সুদানের উত্তর দারফুরে আরএসএফের হামলায় নিহত ৬০
Published: 12th, October 2025 GMT
সুদানের এল-ফাশের শহরে একটি বাস্তুচ্যুত শিবিরে ড্রোন হামলা ও গোলাবর্ষণে অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অধিকারকর্মীরা। গতকাল শনিবার দেশটির আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এই হামলা চালায়। আরএসএফ সম্প্রতি দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় এই শহরে হামলা জোরদার করেছে।
উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশেরের প্রতিরোধ কমিটি জানায়, আরএসএফ একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থিত দার আল-আরকাম বাস্তুচ্যুত শিবিরে হামলা চালিয়েছে।
প্রতিরোধ কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অনেকের শরীর পুরোপুরি পুড়ে গেছে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘শহরের ভেতরের পরিস্থিতি দুর্যোগ ও গণহত্যার সীমাকে ছাড়িয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও বিশ্ব নীরব।’
প্রতিরোধ কমিটি প্রথমে নিহতের সংখ্যা ৩০ বলে জানিয়েছিল। তবে তারা তখনই বলেছিল, ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মরদেহ আটকে আছে। পরে নিহতের সংখ্যা ৬০ বলে জানানো হয়। স্থানীয় প্রতিরোধ কমিটিগুলো সুদানের চলমান সংঘাতে ত্রাণ সমন্বয় ও নৃশংসতার তথ্য নথিবদ্ধ করে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের সংঘাত চলছে। সংঘাতে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ চরম খাদ্যসংকটে পড়েছেন।
দারফুর অঞ্চলের মধ্যে এল-ফাশেরই এখন পর্যন্ত আরএসএফের দখল থেকে মুক্ত থাকা সর্বশেষ রাজ্য রাজধানী। আফ্রিকার সংঘাত-কবলিত দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে আধিপত্য বাড়াতে শহরটি এখন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক গত শুক্রবার বলেন, তিনি শহরে আরএসএফের বেসামরিক নাগরিক হত্যাকাণ্ডে ‘মর্মাহত’। এসব হত্যাকাণ্ডে জাতিগতভাবে বেছে বেছে হত্যা ও বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ডের ইঙ্গিত মিলছে। এটা বন্ধ করতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানের উত্তর দারফুরে আরএসএফের হামলায় নিহত ৬০
সুদানের এল-ফাশের শহরে একটি বাস্তুচ্যুত শিবিরে ড্রোন হামলা ও গোলাবর্ষণে অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অধিকারকর্মীরা। গতকাল শনিবার দেশটির আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এই হামলা চালায়। আরএসএফ সম্প্রতি দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় এই শহরে হামলা জোরদার করেছে।
উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশেরের প্রতিরোধ কমিটি জানায়, আরএসএফ একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থিত দার আল-আরকাম বাস্তুচ্যুত শিবিরে হামলা চালিয়েছে।
প্রতিরোধ কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অনেকের শরীর পুরোপুরি পুড়ে গেছে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘শহরের ভেতরের পরিস্থিতি দুর্যোগ ও গণহত্যার সীমাকে ছাড়িয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও বিশ্ব নীরব।’
প্রতিরোধ কমিটি প্রথমে নিহতের সংখ্যা ৩০ বলে জানিয়েছিল। তবে তারা তখনই বলেছিল, ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মরদেহ আটকে আছে। পরে নিহতের সংখ্যা ৬০ বলে জানানো হয়। স্থানীয় প্রতিরোধ কমিটিগুলো সুদানের চলমান সংঘাতে ত্রাণ সমন্বয় ও নৃশংসতার তথ্য নথিবদ্ধ করে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের সংঘাত চলছে। সংঘাতে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ চরম খাদ্যসংকটে পড়েছেন।
দারফুর অঞ্চলের মধ্যে এল-ফাশেরই এখন পর্যন্ত আরএসএফের দখল থেকে মুক্ত থাকা সর্বশেষ রাজ্য রাজধানী। আফ্রিকার সংঘাত-কবলিত দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে আধিপত্য বাড়াতে শহরটি এখন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক গত শুক্রবার বলেন, তিনি শহরে আরএসএফের বেসামরিক নাগরিক হত্যাকাণ্ডে ‘মর্মাহত’। এসব হত্যাকাণ্ডে জাতিগতভাবে বেছে বেছে হত্যা ও বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ডের ইঙ্গিত মিলছে। এটা বন্ধ করতে হবে।