আফগান সীমান্তে ৩০ জনেরও বেশি ‘অনুপ্রবেশকারীকে’ হত্যার দাবি পাকিস্
Published: 16th, October 2025 GMT
আফগানিস্তানের সঙ্গে চরম উত্তেজনার মধ্যে প্রতিবেশী দেশটির সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশের চেষ্টাকারী ৩০ জনেরও বেশি ‘অনুপ্রবেশকারীকে’ হত্যা করার দাবি করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম (পিটিভি নিউজ) ও সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ডন এই খবর জানিয়েছে।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে ফের সংঘাত, নিহত ১২
পিটিভি নিউজের তথ্যানুসারে, নিরাপত্তা বাহিনী খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশের মোহমান্দ জেলায় এই অভিযান চালিয়েছে। এই জেলার সীমান্ত দিয়ে কয়েক ডজন ‘জঙ্গির’ পাকিস্তানে প্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জেলাটির বাহাদর কালাইয়ের পর্বতময় খোর এলাকার কাছে জঙ্গিদের একটি বড় দলকে দেখা যাওয়ার গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর এই অভিযানটি চালানো হয়।
কর্মকর্তারা বলেন, “নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত এলাকাটি ঘিরে ফেল এবং বড় ধরনের একটি অভিযান চালায়।”
পিটিভি বলছে, এই অভিযানে কমপক্ষে ৩০ জন ‘সন্ত্রাসীকে’ নির্মূল করা হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রগুলো ডনকে জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে।
এই ঘটনার বিষয়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) কোনো তথ্য জানায়নি। তবে পিটিভি বলছে, এই ঘটনাটি প্রমাণ করে যে, আফগান সরকার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে হামলা চালানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এখন প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য জঙ্গিদের ওপর নির্ভর করছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন আফগ ন স প রব শ
এছাড়াও পড়ুন:
আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকের মুঠোফোন ভাঙলেন সাদাপাথর–কাণ্ডে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সাদাপাথর ও বালু লুটপাটের মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আবদুল ওয়াদুদ (আলফু) আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ হেফাজতে থেকে এক সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তিনি সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে ভেঙে ফেলেন। একই সময়ে ওয়াদুদের ছেলে আরেক সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও মুছে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। আবদুল ওয়াদুদ সাদাপাথর ও বালু লুট, হত্যা, ছাত্র আন্দোলনে হামলাসহ ১৯টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং একই উপজেলার তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুরে রিমান্ড শুনানির জন্য আবদুল ওয়াদুদকে সিলেট আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাঁর পক্ষে নেতা-কর্মীসহ লোকজন আদালত এলাকায় জড়ো হন। শুনানি শেষে আদালত ভবনের চতুর্থ তলা থেকে তাঁকে হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল। ওই মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছিলেন কয়েকজন সাংবাদিক। এ সময় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক নয়ন সরকারের মুঠোফোনটি কেড়ে নেন। অন্যদিকে আরেকটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক বিশাল দের মুঠোফোন কেড়ে নেন ওয়াদুদের ছেলে কাজী বায়জিদ আহমেদ। পরে বিশালের মুঠোফোনে থাকা ভিডিও চিত্রটি মুছে সেটি আবার ফিরিয়ে দেন বায়জিদ। এ সময় অন্য সাংবাদিকেরা এগিয়ে গেলে তাঁদের সঙ্গেও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নয়ন সরকার বলেন, মুঠোফোনটি নেওয়ার সময় পুলিশ নীরব ভূমিকায় ছিল। পরে পুলিশ জানায়, তাঁর মুঠোফোনটি আসামি ভেঙে ফেলেছেন। পরে বেলা আড়াইটার দিকে আসামিকে হাজতখানা থেকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার সময়ও আসামির লোকজন সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। এ সময় আবদুল ওয়াদুদ সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে সিলেট আদালত পুলিশের পরিদর্শক জামশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, সাংবাদিকেরা অনেকটা কাছ থেকে আসামির ছবি তুলছিলেন। একপর্যায়ে আসামি এক সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। ভাঙা মুঠোফোনটি তাঁদের হেফাজতে আছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ দেওয়া হলে আদালত পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। আদালত প্রাঙ্গণে প্রচুর ভিড় ছিল। অনেকেই ভিডিও করছিলেন। কারা সাংবাদিক, কারা আসামির লোকজন, সেটি জানার উপায় ছিল না।
এদিকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাদাপাথর লুট–কাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলায় কাজী আবদুল ওয়াদুদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন শেখ। তিনি বলেন, সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ওয়াদুদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।