সুদানে আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা, নিহত ৬০
Published: 11th, October 2025 GMT
সুদানের আল ফাশির শহরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের ড্রোন এবং কামানের হামলায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে এ হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর শেষ শক্ত ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ দখলের জন্য আল-ফাশির এলাকা অবরুদ্ধ করে রেখেছে আরএসএফ। এই অবরোধের ফলে শহরে ক্ষুধা ও রোগ ছড়িয়ে পড়েছে এবং অবিরাম ড্রোন এবং কামানের হামলায় বাস্তুচ্যুত আশ্রয়কেন্দ্র, মসজিদ, হাসপাতাল ও ক্লিনিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আল-ফাশির প্রতিরোধ কমিটি শনিবারের শুরুতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে মৃতদেহ পড়ে আছে, আশ্রয়কেন্দ্রের ভেতরে জীবন্ত পুড়ে অন্যদের মৃত্যু হয়েছে, শিশু, মহিলা এবং বয়স্কদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রটি দুবার ড্রোন দিয়ে এবং আটবার কামানের গোলা দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
প্রতিরোধ কমিটি জানিয়েছে, হামলায় শত শত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা সুরক্ষার জন্য তাদের বাড়ি এবং আশেপাশে বাঙ্কার খনন করেছেন।
কর্মী গোষ্ঠীটি জানিয়েছে,শহরটি সহিংসতা, ক্ষুধা এবং রোগের কারণে প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন লোককে হারাচ্ছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরির পরীক্ষায় আধুনিক ‘স্পাই ডিভাইস’ ব্যবহার, পাঁচজনকে সাজা
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) একটি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রযুক্তিনির্ভর জালিয়াতিসহ প্রতারণার অভিযোগে ১৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন আধুনিক ‘স্পাই কমিউনিকেশন ডিভাইস’ ব্যবহার করছিলেন। আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএনসি।
ডিএনসি সূত্র জানায়, দেশের যুবসমাজকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা এবং মাদকবিরোধী কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে সিপাহি ও ওয়্যারলেস অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত ৬ আগস্ট। সিপাহি পদে ১০৫টি আর ওয়্যারলেস অপারেটর পদে ১২টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য যথাক্রমে ২৬ হাজার ও ১১ হাজার আবেদন জমা পড়ে।
পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ধাপসমূহে উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন সিপাহি পদে ১ হাজার ৮২ জন এবং ওয়্যারলেস অপারেটর পদে ১২৪ জন। আজ অনুষ্ঠিত এই লিখিত পরীক্ষায় ১৮ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন আধুনিক ‘স্পাই ডিভাইস’ ব্যবহার করছিলেন আর ১৩ জন প্রক্সি পরীক্ষার্থী হিসেবে (অন্যের হয়ে) অংশ নিয়েছিলেন।
ডিএনসি জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আগেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র শনাক্ত করা হয় এবং পরীক্ষার দিন কেন্দ্রে নজরদারি জোরদার করা হয়। অভিযানে যে ডিভাইসগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, তা ছিল অত্যাধুনিক ‘স্পাই কমিউনিকেশন’ সরঞ্জাম। এতে ছিল কানে স্থাপনযোগ্য ইয়ারপিস মাইক্রোফোন, যা তিন থেকে চার ঘণ্টা সক্রিয় থাকতে পারে। এ ছাড়া ছিল একটি জিএসএম কার্ডযুক্ত ডিভাইস, যা ব্লুটুথের মাধ্যমে ইয়ারপিসের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে দুই দিকের কথোপকথন সম্ভব করে তোলে।
পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডিএনসির ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।