খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্বামীকে হত্যা, লাশ ফেলা হয় খালে
Published: 13th, October 2025 GMT
খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্বামীকে খাওয়ান স্ত্রী। এরপর স্বামী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তাঁকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে খুন করেন। পরে দুই ব্যক্তির সহযোগিতায় লাশটি খালে ফেলে দেন স্ত্রী।
রাঙামাটিতে সাড়ে চার মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে স্বামীকে খুনের এমন বিবরণ তুলে ধরেছেন। একই ঘটনায় তাঁর দুই সহযোগীও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
নিখোঁজ থাকা ওই ব্যক্তির নাম দিদার আলম (২৮)। তিনি রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার পশ্চিম কোদালা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করা হলেও এখন পর্যন্ত তাঁর লাশের সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় কোহিনূর ছাড়া জবানবন্দি দেওয়া অপর দুজন হলেন দিদারের প্রতিবেশী মো.
গত ৩০ মে দিদার নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় দিদারের বাবা জামির হোসেন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপরও দিদারের সন্ধান না মেলায় গত জুলাই মাসে দিদারের স্ত্রী কোহিনূর আক্তার ও আবদুল খালেক নামে ওই ব্যক্তিকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন জামির হোসেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ২৭ জুলাই পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
গত ৩০ মে দিদার নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় দিদারের বাবা জামির হোসেন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপরও দিদারের সন্ধান না মেলায় গত জুলাই মাসে দিদারের স্ত্রী কোহিনূর আক্তার ও আবদুল খালেক নামের ওই ব্যক্তিকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন জামির হোসেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য গত ২৭ জুলাই পিবিআইকে নির্দেশ দেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রামের জেলা পরিদর্শক রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তের একপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকা থেকে কোহিনূর ও খালেককে ৪ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১০ অক্টোবর কোহিনূর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ সময় তিনি স্বামীকে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেছেন।
রুহুল আমিন জানান, কোহিনূর আদালতকে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে মো. হামজা ও খালেকের পরকীয়া ছিল। হামজার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি দিদার জানতেন না, তবে খালেকের বিষয়টি জানতেন। এ কারণে কোহিনূরের সঙ্গে দিদারের প্রায়ই ঝগড়া হতো, কোহিনূরকে মারধরও করতেন দিদার। মারধরের বিষয়টি কোহিনূর হামজাকে জানালে তিনি দিদারকে হত্যার পরামর্শ দেন। হামজা দিদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে চারটি ঘুমের ওষুধ কোহিনূরকে এনে দিয়েছিলেন। ঘটনার রাতে ওষুধগুলো খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দিদারকে খাওয়ান কোহিনূর। পরে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন দিদারকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. হামজা ও মো. সেলিমউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্বামীকে হত্যা, লাশ ফেলা হয় খালে
খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্বামীকে খাওয়ান স্ত্রী। এরপর স্বামী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তাঁকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে খুন করেন। পরে দুই ব্যক্তির সহযোগিতায় লাশটি খালে ফেলে দেন স্ত্রী।
রাঙামাটিতে সাড়ে চার মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে স্বামীকে খুনের এমন বিবরণ তুলে ধরেছেন। একই ঘটনায় তাঁর দুই সহযোগীও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
নিখোঁজ থাকা ওই ব্যক্তির নাম দিদার আলম (২৮)। তিনি রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার পশ্চিম কোদালা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করা হলেও এখন পর্যন্ত তাঁর লাশের সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় কোহিনূর ছাড়া জবানবন্দি দেওয়া অপর দুজন হলেন দিদারের প্রতিবেশী মো. হামজা ও মো. সেলিম। দিদার নিখোঁজ থাকার ঘটনায় এ ছাড়া মো. খালেক নামে এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার রয়েছেন।
গত ৩০ মে দিদার নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় দিদারের বাবা জামির হোসেন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপরও দিদারের সন্ধান না মেলায় গত জুলাই মাসে দিদারের স্ত্রী কোহিনূর আক্তার ও আবদুল খালেক নামে ওই ব্যক্তিকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন জামির হোসেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ২৭ জুলাই পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
গত ৩০ মে দিদার নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় দিদারের বাবা জামির হোসেন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপরও দিদারের সন্ধান না মেলায় গত জুলাই মাসে দিদারের স্ত্রী কোহিনূর আক্তার ও আবদুল খালেক নামের ওই ব্যক্তিকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন জামির হোসেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য গত ২৭ জুলাই পিবিআইকে নির্দেশ দেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রামের জেলা পরিদর্শক রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তের একপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকা থেকে কোহিনূর ও খালেককে ৪ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১০ অক্টোবর কোহিনূর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ সময় তিনি স্বামীকে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেছেন।
রুহুল আমিন জানান, কোহিনূর আদালতকে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে মো. হামজা ও খালেকের পরকীয়া ছিল। হামজার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি দিদার জানতেন না, তবে খালেকের বিষয়টি জানতেন। এ কারণে কোহিনূরের সঙ্গে দিদারের প্রায়ই ঝগড়া হতো, কোহিনূরকে মারধরও করতেন দিদার। মারধরের বিষয়টি কোহিনূর হামজাকে জানালে তিনি দিদারকে হত্যার পরামর্শ দেন। হামজা দিদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে চারটি ঘুমের ওষুধ কোহিনূরকে এনে দিয়েছিলেন। ঘটনার রাতে ওষুধগুলো খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দিদারকে খাওয়ান কোহিনূর। পরে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন দিদারকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. হামজা ও মো. সেলিম