বগুড়ার ধুনটে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের যমুনা নদীতীরবর্তী শহড়াবাড়ি নৌঘাট এলাকায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাত্র কয়েক ঘণ্টায় নৌঘাটের অন্তত ১০টি দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। একই সময়ে যমুনার ভাঙনের কবলে পড়েছে অন্তত ১০০ বিঘা ফসলি জমি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ভাঙন অব্যাহত আছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, যমুনার ব্যাপক ভাঙন এখন লোকালয়ের দিকে ধেয়ে আসছে। এতে নদীতীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা ছড়িয়েছে। ফসল হারিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের কপালে। নদীভাঙন রোধে এখনো কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ভাঙন অব্যাহত থাকলে হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা আছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, নদীভাঙন রোধে ২০০৩ সালে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০০ মিটার দৈর্ঘ্যের শহড়াবাড়ি ও বানিয়াজান নামের দুটি স্পার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের ভূতবাড়ি থেকে শহড়াবাড়ি গ্রাম পর্যন্ত আরও তিন কিলোমিটার অংশে জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লক দিয়ে তীর সংরক্ষণ করা হয়। তবে নদী থেকে অবাধে বালু তোলায় শহড়াবাড়ি, শিমুলবাড়ি, পুকুরিয়া, ভূতবাড়ি ও ভান্ডারবাড়ি এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।

গতকাল নদীতীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যমুনা নদীর ভাঙন থেকে শহড়াবাড়ি ও বানিয়াজান গ্রামের আবাদি জমি ও জনবসতি রক্ষায় স্পার বাঁধ নির্মিত হয়। কিন্তু হঠাৎ যমুনার পানি বাড়ায় শহড়াবাড়ির স্পার বাঁধের নৌঘাট এলাকায় ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে শহড়াবাড়ি থেকে বানিয়াজান পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার অংশজুড়ে নদীভাঙন অব্যাহত আছে।

শহড়াবাড়ি থেকে বানিয়াজান পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার অংশজুড়ে নদীভাঙন অব্যাহত আছে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

মনে হয়, অনেক সমালোচনার পরেও মানুষ বিএনপিকেই ভোট দেবে: মান্না

বিএনপিকে নিয়ে অনেক সমালোচনা করা হলেও শেষ পর্যন্ত মানুষ এই দলটিকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে বলে মনে করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

এই নেতা বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরের জন্য কারা দায়িত্ব পাবেন, বোঝা যায় তো না কি? আমি জানি না। আপনারা হয়তো বলতে চাইবেন না। আমি বলি, আমার তো মনে হয়...আমি কোনো বিএনপির পক্ষে ক্যাম্পেইন করি না, আমি তো বিএনপি করি না। কিন্তু আমার মনে হয়, অনেক ক্রিটিসিজমের (সমালোচনা) পরেও শেষ পর্যন্ত মানুষ বিএনপিকেই ভোট দেবে।’

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) আয়োজিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের ওয়াচডগের ভূমিকায় থাকতে হবে উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, সাংবাদিকেরা শুধু ওয়াচডগ নন, তারা মাঝে মাঝে পথপ্রদর্শকও হতে পারেন। যারা সাংবাদিকদের দাবিগুলো পূরণ করার অঙ্গীকার করবে, তাদের পেছনেও সাংবাদিকদের ওয়াচডগের মতো থাকতে হবে। তবে সাংবাদিকদের দাবিগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে না জানিয়ে পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় যাবে তাদের কাছেই বলার পরামর্শ দেন নাগরিক ঐক্যের এই নেতা।

বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হকের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ক‌রেন বি‌জে‌সির নির্বাহী মিলটন আনোয়ার। বি‌জে‌সির ট্রাস্টিদের ম‌ধ্যে আলোচনায় অংশ নেন তালাত মামুন ও ফা‌হিম আহ‌মেদ। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করে বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ