নরসিংদীতে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় হাতকড়া খুলে পালানো ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার আসামি সাগর মিয়াকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ঘটনার ৪০ ঘণ্টা পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে শহরের উপজেলা মোড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় হাতকড়া খুলে পালিয়ে যান সাগর মিয়া। তিনি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে রায়পুরায় ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার আসামি ছিলেন সাগর। তিনি আগেও এই মামলায় তিন দফা জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু পরে আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গত সোমবার রাতে রায়পুরা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদী আদালতে হাজির করা হলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন ইসলামের আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে অন্য আসামিদের সঙ্গে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় কৌশলে হাতকড়া খুলে পালিয়ে যান তিনি।

এ ঘটনায় গতকাল বুধবার নরসিংদী মডেল থানায় সাগর মিয়াকে আসামি করে মামলা করা হয়। এর পর থেকেই জেলা পুলিশের একাধিক দল তাঁর অবস্থান অনুসন্ধানে অভিযান চালায়। আজ সকালে ডিবি পুলিশের একটি দল তাঁকে শহরের উপজেলা মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) সাইরুল ইসলাম বলেন, কৌশলে হাতকড়া খুলে পালানো আসামি সাগর মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আজই আদালতে তোলা হবে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর হ তকড়

এছাড়াও পড়ুন:

সাত কলেজ নিয়ে গুজব ছড়ানোর বিষয়টি উদ্বেগজনক: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেছেন, “সাত কলেজকে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে কিছু ভুল বোঝাবুঝি ও ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় দ্বিধা তৈরি করছে।”

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় শিক্ষা সচিব রেহেনা পারভীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

কুবিতে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেন ছাত্রদল নেতা

‘সাজিদ হত্যার ৯০তম দিন, এরপর কি আমি?’

তিনি বলেন, “বিভিন্ন গ্রুপে গুজব ছড়ানো মোটেও কল্যাণকর নয়।”

তিনি আরও জানান, “উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া বিবেচনায়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নেতৃত্বে সিরিজ সভা ও মন্ত্রণালয়ের নিবিড় উদ্যোগের মাধ্যমে পরিকল্পনাটি এগোয়। ইতিমধ্যে অনলাইনে প্রায় ৪,৫০০ মতামত সংগৃহীত হয়েছে এবং বিভিন্ন লিখিত মন্তব্যও পাওয়া গেছে। এগুলো মন্ত্রণালয়ের ১২ সদস্য যাচাই করছেন।”

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় আমরা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপে আছি। আশা করছি, আগামী ২০, ২১ ও ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভায় এই বিষয়গুলো উপস্থাপন ও আলোচনার মাধ্যমে ড্রাফট তৈরি করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।”

ড. আবরার বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং কাজ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “যতটা সম্ভব নিয়ম, নীতি এবং উৎসাহের মধ্য দিয়ে আমরা এগোচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য।”

ঢাকা/এএএম/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ