নিরাপত্তা (বাহিনীর সদস্যদের) লক্ষ্য করে কয়েক বছরে একাধিক সশস্ত্র আক্রমণ ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এসব ঘটনায় আজ ভোরে ছয়জন বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।’

যাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তাঁদের পরিচয়, গ্রেপ্তার ও রায়ের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো কিছু তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

তবে মিজানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে চার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁরা জড়িত ছিলেন। নিহত চারজনের মধ্যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা, বাকি দুজন ‘বাসিজ’ আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য ছিলেন।

ইরান যেসব গোষ্ঠীকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বা সন্ত্রাসী বলে তকমা দেয়, সেগুলোর সঙ্গে সাধারণত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইসরায়েলের সম্পর্ক থাকে বলে দাবি করা হয়।

আজ আলাদাভাবে সামান মোহাম্মাদি নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করেছে ইরানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে মোহারেবেহ বা ‘খোদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’, সন্ত্রাসী এবং তাকফিরি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, তাকফির বলতে বোঝায়, যাঁরা অন্য মুসলমানকে কাফের বা নাস্তিক ঘোষণা দেন।

আজ এসব মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এক সপ্তাহের কম সময় আগে আরেক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকরের কথা জানিয়েছিল ইরান। ওই ব্যক্তিকে ইসরায়েলের শীর্ষ গুপ্তচরের একজন বলে দাবি করা হয়েছিল।

আরও পড়ুনইসরায়েলের এক শীর্ষ গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ইরানের২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার মতে, ইরানের বর্তমান সরকার প্রধানত ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। দেশটিতে চীনের পর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ