ড. কাজি গোলাম মহিউদ্দিনের জানাজা বুধবার
Published: 12th, October 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. অধ্যাপক কাজি গোলাম মহিউদ্দিনের (৮৩) জানাজা আগামী বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ফেনী শহরের পূর্ব উকিলপাড়া মুন্সিবাড়ি মসজিদে হবে। তার সর্বশেষ জানাজা বাদ জোহর পৈত্রিক নিবাস ফেনী সদর থানার মাথিয়ারা কাজি বাড়িতে হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে প্রতিষ্ঠিত খানকায়ে আলিয়াতে মরহুমকে দাফন করা হবে।
কাজি গোলাম মহিউদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে গত ২৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় মারা যান। গত ৩ অক্টোবর বাদ জুমা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ইসলামিক সেন্টারে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
কাজি গোলাম মহিউদ্দিন অধূণালুপ্ত কাজি ক্যামিকেল ওয়ার্কাসের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম কাজি আলী নোয়াজের তৃতীয় ছেলে। তিনি ১৯৪৩ সালের ৬ মার্চ ফেনী শহরের পূর্ব উকিল পাড়ায় জন্মগ্ৰহণ করেন।
কাজি গোলাম মহিউদ্দিন ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.
কাজি গোলাম মহিউদ্দিন ১৯৮১ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় লস অ্যাঞ্জেলস (ইউসিএলএ) থেকে স্কুল অফ বিজনেস বিষয়ে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। সুদীর্ঘ ৪৫ বছরেরও অধিককাল শিক্ষকতার পাঠ চুকিয়ে অধ্যাপক হিসেবে ইউসিএলএ থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।
ঢাকা/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রিশাদ বল ঘুরালেন, ঘুরিয়ে দিলেন ম্যাচও
মিরপুর স্টেডিয়ামে তখন টান টান উত্তেজনা। মাঠজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ফিল্ডারদের চোখে কৌতূহল। গ্যালারিতে বসে খেলা দেখা দর্শকদের মনেও একই প্রশ্ন, ‘রিশাদ হোসেনের এই বলে কী হবে?’ রিশাদের প্রতি বলেই জেগে উঠছিল এমন সম্ভাবনা।
আর তিনিও এমন কিছু করলেন, যা তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে আগে কখনো হয়নি। বল ঘোরালেন, তাতে বিভ্রান্ত হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। একে একে ক্যারিবীয় পাঁচ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে রিশাদ পেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ‘ফাইফার’ (এক ইনিংসে ৫ উইকেট)। শুধু তাঁর নিজের ক্যারিয়ারে নয়, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের জন্যও এটা বিশেষ মুহূর্ত। কারণ, এর আগে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে কোনো ডানহাতি স্পিনারই ৫ উইকেট নিতে পারেননি।
আজ যখন বাংলাদেশের হারের ভয় চেপে বসেছে, তখন এই লেগ স্পিনারের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক। ব্যাট হাতেও তিনি দলের জন্য জরুরি কাজটা করে এসেছেন। তাঁর ১২ বলে ২৬ রানের ইনিংসের সৌজন্যেই বাংলাদেশ কোনোমতে ২০০ রানের গণ্ডি পার হয়েছিল। স্কোর দাঁড়ায় ২০৭।
কিন্তু সেই ২০৭ রান মোটেই নিরাপদ মনে হচ্ছিল না। কারণ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটিই ৫০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পাওয়ার প্লে শেষ হলো। ম্যাচের ১১তম ওভারে রিশাদের হাতে বল আসতেই ম্যাচের চিত্র বদলে গেল। তাঁর ঘূর্ণিতে বোকা বনতে লাগলেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা।