মধ্যপ্রদেশে একের পর এক শিশুর মৃত্যু, আবারও কফ সিরাপের মরণফাঁদ
Published: 9th, October 2025 GMT
এ যেন চেনা ঘাতকের ফিরে আসা। এর জের ধরে একটি ওষুধ কোম্পানির মালিক সদ্য গ্রেপ্তারও হয়েছেন।
সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে ভারতের মধ্যপ্রদেশের একটি ছোট্ট শহরে আচমকা একে পর এক শিশু মারা যেতে থাকে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা হন্যে হয়ে এর কারণ খুঁজতে থাকেন।
অন্তত ১৯টি শিশুর মৃত্যু হয়েছিল এবং সেটা হয়েছিল একটি চেনা কফ সিরাপ খাওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে। তাদের বয়স এক থেকে ছয় বছরের মধ্যে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা খাওয়ার পানি থেকে শুরু করে মশার কামড়ের শঙ্কা পর্যন্ত সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে থাকেন।
কফ সিরাপটিতে ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ ডাইথাইলিন গ্লাইকোল আছে। এটি একটি বিষাক্ত দ্রাবক, যা শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত হয়। ওষুধে এটি থাকারই কথা নয়। বিষাক্ত এই অ্যালকোহল পান করলে সচরাচর কিডনি বিকল হয়ে যায়।তারপর জানা গেল, এই শিশুদের সবারই কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছিল। তারা সবাই যে কফ সিরাপটি খেয়েছিল, সেটার নাম কোল্ডরিফ।
কর্মকর্তারা কফ সিরাপটি পরীক্ষা করতে চেন্নাইয়ে একটি সরকারি পরীক্ষাগারে পাঠান। সেখান থেকে কয়েক সপ্তাহ পর নিশ্চিত করা হয় যে কফ সিরাপটিতে ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ ডাইথাইলিন গ্লাইকোল আছে। এটি একটি বিষাক্ত দ্রাবক, যা শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত হয়। ওষুধে এটি থাকারই কথা নয়। বিষাক্ত এই অ্যালকোহল পান করলে সচরাচর কিডনি বিকল হয়ে যায়।
শুধু মধ্যপ্রদেশে নয়, প্রতিবেশী রাজস্থান রাজ্যেও দুটি শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। অভিযোগ আছে, তারাও স্থানীয়ভাবে তৈরি একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। সিরাপটি খুব ছোট শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়। এ থেকে সেখানে গণরোষ তৈরি হয় এবং সরকার তদন্তে নামে।
আরও পড়ুনগাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ভারতীয় কোম্পানির কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্ত০৬ অক্টোবর ২০২২মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ শ্রীসান ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানা বন্ধ করতে নোটিশ সেঁটে দিচ্ছে। ৭ অক্টোবর, ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মনে হয়, অনেক সমালোচনার পরেও মানুষ বিএনপিকেই ভোট দেবে: মান্না
বিএনপিকে নিয়ে অনেক সমালোচনা করা হলেও শেষ পর্যন্ত মানুষ এই দলটিকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে বলে মনে করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
এই নেতা বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরের জন্য কারা দায়িত্ব পাবেন, বোঝা যায় তো না কি? আমি জানি না। আপনারা হয়তো বলতে চাইবেন না। আমি বলি, আমার তো মনে হয়...আমি কোনো বিএনপির পক্ষে ক্যাম্পেইন করি না, আমি তো বিএনপি করি না। কিন্তু আমার মনে হয়, অনেক ক্রিটিসিজমের (সমালোচনা) পরেও শেষ পর্যন্ত মানুষ বিএনপিকেই ভোট দেবে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) আয়োজিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের ওয়াচডগের ভূমিকায় থাকতে হবে উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, সাংবাদিকেরা শুধু ওয়াচডগ নন, তারা মাঝে মাঝে পথপ্রদর্শকও হতে পারেন। যারা সাংবাদিকদের দাবিগুলো পূরণ করার অঙ্গীকার করবে, তাদের পেছনেও সাংবাদিকদের ওয়াচডগের মতো থাকতে হবে। তবে সাংবাদিকদের দাবিগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে না জানিয়ে পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় যাবে তাদের কাছেই বলার পরামর্শ দেন নাগরিক ঐক্যের এই নেতা।
বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হকের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজেসির নির্বাহী মিলটন আনোয়ার। বিজেসির ট্রাস্টিদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন তালাত মামুন ও ফাহিম আহমেদ। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করে বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন।