পুতিন যুদ্ধ না থামালে ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেবেন ট্রাম্প
Published: 13th, October 2025 GMT
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ না করেন, তবে কিয়েভকে দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনা করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার ইসরায়েলের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার। এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোসহ রাশিয়ার গভীরে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা সম্ভব। ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তিনি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রসহ যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি গত শনিবার ও রোববার জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করবে না, বরং তা পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে সরবরাহ করবে। এ জোটের পক্ষ থেকে তা ইউক্রেনকে দেওয়া হতে পারে। ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেন, ‘রাশিয়া কি চাইবে তার দিকে টমাহক ধেয়ে যাক? আমি তা মনে করি না।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করলে ইউক্রেন তা কেবল সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে, রাশিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নয়। ফক্স নিউজের ‘সানডে ব্রিফিং’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা কখনো বেসামরিক নাগরিকদের আক্রমণ করিনি।’
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ মাসের শুরুর দিকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সদস্যদের সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়া টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তাই ইউক্রেনকে এই অস্ত্র সরবরাহ করা হলে তা যুদ্ধকে ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে যাবে।
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে, তবে এর পরিণাম সবার জন্যই ভয়াবহ হতে পারে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ইউক র ন
এছাড়াও পড়ুন:
এসব খাবার আপনাকে সারা দিন চনমনে রাখবে
কাজের চাপে ক্লান্ত লাগলে বা দুপুরের পর অফিসে ঘুম পেলে অনেকেই কফি বা মিষ্টি কিছু খেয়ে ক্লান্তি কাটানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো আপনাকে সারা দিন চনমনে রাখতে পারে, আবার কিছু খাবার আছে যেগুলো উল্টো আপনাকে দুর্বল করে দেয়!
সকালের নাশতা বাদ দেওয়া আমাদের অন্যতম বড় ভুল। এতে ক্লান্তি ও মানসিক চাপ তুলনামূলক বেশি হয়। তাই সকাল শুরু হোক এমন খাবার দিয়ে, যা ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করবে; যেমন ওটস, চিড়া, ডিম ও পূর্ণ শস্যের টোস্ট, দুধ বা দইয়ের সঙ্গে ফল ও বাদাম—এই খাবারগুলো শরীরে শর্করা, প্রোটিন ও ফাইবার সরবরাহ করে, যা আপনাকে দীর্ঘ সময় সতেজ রাখবে।
সারা দিন শক্তি ধরে রাখার কৌশলবাদাম, বীজ আর শস্যজাতীয় খাবার শক্তির অন্যতম বড় উৎস। এগুলোতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন ও ভিটামিন—যা রক্তে চিনির মাত্রা স্থির রাখে এবং হঠাৎ এনার্জি ড্রপ থেকে বাঁচায়। একমুঠো কাজু, আখরোট বা সূর্যমুখীর বীজের মতো স্ন্যাক হতে পারে আপনার দুপুরের ‘এনার্জি ব্রেক’।
প্রোটিন: ঠিকভাবে দেহের প্রতিটি কোষের কাজ চালাতে প্রোটিন অপরিহার্য। মাছ, মুরগি, ডিম, ডাল ও ছোলা হলো এমন কিছু প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার, যা দ্রুত ক্লান্তি দূর করে। বিশেষ করে মাছ (যেমন ইলিশ, রুই, টুনা) শুধু প্রোটিন নয়, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও দেয়, যা মস্তিষ্ককেও সক্রিয় রাখে।
জটিল শর্করা: সাদা চাল বা পরিশোধিত ময়দা শরীরে দ্রুত শক্তি দেয়, কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি ফুরিয়েও যায়। এর পরিবর্তে বেছে নিন লাল চাল, ব্রাউন রাইস, গমের রুটি বা ওটস—এগুলো ‘কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট’, যা ধীরে হজম হয় এবং সারা দিন স্থিতিশীল এনার্জি দেয়।
শাকসবজি ও ফল: নিয়মিত রঙিন শাকসবজি ও ফল খান। আপেল, কলা, কমলা, পালংশাক, ব্রকলি, গাজর—এগুলোর ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে চাঙা রাখে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
আরও পড়ুনকৈশোরে সঠিক পুষ্টি না পেলে যা হয়, যেসব খাবার খেতে হবে১৬ নভেম্বর ২০২৫যেগুলো এড়িয়ে চলা ভালোঅতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টিজাত খাবার দ্রুত শক্তির জোগান দিলেও খুব দ্রুতই ক্লান্ত করে ফেলে।
অতিরিক্ত ক্যাফেইন সাময়িকভাবে মনোযোগ বাড়ায়, কিন্তু ঘুমের ছন্দ নষ্ট করে দেয়।
অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত বা ভারী খাবার। এগুলো হজমে সময় নেয়, ফলে ঘুম ঘুম লাগে।
ছোট ছোট টিপসপানিশূন্যতা ক্লান্তি ডেকে আনে, নিয়মিত পানি পান করুন।
দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকবেন না।
পর্যাপ্ত ঘুম ও হালকা ব্যায়াম প্রাকৃতিকভাবে আপনার শক্তি বাড়াবে।
শক্তি ধরে রাখার কোনো ‘জাদুকরি খাবার’ নেই, তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাসই পারে আপনাকে সারা দিন প্রাণবন্ত রাখতে। তাই পরেরবার শক্তি কমে গেলে চিনি বা সফট ড্রিংকের দিকে না ছুটে, বেছে নিন প্রকৃতির দেওয়া সঠিক খাবারগুলো।
আরও পড়ুনএকবারে কতটা বাদাম খাওয়া নিরাপদ২১ অক্টোবর ২০২৫