কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি)  চেয়ারম্যান নইমুদ্দিন সেন্টু হত্যা মামলার আসামি লালন ওরফে শুটার লালনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে ফিলিপনগর ইউনিয়নের বৈরাগীরচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার লালন একই ইউনিয়নের পূর্ব ফিলিপনগর গ্রামের রঞ্জু মালিথার ছেলে। তার নামে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। 

আরো পড়ুন:

শিশুকে হত্যার পর গাছে উঠলেন যুবক

গয়না হাতিয়ে নিতে দাদিকে হত্যা করেন নাতনি: পুলিশ

২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে ইউপি চেয়ারম্যান সেন্টুকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গুলি করে টুকু বাহিনীর লোকজন। ঘটনাস্থলেই মারা যান সেন্টু চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় ওই বছরের ১ অক্টোবর নিহতের ছেলে আহসান হাবীব কনক বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় ৮-১০ জনকে।  

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত সেন্টু ফিলিপনগর বাজারপাড়ার মুতালিব সরকারের ছেলে। তিনি অনেক আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। একসময় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতিও ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। দুইবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সেন্টু। 

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, “ইউপি চেয়ারম্যান সেন্টুকে হত্যা মামলার আসামি লালনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার মধ্যরাতে বৈরাগীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”  

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আস ম গ র প ত র কর ফ ল পনগর দ লতপ র

এছাড়াও পড়ুন:

নার্সের ভুলে ‘ব্রুস লি’, রাস্তায় মার খাওয়া ছেলেটিই কুংফুর রাজা

১৯৪০ সালের ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর চায়নাটাউনের এক হাসপাতালে জন্ম নেয় এক হালকা-পাতলা শিশু। জন্মের সঙ্গেই জড়িয়ে যায় এক কাকতাল—মা গ্রেস ছেলের নাম রাখতে চেয়েছিলেন ‘ইউমেন ক্যাম’; কিন্তু হাসপাতালের নার্স নামটি ঠিকমতো উচ্চারণ করতে না পারায় বার্থ সার্টিফিকেটে লিখে ফেলেন অন্য এক নাম ‘ব্রুস লি’। মা–বাবা আপত্তি করেননি, নাম বদলানোর কথাও আর ওঠেনি। তখন কি ভেবেছিলেন, এই নামই একদিন হয়ে উঠবে বিশ্ব চলচ্চিত্র ও মার্শাল আর্টের ইতিহাসের প্রতীক—পূর্ব ও পশ্চিমের সাংস্কৃতিক দূরত্ব ভাঙার এক নীরবকিন্তু প্রবল শরীরী ভাষা!

যদিও জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে, তবে ব্রুস লির পারিবারিক শিকড় ছিল হংকংয়ে। জন্মের এক বছরের মধ্যেই ক্যান্টনিজ অপেরার জনপ্রিয় শিল্পী বাবা লি হুই চোয়েন পরিবার নিয়ে ফিরে যান হংকংয়ে। সেখানেই মঞ্চ, আলো ও ক্যামেরা আর অভিনয়ের আবহে বেড়ে ওঠে এই শিশু, যাঁর জীবন মাত্র ৩২ বছরেই থেমে গেলেও প্রভাব রেখে গেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। আজও ব্রুসলিকে নিয়ে চর্চা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর ছবি ও পোস্টার শেয়ার হয়।

শিশুশিল্পী থেকে আত্মগঠনের কঠিন পথ
ফিল্ম স্টুডিওই ছিল ব্রুস লির প্রথম খেলার মাঠ। বাবার হাত ধরে ছোটবেলা থেকেই ক্যামেরা, আলো, সেট—সবই তাঁর কাছে হয়ে ওঠে স্বাভাবিক পরিবেশ । মাত্র ছয় বছর বয়সে ‘দ্য বিগিনিং অব আ বয়’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তাঁর চলচ্চিত্রযাত্রা । সমালোচকদের মতে, সাত বছর বয়সেই ক্যামেরার সামনে তাঁর উপস্থিতি ছিল বিস্ময়করভাবে স্বচ্ছন্দ—চোখের দৃষ্টি স্থির, শরীরী ভঙ্গি নিয়ন্ত্রিত, যেন বয়সের আগেই তিনি বুঝে ফেলেছিলেন ফ্রেমের ভাষা।

সিনেমার দৃশ্যে ব্রুস লি। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ