গাজায় আটক অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। স্থানীয় সময় আজ সোমবার সকাল ৮টার পর জিম্মি মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।

গাজায় প্রধম ধাপে সাতজন জিম্মিকে রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম। তবে প্রাথমিকভাবে তাঁদের নাম–পরিচয় জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে ইসরায়েল সরকার কিংবা দেশটির সামরিক বাহিনী এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

আরও পড়ুনজিম্মিরা মুক্ত হওয়ামাত্রই গাজার সুড়ঙ্গগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ইসরায়েলের১৮ ঘণ্টা আগে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শান্তি পরিকল্পনা’ মেনে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। ট্রাম্পের ওই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ অনুযায়ী গত শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এর চতুর্থ দিনে আজ সোমবার মিসরের অবকাযাপনকেন্দ্র শারম আল শেখে ‘শান্তি’ সম্মেলনে বসছেন বিশ্বনেতারা। সেখানে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ইতিমধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, তাতে ট্রাম্প সই করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মিসরে সম্মেলন শুরুর আগেই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। আর ঠিক এ সময়টায় ইসরায়েলে যাচ্ছেন ট্রাম্প। সেখান থেকে তাঁর মিসরে যাওয়ার কথা। ইসরায়েল সফরে দেশটির পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের।

ট্রাম্পের পরিকল্পনার ভিত্তিতে গাজায় যে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তার মূল শর্তগুলো হলো—গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলা বন্ধ, উপত্যকাটির নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত সেনাদের সরিয়ে আনা এবং জিম্মি ও বন্দিবিনিময়। গতকাল রোববার দিনভর বন্দীদের মুক্তি বিষয়ে তৎপরতা চালিয়েছে হামাস ও ইসরায়েল।

আরও পড়ুনগাজা থেকে জিম্মিমুক্তি শুরু কখন, কীভাবে২২ ঘণ্টা আগে

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। পরে সেদিন থেকেই গাজায় টানা দুই বছর ধরে নৃশংসতা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ৭ অক্টোবর হামাসের সদস্যরা হামলা চালিয়ে ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান। তাঁদের ৪৮ জন এখনো উপত্যকাটিতে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২০ জন জীবিত। বাকি ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ১ হাজার ৯৫০ জন ফিলিস্তিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। তাঁদের মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। বন্দীদের মধ্যে ২২ শিশুও রয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা পুনর্গঠনে কয়েক প্রজন্ম লেগে যাবে: জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ১২ অক্টোবর ২০২৫আরও পড়ুনগাজা নগরীতে সংঘর্ষে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সালেহ নিহত২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

মিস ইউনিভার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মাদক পাচারের অভিযোগ

মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির মালিকদের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং মাদক ও অস্ত্র পাচার নিয়ে বির্তকের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডে প্রতারণার অভিযোগে মালিকদের একজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মেক্সিকোয় মাদক ও অস্ত্র পাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।

মিস ইউনিভার্স প্রতিষ্ঠানটির একসময় মালিক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২২ সাল থেকে থাই ধনকুবের অ্যান জেকাফং জেকরাটাটিপ এবং তাঁর কোম্পানি জে কে এন গ্লোবাল প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা কিনে নিয়েছে।

থাইল্যান্ডে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

থাইল্যান্ডে জেকরাটাটিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জে কে এন গ্লোবালের একজন বিনিয়োগকারীর সঙ্গে প্রায় ৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার নিয়ে আইনি বিরোধে জড়িয়েছেন। চলতি সপ্তাহে তিনি ব্যাংককের আদালতে হাজিরা দিতে ব্যর্থ হন। থাই গণমাধ্যম অনুসারে, ব্যাংকক সাউথ ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট গতকাল বুধবার জানিয়েছে, তাঁরা জেকরাটাটিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন, তা জানা যায়নি।

বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, জেকরাটাটিপ ও জে কে এন গ্লোবাল ২০২৩ সাল থেকে বড় ধরনের আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে। ওই সময় থেকে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছিল। এপির প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানিটি ২০২৪ সালে থাইল্যান্ডের দেউলিয়া আদালতে ঋণ পুনঃতফসিলের জন্য আবেদন করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার ঋণ রয়েছে।

চলতি বছরের শুরুতে থাইল্যান্ডের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) জেকরাটাটিপ ও জে কে এন গ্লোবালের বিরুদ্ধে আর্থিক বিবৃতিতে ‘মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য’ প্রকাশ করার অভিযোগ আনে। এ জন্য তাদের প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার ডলার জরিমানা করে।

প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম মালিক থাই ধনকুবের অ্যান জেকাফং জেকরাটাটিপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ