চার দিন আগে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় শিশুটির। এরপর দেখা দেয় অন্যান্য শারীরিক জটিলতা। পরে তাকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। আজ রোববার সকালে সেখানে মারা যায় শিশুটি। পরিবার চেয়েছিল তাকে দাদা–দাদির কবরের পাশে দাফন করতে। কিন্তু জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে সেখানে দাফনে বাধা দেন শিশুটির বাবার চাচাতো ভাইয়েরা। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি। শিশুটিকে দাদা–দাদির কবরের পাশে দাফন করা যায়নি।

আজ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের গাংকুলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

মৃত শিশুটির নাম ফাহাদ মিয়া (৪)। তার বাবা আল মামুন সৌদি আরবে গাড়িচালক হিসেবে কাজ করেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, শিশুটি মারা যাওয়ার পরে বাবা আল মামুনকে ভিডিও কলে ছেলের নিথর মুখ দেখানো হয়। তিনি ছেলেকে বাবা–মায়ের কবরের পাশে দাফন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে সেখানে দাফনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে আল মামুনের চাচাতো ভাইয়েরা কবর খুঁড়তে বাধা দেন। তাঁদের দাবি, এটা এজমালি জায়গা। এই কবরস্থানে আর দাফন হবে না।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বিদেশে থাকা শিশুটির চাচাতো চাচা সোহেল মিয়া মুঠোফোনে বাড়িতে থাকা ছোট ভাই আসিফ মিয়াকে নির্দেশ দেন, এই কবরস্থানে কবর দিতে যেন বাধা দেওয়া হয়। এরপর তিনি কবর খুঁড়তে বাধা দেন। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দুপুরে স্থানীয় লোকজন ৯৯৯–এ ফোন দেন। এরপর ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পাকুন্দিয়া থানার পুলিশ। তারাও বোঝাতে ব্যর্থ হয় চাচাতো চাচাদের। পরে বিকেলে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ফাহাদের বাবার কেনা ফসলি জমিতে তাকে দাফন করা হয়।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা বুঝিয়ে বলেছি, এটা তো একটা শিশু। শিশুটির বাবা বিদেশ থেকে আবেদন করেছেন দাদা–দাদির কবরের পাশে তাঁর সন্তানকে দাফন করার জন্য। কিন্তু চাচাতো চাচারা সেটা শোনেননি।’

মৃত শিশুর ফুফু পারুল আক্তার বলেন, ‘আমি ঢাকায় থাকি, আমার দুই ভাই প্রবাসে। বাড়িতে আমাদের কেউ নেই। আমার ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে ছেলেকে দাদা–দাদির পাশে কবর দিতে। কিন্তু ছোট্ট বাচ্চাটির কবর দিতে দেওয়া হলো না। কতটুকু জায়গা লাগত এ শিশুর জন্য? দূরের মানুষও তো কবরের জন্য এমনভাবে বাধা দেয় না।’

কবর খুঁড়তে বাধা দেওয়া আসিফ বলেন, ‘আমার বড় ভাই (সোহেল) বলেছে এখানে কবর না দিতে। তাই আমি বাধা দিয়েছি। ভাই জানে, কিসের জন্য বাধা দিতে বলেছে, হয়তো জায়গা পাবে। এটা এজমালি জায়গা। আমি এ বিষয়ে এর চাইতে বেশি কিছু বলব না। ভাই বিদেশ থেকে বলেছে, তাই বাধা দিয়েছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাকুন্দিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান বলেন, একপক্ষ বাধা দেওয়ায় ঝামেলা এড়াতে ফাহাদের বাবার কেনা জমিতে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।

এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.

বিল্লাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি খুবই হৃদয়বিদারক। ওয়ারিশ সম্পত্তির দ্বন্দ্বের কারণে একটি ছোট্ট শিশুকে কবর দিতে দেওয়া হয়নি। এমন ঘটনা কোথাও ঘটেছে কি না, তাঁর জানা নেই।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কবর র প শ কবর দ ত র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

তৃষার বিয়ে?

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তৃষা কৃষ্ণান। তার প্রেম-বিয়ে নিয়ে নানা সময় নানারকম গুঞ্জন চাউর হয়েছে। ২০১৫ সালের শুরুতে প্রযোজক বরুণ মানিয়ানের সঙ্গে বাগদান সারেন তৃষা। কিন্তু বিয়ের আগে বাগদান ভেঙে দেন এই অভিনেত্রী। তারপর থেকে ব্যক্তিগত জীবনে একা ৪২ বছর বয়সি তৃষা। এবার জানা গেল, বিয়ে করতে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। 

সিয়াসাত ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তৃষার বিয়ের জন্য নতুন একটি প্রস্তাব এসেছে; যাতে সম্মতি দিয়েছে তার পরিবার। পাত্র চণ্ডীগড়ের ব্যবসায়ী। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া থেকে ভারতে নিজের ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন। তাদের দুই পরিবার বহু বছর ধরে একে অপরকে চেনে। তবে এ বিষয়ে তৃষা বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। 

আরো পড়ুন:

স্ত্রীর গুরুতর অভিযোগ: পবন বললেন, পুরুষের কষ্ট কেউ দেখে না

কানতারা টু: ৭ দিনে আয় ৬০৯ কোটি টাকা

এর আগে বিয়ের বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন তৃষা। এ অভিনেত্রী বলেন—“আমি কেন বিয়ে করছি না এ প্রশ্ন মানুষ আমাকে প্রায়ই করেন। তারা মনে করেন, আমার এখন বিয়ে করা উচিত। এসব মানুষ বিয়ের কথা যেভাবে বলেন তা আমার পছন্দ নয়। আপনি যদি স্বাভাবিকভাবে জিজ্ঞাসা করেন আমি কখন বিয়ে করব, তাহলে আপনি উত্তর পাবেন।” 

তবে কবে বিয়ে করছেন তা এখনো জানেন না তৃষা। তার ভাষায়—“আমি সত্যি জানি না কখন বিয়ে করব। এর পুরোটাই নির্ভর করে আমি কার সঙ্গে আছি, কার সঙ্গে দেখা করছি। আমি সেই মানুষটিকে অনুভব করতে চাই, যার সঙ্গে সারাজীবন কাটাব।” 

তৃষা কৃষ্ণানের সঙ্গে বেশ কজন জনপ্র্রিয় অভিনেতার নাম জড়িয়েছে। ‘বাহুবলি’খ্যাত অভিনেতা রানা দাগ্গুবতির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন তৃষা। এরপর মিহীকা বাজাজের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রানা। ২০২০ সালের ৮ আগস্ট তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তখন গুঞ্জন চাউর হয়, অভিনেতা সিম্বুর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তৃষা। শুধু তাই নয়, তাদের বিয়ের আসরের কিছু ছবি অন্তর্জালে ভাইরাল হয়। কিন্তু বিষয়টি মিথ্যা-বানোয়াট বলে দাবি করেন তৃষা। 

তাছাড়াও দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা থালাপাতি বিজয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন তৃষা। এটি ২০০৫ সালের ঘটনা। ‘গিলি’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে বলে গুঞ্জন উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর স্ত্রীর সঙ্গে বিজয়ের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে এ সম্পর্ক আর আগায়নি।    

১৯৯৯ সালে ‘মিস মাদ্রাজ’ খেতাব জয়ের পর ওই বছরই চলচ্চিত্রে নাম লেখান তৃষা কৃষ্ণান। তার অভিনীত অভিষেক চলচ্চিত্র ‘জুড়ি’। এরপর তামিল, তেলেগু, মালায়লাম ও হিন্দি ভাষার অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। বর্তমানে তার হাতে তামিল ও তেলেগু ভাষার ২টি সিনেমার কাজ রয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চার ফিফটিতে প্রথম দিন পাকিস্তানের
  • ডিনস্টন সিমেট্রির স্মৃতি ও ‘টম্বস ইন টি’ বইয়ের সঙ্গে আমার সংযোগ
  • ওজন ৪০ কেজিতে নামালেন কে–পপ তারকা, এরপর কী ঘটল
  • রাজশাহীতে বিপিএল আয়োজনে উদ্যোগী বিসিবি
  • বন্দরের গনপাড়া সমাজ সেবক আব্দুল হালিম আর নেই 
  • পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসী ছিনতাই, ব্লেড জনী গ্রেপ্তার : হ্যান্ডকাপ উদ্ধার 
  • বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন গাজার বাসিন্দারা
  • যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের ঘোষণা ইসরায়েলের
  • তৃষার বিয়ে?