৬ দলের ৪০০ প্রার্থীর আবেদন: ফ্যসিবাদমুক্ত সমমনা দল-জোটের সঙ্
Published: 9th, October 2025 GMT
আসন্ন নির্বাচনে ফ্যসিবাদমুক্ত জবাবদিহিতার রাষ্ট্র গঠনে আগ্রহী সমমনা দলগুল কিংবা জোটের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ বৃহত্তর নির্বাচনী ঐক্য গড়ে তুলবে বলে জানিয়েছেন ছয়দলীয় জোটটির শীর্ষনেতারা।
তারা বলেছেন, জনগণের মালিকানা ও জনগণের কাছে জবাবদিহিতার রাষ্ট্র কাঠামো গড়তে যারা সর্বোচ্চ সচেতন হবেন, তাদের সাথেই গণতন্ত্র মঞ্চের ঐক্য হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এ কথা বলেন। জোট সম্প্রসারণের কথাও বলেছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম।
এ সময় গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষনেতা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানি জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্যে গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম বলেন, “মঞ্চের ছয় দলের এ পর্যন্ত ৪০০ এর অধিক প্রার্থীর আবেদন জমা পড়েছে। আরো অনেকে আগ্রহ জানিয়েছেন। প্রার্থীতা বাছাই ও সমন্বয় কমিটি আবেদনগুলো পর্যালোচনা ও সমন্বয়ের কাজ করছেন। একই আসনে একাধিক প্রার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ধারাবাহিকভাবে দলগুলোর মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে সমন্বয় কাজ চলমান।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন, “আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। জুলাই সনদের টেকসই বাস্তবায়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এই নির্বাচন।”
তিনি বলেন, “গণতন্ত্র মঞ্চ আগে এককভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও সমমনা দল কিংবা জোটের সঙ্গে বৃহত্তর নির্বাচনী ঐক্য গড়ে তুলতে কাজ করছে। পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চ জোটটির সম্প্রসারণের আলাপ আলোচনা চলছে। দেশকে ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত করে জনগণের মালিকানা ও জনগণের কাছে জবাবদিহিতার রাষ্ট্র কাঠামো গড়তে যারা সর্বোচ্চ সচেতন হবেন, তাদের সাথেই গণতন্ত্র মঞ্চের ঐক্য হবে।”
এ সময় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, জেএসডির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ সিরাজ মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাখখাইরুল ইসলাম নবাব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, ভাসানি জনশক্তি পার্টির মহাসচিব ড.
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণতন ত র ম জনগণ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
জনগণের মধ্যে নির্বাচনী আমেজ এলে অপরাধ আরও কমে আসবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দেশে অপরাধের সংখ্যা কমছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জনগণ যখন নির্বাচনী আমেজে চলে আসবে, তখন অপরাধ কমে আসবে।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন। আইনশৃঙ্খলায় ডিএমপির সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে ২০টি গাড়ি হস্তান্তর উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঢাকায় এখন ঝটিকা মিছিলের সংখ্যা কমে আসছে। একবার মিছিল থেকে ২৪৪ জনকে হাতেনাতে ধরা হলো। তারপর থেকে সংখ্যাটা অনেক কমে এসেছে। সবার সহযোগিতা পেলে এগুলো আরও কমে আসবে। আরেকটি বিষয় হলো, সবাই যখন ইলেকশন মুডে (নির্বাচনী আমেজ) চলে আসবেন, তখন অপরাধগুলো আরও কমে যাবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করতে হয় নির্বাচন কমিশনের। তবে ভালো নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ‘স্টেকহোল্ডার’ হলো জনগণ। জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে, তখন কোনো কিছুই সেটি আটকাতে পারবে না। জনগণ হলো সবচেয়ে বড় ‘ফ্যাক্টর’। জনগণ নির্বাচন নিয়ে খুবই সচেতন। যত দিন যাবে, এ নিয়ে আলোচনাও তত বেশি হবে। নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হয়, সেদিকে সবার চেষ্টা থাকবে।
সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যরা মারধরের শিকার হয়েছেন, এমন পরিস্থিতির বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই সংখ্য আগের থেকে একটু কমে এসেছে। তবে কয়েক দিন আগে নরসিংদীতে এক পুলিশের ওপর হামলার একটি ঘটনা ঘটেছে। এখন জনগণ যদি আস্তে আস্তে সচেতন হন এবং তাঁরা যদি বুঝতে পারেন এই কাজগুলো খারাপ, তখন জনগণই এসব সমস্যার প্রতিকার করবেন। কারণ, সবকিছুর মূলে তো জনগণ।